আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ‘৭৫ পরবর্তী সরকারগুলো নিজেদের ভাগ্য উন্নয়নে কাজ করেছে আর শেখ হাসিনা সরকার দেশের জনগণের ভাগ্য উন্নয়নে কাজ করছে।’
তিনি আজ শনিবার সকালে ২৩ বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ উপকমিটি আয়োজিত রমজান উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পক্ষ থেকে এতিম, প্রতিবন্ধী, অসহায়দের মাঝে ইফতার সামগ্রী বিতরণ এবং ঘাতকের আঘাতে নিহত উমামা বেগম কনকের পরিবার ও ক্যান্সারে আক্রান্ত ব্যক্তিবর্গের মধ্যে নগদ অর্থ সহায়তা প্রদান অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন।
সরকার নাকি দেশে একদলীয় শাসন ব্যবস্থা কায়েম করেছে, বিএনপি মহাসচিবের এমন অভিযোগের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপি বহুদলীয় গণতন্ত্রের নামে দেশে যা করেছিলো তা জনগণ এখনো ভুলে যায়নি। তাদের বহুদলীয় গণতন্ত্র ছিলো বহুদলীয় ছদ্মবেশী তামাশা।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বিএনপি মহাসচিবের উদ্দেশে বলেন, যিনি নিজে সংসদ সদস্য হয়ে সংসদে যাননি, তার মুখে গণতন্ত্রের কথা মানায় না।
গণতন্ত্রের নামে মুখোশ পড়া বর্ণচোরাদের চিহ্নিত করার আহবান জানিয়ে ওবায়দুল কাদের আরও বলেন, ৭৫ পরবর্তীকালে শেখ হাসিনা সরকারের শাসনামল ছাড়া আর কোনো সরকারের শাসনামল ভালো ছিলো না।
এ বছরের জুন মাসে পদ্মাসেতু উদ্বোধন হতে পারে জানিয়ে সেতুমন্ত্রী বলেন, শতভাগ সততার সঙ্গে পদ্মা সেতুর কাজ করা হচ্ছে। কোন বিদেশি ঋণ ছাড়াই পদ্মা সেতুর কাজ নির্মাণ হচ্ছে।
ওবায়দুল কাদের বলেন, বর্তমান সরকারের আমলে বাংলাদেশ কখনো ঋণ খেলাপি হয়নি, হবেও না। অন্যদিকে অন্য সরকারের শাসনামলে বাংলাদেশ একাধিকবার ঋণ খেলাপি হয়েছিল।
গাধা যেমন জল ঘোলা করে পানি খায়, তেমনি বিএনপিও আগামী জাতীয় নির্বাচনে জল ঘোলা করে অংশগ্রহণ করবে বলে আশা করেন ওবায়দুল কাদের।
আগামী জাতীয় নির্বাচন প্রসঙ্গে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, পৃথিবীর অন্যান্য গণতান্ত্রিক দেশের মতো বাংলাদেশেও যথাসময়ে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
তিনি আরও বলেন, নির্বাচন হবে নির্বাচন কমিশনের অধীনে, সরকার নির্বাচন কমিশনকে শুধু সহযোগিতা করবে।
আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য বেগম মতিয়া চৌধুরী'র সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন, ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী, শিক্ষা ও মানবসম্পদ বিষয়ক সম্পাদক শামসুন্নাহার চাঁপা, কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য এডভোকেট সানজিদা খানম এবং ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি নুরুল আমিন রুহুল, ও সাধারণ সম্পাদক মো. হুমায়ুন কবির।
পরে এতিম, প্রতিবন্ধী ও বিভিন্ন অসহায়দের মাঝে ইফতার সামগ্রী বিতরণ এবং নিহত কনকের স্বজনদের মধ্যে আার্থিক সহযোগিতা প্রদান করেন নেতৃবৃন্দ।