Published : Monday, 18 April, 2022 at 12:00 AM, Update: 18.04.2022 12:17:51 AM
হাফেজ মাওলানা মো. মিজানুর রহমান ||
পবিত্র
মাহে রমজান দোয়া কবুলের মাস আল্লাহ তা’আলা এই মাসে বান্দার দোয়া বেশি বেশি
কবুল করেন। হযরত আবু হুরায়রা (রাঃ) হতে বর্ণিত রাসুল (স:) এরশাদ ফরমান তিন
ব্যক্তির দোয়া আল্লাহ তা’আলা ফিরিয়ে দেন না। এক. ইফতারের সময় রোজাদারের
দোয়া। দুই. ন্যায়বিচারক বাদশার দোয়া। তিন. মজলুম ব্যক্তির দোয়া। আল্লাহ
তা’আলা তার দোয়া মেঘের উপর উঠাইয়া লন, আসমানের সকল দরজা উহার জন্য খুলিয়া
দেয়া হয় এবং আল্লাহপাক এরশাদ করেন আমার ইযযতের কছম আমি অবশ্যই তোমার
সাহায্য করিব। যদিও (কোন মঙ্গলের কারণে) কিছুটা বিলম্ব ঘটে। দুররে মানসুর
কিতাবে হযরত আয়শা (রা:) হইতে বর্ণিত যে রমজান মাস আসিলে নবী করীম (স.) এর
অবস্থার পরিবর্তন হয়ে যেত, তাঁর নামাজের পরিমাণ বেড়ে যেত, দোয়ার মধ্যে খুবই
কাকুতি-মিনুতি করতেন। আল্লাহর ভয়ভীতি বৃদ্ধি পেয়ে যেত। হযরত আয়শা (রা:)
অন্য এক রেওয়ায়তে বলেন, রমজান মাস শেষ না হওয়া পর্যন্ত তিনি বিছানায় আসতেন
না। এক হাদিসে আছে, আল্লাহপাক রমজান মাসে আরশ বহনকারী ফেরেশতাদেরকে হুকুম
করেন যে, তোমরা নিজ নিজ এবাদত বন্দেগী ছাড়িয়া রোজাদারের দোয়ার সাথে আমিন
আমিন বলিতে থাক। আমরা অনেক সময় কোন বিষয় দোয়া করার পর যদি সেই দোয়ার কোন
প্রতিক্রিয়া না দেখি তাহলে আমরা মনে করি দোয়া কবুল হয় নাই। প্রকৃত অর্থে
বিষয়টি আমাদের বুঝা দরকার। রাসুল (স.) এরশাদ ফরমান- যখন কোন মুসলমান
আত্মীয়তার সম্পর্কচ্ছেদ বা কোন পাপ কাজ ব্যাতিত কোন দোয়া করে, তখন সে
আল্লাহ তা’লার নিকট হইতে তিনটি বিষয়ের কোন একটি অবশ্যই পাইয়া থাকে। এক. যে
বিষয় দোয়া করা হয়েছে, যথাযথ তা পেয়ে যায়। দুই. এর পরিবর্তে তার উপর থেকে
কোন মুসীবত দূর করে দেওয়া হয়। তিন. ঐ পরিমাণ সাওয়ার আখেরাতে তার আমল নামায়
লিখে দেয়া হয়। তাই আমরা মাহে রমজানে বেশি বেশি দোয়ায় মশগুল থাকবো
ইনশাআল্লাহ।