পবিত্র রমজান মাসে সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখার নির্দেশনা চেয়ে দায়ের করা রিট শুনানি করেননি হাইকোর্ট। শুনানি না করে রিট আবেদনটি ফিরিয়ে দিয়েছেন আদালত। এ সময় আদালত বলেন, সরকারের সিদ্ধান্তের বিষয়ে আমরা ইন্টারফেয়ার করবো না।
রোববার (৩ এপ্রিল) হাইকোর্টের বিচারপতি মো. মজিবুর রহমান মিয়া ও বিচারপতি আহমেদ সোহেলের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চে রিটটি শুনানির জন্যে উপস্থাপন করা হলে এমন কথা বলেন আদালত। আদালতে আজ রিটের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট ইউনুছ আলী আকন্দ।
পবিত্র রমজান মাসে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখার জন্য করা রিটের বিষয়টি আদালতে উপস্থাপন করেন অ্যাডভোকেট ইউনুছ আলী আকন্দ। জাগো নিউজকে তিনি বলেন, রিট আবেদনটি উপস্থাপন করার পর আদালত সেটি গ্রহণ করেননি। আদালত বলেছেন রমজান মাসে প্রাথমিক বিদ্যালয় খোলা রাখা না রাখার বিষয়টি সরকারের সিদ্ধান্ত। এ বিষয়ে আমরা ইন্টারফেয়ার করবো না।
এর আগে গত ৩০ মার্চ হাইকোর্টের অবকাশকালীন অপর একটি বেঞ্চ এই রিটটি শুনানি করতে গেলে সেখানে গ্রহণ করেননি আদালত। ওই দিনও আদালত বলেছিলেন, রমজানে প্রাথমিক বিদ্যালয় খোলা রাখা না রাখার সিদ্ধান্ত সরকারের পলিসির বিষয়। এখানে আমরা কী করতে পারি?
গত ২৭ মার্চ পবিত্র রমজান মাসে সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখার নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে রিট করা হয়। হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় রিটটি করেন আইনজীবী ইউনুছ আলী আকন্দ।
রিটে ২০ রমজান পর্যন্ত প্রাথমিক বিদ্যালয় খোলা রাখার সিদ্ধান্তের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করা হয়। এতে বিবাদী করা হয় প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব এবং শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিবকে।
এর আগে ২৭ ফেব্রুয়ারি মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সম্মেলন কক্ষে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি জানিয়েছিলেন, অন্য বছর রমজান মাসে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকলেও এবার ক্লাস হবে।
এরপর ২৪ মার্চ প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর থেকে এ সংক্রান্ত আদেশ জারি করা হয়। এতে বলা হয়, রমজানে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ক্লাস চলবে সকাল সাড়ে ৯টা থেকে বিকেল ৩টা পর্যন্ত। এসময়ের মধ্যে নামাজের জন্য ৩০ মিনিট বিরতি পাবেন শিক্ষকরা।
আদেশে আরও বলা হয়, সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সরাসরি শ্রেণি কার্যক্রম ২০ রমজান পর্যন্ত চালু থাকবে।