ই-পেপার ভিডিও ছবি বিজ্ঞাপন কুমিল্লার ইতিহাস ও ঐতিহ্য যোগাযোগ কুমিল্লার কাগজ পরিবার
দেবিদ্বারের রাজামেহার-চুলাশ বাজার সড়ক
ভাঙ্গা কালভার্টে ঝুঁকি নিয়ে চলাচল
Published : Wednesday, 20 April, 2022 at 12:00 AM, Update: 20.04.2022 12:51:21 AM
 ভাঙ্গা কালভার্টে ঝুঁকি নিয়ে চলাচলশাহীন আলম, দেবিদ্বার ||
কুমিল্লার দেবিদ্বারে রাজামেহার-চুলাশ বাজার সড়কের একটি বক্স কালভার্টের ওপরের অংশে বড় আকারের গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। এতে সড়কের এক পাশ দিয়ে ঝুঁকি নিয়ে চলছে যানবাহন। অবস্থা এতটাই খারাপ যে গত কয়েক মাস ধরে হালকা ও ভারী যানবাহন চলাচল করতে পারছে না। বিশেষ করে রাতের বেলায় প্রায়ই ঘটছে দুর্ঘটনা।
মঙ্গলবার দুপুরে স্থানীয় লোকজন জানায়, প্রায় তিন মাস ধরে কালভার্টের এ অবস্থা থাকলেও এটি সংস্কারের উদ্যোগ নিচ্ছে না কেউ। এছাড়াও কালভার্টের গার্ডারের রড ও পলেস্তারা খসে পড়ে গেছে অনেক আগে। কালভার্টের দুই পাশের রেলিংও ভেঙ্গে গেছে। ঝুঁকিপূর্ণ কালভার্টটি দিয়ে প্রতিদিন বিভিন্ন যানবাহন যাতায়াত করছে।
জানা গেছে, চুলাশ বাজারের এ সড়কটি ঢাকা-চট্টগ্রামের মহাসড়কের মাদাইয়া বাজার, নিমসার বাজার, চান্দিনা, দেবিদ্বার সদর এলাকাসহ আশ-পাশের কয়েকটি বাজারে স্থানীয় কৃষকরা কৃষিপণ্য আনা নেওয়া ও যাতায়তের একমাত্র সড়ক এটি। এছাড়াও প্রতিদিন এ সড়ক দিয়ে ৭/৮ টি গ্রামের কয়েক হাজার মানুষ যাতায়াত করে। স্কুল-কলেজে যাওয়া-আসা করে কয়েক’শ শিক্ষার্থী। কিন্তু কালভার্টটি দীর্ঘদিন ধরে মেরামত না করায় পিকআপ, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা, সিএনজিচালিত অটোরিকশা, রিকশা, নছিমন, করিমনসহ ছোট ছোট যানবাহন এই অংশ দিয়ে ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে।
স্থানীয় ব্যবসায়ী ওমর ফারুক, শামীম, শিক্ষার্থী আল আমিন জানান, কালভার্টের ভাঙা অংশের ঝুঁকিপূর্ণ স্থানে কোনো নিশানাও টানানো হয়নি।  দুইটি গাছের কাটা অংশ মাঝখানে ফেলে রাখা হয়েছে। কালভার্টের দুই পাশেও কোন রেলিং নেই।  যানবাহনের চাপে যেকোন সময় কালভার্টের বাকি অংশটুকুও ভেঙে নিচে পড়ে বড় ধরণের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে  অথচ এ বিষয়ে  চেয়ারম্যান মেম্বাররা কোন উদ্যোগ নিচ্ছে না।
রাজামেহার ইউপি চেয়ারম্যান মো. জসিম উদ্দিন বলেন, কালভার্টটি পুননির্মাণের জন্য উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার অফিসসহ সংশ্লিষ্ট সকলকে এ বিষয়টি অবগত করা হয়েছে। কিন্তু কোন কাজ হচ্ছে না।
দেবিদ্বার উপজেলা প্রকৌশলী মো. শাহ আলম বলেন, দুই এক দিনের মধ্যে কালভার্টের ভাঙা অংশে স্টীলের স্লাভ বসানো হবে। পরে  বরাদ্দ হলে কালভার্টটি ভেঙে নতুন করে সংস্কার করা হবে।