নিজস্ব প্রতিবেদক: সবশেষ ১৫ ঘন্টায় ৬১৯ জন ডায়রিয়া রোগী ভর্তি হয়েছেন আইসিডিডিআর,বিতে; আর গত ১৫ দিনে এ হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসা রোগীর সংখ্যা ছাড়িয়েছে ১৮ হাজার।
তবে মার্চ থেকে শুরু হওয়া ডায়রিয়া রোগের প্রাদুর্ভাব গত কয়েকদিনে কিছুটা কমে আসায় এ হাসপাতালে রোগীর সংখ্যা কমে আসছে। তবে এ সংখ্যা খুব বেশি নয়; প্রতিদিন কমছে ৫০ জনের মত।
ঢাকায় উদরাময় গবেষণার আন্তর্জাতিক এ প্রতিষ্ঠানে বৃহস্পতিবার রাত ১২টা থেকে শুক্রবার বিকাল ৩টা পর্যন্ত ১৫ ঘন্টায় ৬১৯ জন ডায়রিয়া রোগী ভর্তি হয়েছেন। আর ১ এপ্রিল থেকে শুক্রবার বিকাল ৩টা পর্যন্ত ১৮ হাজার ৬২ জন এ হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন।
আইসিডিডিআর,বির গণমাধ্যম ব্যবস্থাপক তারিফুল ইসলাম খান জানান, গত বৃহস্পতিবার ১ হাজার ৫৮ জন ডায়রিয়া রোগী এ হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন। আর বুধবার ভর্তি হয়েছিলেন ১ হাজার ২০ জন।
ঢাকা ও আশপাশের এলাকায় মার্চের দ্বিতীয় সপ্তাহ থেকে ডায়রিয়ার প্রাদুর্ভাব বাড়তে শুরু করে। প্রতিদিন হাজারের বেশি রোগী ভর্তি হয়েছে ঢাকার আইসিডিডিআরবিতে।
এ হাসপাতালের প্রধান ডা. বাহারুল আলম বলেন, “৯ এপ্রিল থেকে রোগীর সংখ্যা কমছে। তীব্র পানিশূন্যতা নিয়ে আসা রোগীর সংখ্যা কমে আসছে। প্রতিদিনই কিছু কিছু রোগী কমছে।”
অপরিশুদ্ধ হাত ও খাবার মুখে গেলেই ডায়রিয়া হওয়ার ঝুঁকি বেড়ে যায় জানিয়ে তিনি বলেন, “বিশুদ্ধ পানি পান করতে হবে। খাবার খাওয়ার ক্ষেত্রেও সতর্ক হতে হবে। বাইরের খোলা খাবার খাওয়া যাবে না। আর হাত মুখে দেওয়ার আগে অবশ্যই ধুয়ে জীবাণুমুক্ত করে নিতে হবে।”
আইসিডিডিআরবি,র তথ্য মতে, গত মার্চ মাসে এ হাসপাতালে ৩০ হাজার ৩৭২ জন রোগী ডায়রিয়া নিয়ে ভর্তি হয়েছিলেন। মার্চের মাঝামাঝি থেকেই রোগীর সংখ্যা দ্রুত বাড়তে থাকে।
এরমধ্যে ৪ এপ্রিল রেকর্ডসংখ্যক ১ হাজার ৩৮৩ জন রোগী ভর্তি হয়েছিলেন। এরপর থেকে প্রতিদিনই এক হাজারের বেশি রোগী মহাখালীর বিশেষায়িত এ হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।
এর বাইরে রাজধানীর বিভিন্ন হাসপাতাল এবং শিশু হাসপাতালেও ডায়রিয়া নিয়ে আসার প্রাপ্তবয়স্ক ও শিশুরা চিকিৎসা নিয়েছেন। তাদের মধ্যে অনেককেই হাসপাতালে ভর্তি হতে হয়েছে।
এবার গরমে ঢাকার পাশাপাশি অন্যান্য জেলাতেও এ রোগের প্রাদুর্ভাব দেখা গেছে। অনেক জেলা হাসপাতাল রোগীর চাপ সামলাতে পারছে না বলে খবর আসছে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, মার্চ মাসে দেশে ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন ১ লাখ ৭০ হাজার ২৩৭ জন। এর মধ্যে শুধু রাজধানীতেই ৩৬ হাজার ৯১২ জন হাসপাতালে গেছেন।