ভেরিফিকেশনে আটকে আছে ৬৬৪ শিক্ষকের যোগদান
Published : Thursday, 7 April, 2022 at 12:00 AM
দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলের ৬৪০টি স্কুলে ভোকেশনাল কোর্সের জন্য ৬৬৪ জন ট্রেড ইন্সট্রাক্টর পদে সুপারিশপ্রাপ্তরা যোগদান করতে পারেননি। পুলিশ ভেরিফিকেশনে (পুলিশি যাচাই) আটকে আছে তাদের নিয়োগ। শিক্ষা মন্ত্রণালয় প্রশাসনিক সিদ্ধান্ত নিলে এসব শিক্ষকদের যোগদান করা সম্ভব হবে বলে জানান সংশ্লিষ্টরা। কেননা এরই মধ্যে স্কুল, কলেজ ও মাদরাসার ৩৪ হাজার শিক্ষক নিয়োগে শিক্ষা মন্ত্রণালয় ভেরিফিকেশন চলমান রেখেই নিয়োগ দিয়েছে।
এ বিষয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব ফৌজিয়া জাফরিন জাগো নিউজকে বলেন, শিক্ষকদের ব্যাপারে জাতীয় শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ (এনটিআরসিএ) সুপারিশ পাঠিয়েছে। সেটি অনুযায়ী দাপ্তরিক কাজ চলছে। আমরা দু-তিনদিনের মধ্যে সেটি অনুমোদন করে এনটিআরসিএকে পরের সিদ্ধান্ত জানিয়ে দেওয়া হবে।
জানা গেছে, মাধ্যমিক শিক্ষাখাত বিনিয়োগ কর্মসূচির (সেসিপ) মাধ্যমে দেশের ৬৪ জেলায় ১০টি করে স্কুল বা মাদরাসায় ভোকেশনাল কোর্স চালুর উদ্যোগ নেওয়া হয়। মোট ১০টি ট্রেড থেকে প্রতিটি প্রতিষ্ঠানে দুটি করে ট্রেড কোর্স চালু করার কথা হয়েছে। ট্রেডগুলো হচ্ছে- সিভিল কন্সট্রাকশন, কম্পিউটার অ্যান্ড ইনফরমেশন টেকনোলজি, ফুড প্রোসেসিং অ্যান্ড প্রিজারভেশন, জেনারেল ইলেকট্রনিক, প্লামবিং অ্যান্ড পাইপ ফিটিং, রেফ্রিজারেটর অ্যান্ড এয়ার কন্ডিশনিং, ড্রেস মেকিং, জেনারেল মেকানিকস ও ওয়েল্ডিং অ্যান্ড ফেব্রিকেশন।
এসব কোর্সের জন্য এক হাজার ১৯৯ জন শিক্ষক নিয়োগ করার কথা। প্রথমে ২০২০ সালে বিশেষ গণবিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে ৬৬৪ জন শিক্ষক নিয়োগ করা হয়। পরে গত বছরের ৫ আগস্ট ৪৬৮টি স্কুলের ৬৮৮টি পদে নিয়োগের আবেদন আহ্বান করে। নির্বাচিতদের গত ফেব্রুয়ারিতে পুলিশ ভেরিফিকেশন করা হয়েছে। এখন প্রক্রিয়া অনুযায়ী সংশ্লিষ্টরা এনটিআরসিএ থেকে যোগদানপত্র পেলেই যোগদান করতে পারেন।
সেসিপ ট্রেড ইন্সট্রাক্টর ফোরামের আহ্বায়ক আতিকুর রহমান বলেন, তাদের ফাইল দুমাস আগে এনটিআরসিএ থেকে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে যায়। কিন্তু সেখানে তা আটকে আছে।
তিনি বলেন, স্কুল, কলেজ ও মাদরাসায় যেভাবে পুলিশ ভেরিফিকেশন চলমান রেখেই ৩৪ হাজার শিক্ষক নিয়োগের চূড়ান্ত সুপারিশপত্র দেওয়া হয়, তাদের ক্ষেত্রেও একই পন্থা অনুসরণের অনুরোধ করা হলে দ্রুত কাজে যোগ দিতে পারতেন। কেননা স্কুলগুলোতে শিক্ষক সংকট আছে। শিক্ষার্থীরাও এতে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।