ই-পেপার ভিডিও ছবি বিজ্ঞাপন কুমিল্লার ইতিহাস ও ঐতিহ্য যোগাযোগ কুমিল্লার কাগজ পরিবার
কুমিল্লায় শিশু বাপ্পী হত্যায় অভিযুক্ত সৎ পিতা গ্রেফতার, স্বীকারোক্তি
Published : Friday, 22 April, 2022 at 12:00 AM, Update: 22.04.2022 12:57:33 AM
কুমিল্লায় শিশু বাপ্পী হত্যায় অভিযুক্ত সৎ পিতা গ্রেফতার, স্বীকারোক্তিমোঃ মিজানুর রহমান ||
কুমিল্লার সদর দক্ষিণ উপজেলায় আরাফাত হোসেন বাপ্পী (৭) হত্যায় অভিযুক্ত সৎ পিতা মোঃ সেলিম ওরফে রুবেলকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গ্রেফতারের পর বৃহস্পতিবার (২১ এপ্রিল) দুপুরে তাকে জেলা জজ আদালতে হাজির করা হলে সে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী প্রদান করে।
এর আগে বুধবার (২০ এপ্রিল) রাতে উপজেলার মোহাম্মদপুর গ্রাম থেকে গ্রেফতার করা হয় সেলিম ওরফে রুবেলকে। সে সদর দক্ষিণ উপজেলার ধনাজোর গ্রামের মো. জলিল হক প্রকাশ ফজলু মিয়ার পুত্র।
বাপ্পী হত্যা মামলার আসামি গ্রেফতার ও আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দীর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কুমিল্লা সদর দক্ষিণ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দেবাশীষ চৌধুরী।
তিনি জানান, বুধবার রাতে গোপন তথ্যে প্রাপ্ত সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। গ্রেফতারের পর রুবেল পুলিশকে জানিয়েছে, তার ঔরষজাত নবজাতকের মাথায় সম্প্রতি শিশু বাপ্পী আঙ্গুল দিয়ে চাপ দিলে সৎ পিতা রুবেল বাপ্পীকে চড় মারেন। এনিয়ে শাশুড়ি অর্থাৎ বাপ্পীর নানীর সাথে রুবেলের বাদানুবাদ হয়। এতে রুবেলে মনে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। সে নিজের সন্তানের ভবিষ্যৎ চিন্তা করে পথের কাঁটা আরাফাত হোসেন বাপ্পীকে হত্যার পরিকল্পনা করেন। গত ১৫ এপ্রিল সকাল ৯টার দিকে বাপ্পীর নানার বাড়ি তারাপুর গ্রাম থেকে কৌশলে তাকে ধনাজোর এলাকায় নিয়ে গিয়ে গলায় রশি দিয়ে পেঁচিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে মরদেহ জলাশয়ের পানিতে ডুবিয়ে রাখেন। ঘটনার পর থেকে নিহত শিশুর নানা জালাল মিয়ার কান্নাকাটি দেখে সে নিজেই ১৭ এপ্রিল সন্ধ্যায় মরদেহ নিজ হাতে জলাশয় থেকে বের করে জালাল মিয়ার নিকট দিয়ে সে তাৎক্ষণিকভাবে আত্মগোপনে চলে যায়। এ ঘটনায় নিহতের মামা আল আমিন বাদী হয়ে হত্যা মামলা দায়ের করেন।
ওসি দেবাশীষ জানান, পুলিশের হাতে গ্রেফতার হওয়ার পরে তিনি (রুবেল) হত্যাকাণ্ডে বিবরণ দেন এবং বৃহস্পতিবার তাঁকে আদালতে সোপর্দ করা হলে সে স্বেচ্ছায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্ধী দিতে ইচ্ছা প্রকাশ করায় আদালতে ফৌজদারি কার্যবিধি আইনের ১৬৪ ধারায় তার উল্লেখিত জবানবন্দী বিজ্ঞ ম্যাজিস্ট্রেট কর্তৃক লিপিবদ্ধ করা হয়। হত্যাকান্ডের ঘটনায় আর কারও জড়িত থাকার ব্যাপারে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ কোন ইন্ধন বা সহযোগীতা বা প্ররোচনা রয়েছে কি-না তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। জবানবন্দী প্রদান শেষে তাঁকে কুমিল্লা কেন্দ্রীয় কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে।