পার্লামেন্টে অনাস্থা ভোটের প্রস্তাব এনেছিল বিরোধীরা, সেই দলে ইমরান খানের জোটে থাকা কিছু সংসদ সদস্যও যোগ দিয়েছিলেন। অবস্থা অনেকটা বেগতিক হয়েছিল, পার্লামেন্টে সংখ্যাগলিষ্ঠতাই হারিয়ে ফেলেছিলেন ইমরান। পার্লামেন্টে অনাস্থা ভোট ওঠার দিন ৩ এপ্রিল হুট করেই সেই ভোট বাতিল করলেন ডেপুটি স্পিকার কাসিম শাহ সুরি। তিনি জানালেন, এই অনাস্থা ভোট সংবিধান পরিপন্থি। ইমরানও হাঁফ ছেড়ে বাঁচলেন।
অন্যদিকে একটি চিঠি দেখিয়ে ইমরান খানও বারবার দাবি করে আসছিলেন, তার কাছে থাকা চিঠিতে বিদেশি হুমকির প্রমাণ আছে। এই অনাস্থা ভোটকে তিনি বিদেশি ষড়যন্ত্র বলে আখ্যা দেন। অনাস্থা ভোট বাতিলের পর ইমরানের পরামর্শে সংসদ ভেঙে দিয়েছেন প্রেসিডেন্ট আরিফ আলভি। তিনি ৯০ দিনের মধ্যে সাধারণ নির্বাচন আয়োজন করতে পাকিস্তানের নির্বাচন কমিশনকেও চিঠি দিয়েছেন। যদিও নির্বাচন কমশিন জানিয়েছে, তাদের পক্ষে ৯০ দিনের মধ্যে নির্বাচন আয়োজন সম্ভব নয়।
অনাস্থা ভোট বাতিলের তিন দিনের মাথাতেই টুইটারে, অনাস্থা ভোট সংসদে তোলাদের ভারতীয় উপমহাদেশের ইতিহাসের কুখ্যাত বিশ্বাসঘাতক মীর জাফরের সাথে তুলনা করলেন ইমরান। মহীসুর অধিপতি টিপু সুলতানের সাথে বেঈমানি করে ব্রিটিশদের সাথে হাত মেলানো মন্ত্রী মীর সাদিকের সাথেও অনাস্থা ভোটের উদ্যোক্তাদের তুলনা করেছেন তিনি।
নিজের টুইটার অ্যাকাউন্টে ইমরান খান লিখেছেন, ‘জনগণই সবসময় দেশের সার্বভৌমত্ব ও গণতন্ত্রের শক্তিশালী রক্ষাকারী। এবারও জনগণের বেরিয়ে এসে দেশিদের সহায়তায় পাকিস্তানের সার্বভৌমত্ব ও গণতন্ত্রের বিরুদ্ধে বিরুদ্ধে বিদেশিদের করা এই ষড়যন্ত্র রুখে দিতে হবে। আমাদের মীর জাফর ও মীর সাদিকদের রুখতে হবে।’
সূত্র: ইমরান খানের টুইটার