Published : Sunday, 17 April, 2022 at 12:00 AM, Update: 17.04.2022 1:10:18 AM
স্টাফ
রিপোর্টার।। কুমিল্লার প্রয়াত বর্ষিয়ান আওয়ামী লীগ নেতা অধ্যক্ষ আফজল খান
ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে ইফতার মাহফিল কুমিল্লা শহরের নজরুল এভিনিউস্থ মডার্ণ
স্কুলে অনুষ্ঠিত হয়েছে। আফজল খান পরিবারের আহবানে সাড়া দিয়ে অংশ নিয়েছেন
বিভিন্ন শ্রেণি পেশার বিপুল সংখ্যক মানুষ। ইফতারে অংশ নেন অধ্যক্ষ আফজল খান
কন্যা ও জাতীয় সংসদের সংরক্ষিত নারী আসনের সদস্য আনজুম সুলতানা সীমা,
পুত্র এফবিসিসিআইয়ের পরিচালক মাসুদ পারভেজ খান ইমরান, কুমিল্লা জেলা
পরিষদের সাবেক প্রশাসক আলহাজ্ব মো: ওমর ফারুক,কুমিল্লার প্রভাবশালী
আওয়ামীলীগ নেতা সফিকুল ইসলাম শিকদার, জেলা শ্রমিক লীগের সভাপতি মনির হোসেন
ঝান্টু, সাবেক জিএস জাকির হোসেন, সাবেক ভিপি নুর উর রহমান মাহমুদ তানিম,
কুমিল্লা দোকান মালিক সমিতির সাবেক সভাপতি আলহাজ্ব শাহ মো: আলমগীর খান,
শিক্ষাবিদ অধ্যক্ষ সফিকুর রহমান, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক
আনিসুর রহমান মিঠু, কুমিল্লা প্রেস ক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আবুল
কাশেম হৃদয়, আইনজীবী এডভোকেট গোলাম ফারুক, আইনজীবী মাসুদ সালাউদ্দিন, জেলা
আওয়ামীলীগ নেতা পার্থ সারথী দত্ত, আলী আকবর, রুপম মজুমদার প্রমুখ।
ইফতার
মাহফিলে অন্তত ১০ হাজার মানুষ অংশ নেন বলে অধ্যক্ষ আফজল খান ফাউন্ডেশনের
পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে। মাহফিল পূর্ব বক্তব্যে এফবিসিসিআইয়ের পরিচালক
মাসুদ পারভেজ খান ইমরান বলেন, কুমিল্লার মানুষ পরিবর্তন চায়। লুটেরাদের আর
দেখতে চায় না। রাজাকারপুত্র মুক্ত কুমিল্লা সিটি করপোরেশন চায়। আমাদেরকে
ঐক্যবদ্ধভাবে লুটেরা ও রাজাকারপুত্র মুক্ত কুমিল্লা গড়তে কাজ করতে হবে।
শিক্ষা-সংস্কৃতিতে
এগিয়ে থাকা কুমিল্লা দেশের একটি গুরুত্বপূর্ণ জেলা। কিন্তু নানা সমস্যায়
জর্জরিত কুমিল্লা শহরকে দেখলে মনে হয় যেনো একটি অভিভাবকহীন শহর। আমাদের
নগরী একটি ডাস্টবিনে পরিণত হয়ে আছে। নগরীর উন্নয়নে হাজার হাজার কোটি টাকা
বরাদ্দ আসলেও নগরীর কোনো উন্নয়ন হয়নি। উন্নয়ন হয়েছে কিছু ব্যক্তির।
তিনি
বলেন, আজকে এতো বছর আওয়ামী লীগ ক্ষমতায়। দেশে এতো উন্নয়ন হয়েছে। কিন্তু
কুমিল্লায় উন্নয়নের ছোঁয়া লাগেনি। এতো বছরে কুমিল্লা নগরীর কোনো উন্নয়ন
হয়নি; ব্যক্তির উন্নয়ন হয়েছে। এখন সামান্য বৃষ্টি হলেই শহর ডুবে যায়।
রাস্তায় হাটু থেকে কোমর পানি জমে থাকে। মানুষ দুর্দশায় পড়ে।
তিনি বলেন,
সুন্দর নগরী গড়ে তুলতে সড়কে যান চলাচল নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। ফুটপাতে জনগণের
চলাচল উন্মুক্ত করতে হবে। বাণিজ্যিক ভবন আবাসিক ভবন আলাদা করতে হবে। বহুতল
ভবনে আন্ডারগ্রাউন্ড পার্কিং ব্যবস্থা করতে হবে।