চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়ায় ছোট ভাই জানে আলমকে হত্যার অভিযোগে আপন বড় ভাই ও ভাবিকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব। বড় ভাইয়ের নাম খোরশেদ আলম ও তার স্ত্রীর নাম খালেদা বেগম।
রোববার (২৪ এপ্রিল) বেলা ১১টায় ভূজপুর থানার শান্তিরহাট ছোট বেতুয়া এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে। র্যাব-৭ এর সিনিয়র সহকারী পরিচালক (মিডিয়া) মো. নুরুল আবছার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, জানে আলম দীর্ঘদিন বিদেশে ছিলেন। বিদেশে থাকার সময় কষ্টার্জিত অর্থ তার আপন ভাই খোরশেদ আলমের কাছে পাঠাত। একপর্যায়ে জানে আলম দেশে ফিরে আসার পর তার ভাই খোরশেদ আলমের কাছে বিদেশ থেকে পাঠনো টাকা ফেরত চায়। কিন্তু আসামি খোরশেদ আলম টাকা ফেরত দিতে অপারগতা প্রকাশ করে। বিষয়টি নিয়ে ভাই খোরশেদ আলমের সঙ্গে বিরোধ তৈরি হয়।
র্যাব বলছে, জানে আলম বিরোধ পছন্দ না করার কারণে আলাদা বাড়ি করে বসবাস করছিল। কিন্তু গত ৯ এপ্রিল বসতবাড়ির জায়গার সীমানা পিলার নির্ধারণ নিয়ে জানে আলম ও তার আপন ভাই খোরশেদ আলমের মধ্যে তর্কবিতর্কের সৃষ্টি হয়। এরই একপর্যায়ে খোরশেদ ও তার স্ত্রী খালেদা বেগম শাবল দিয়ে আঘাত করে ও পিটিয়ে জানে আলমকে আহত করে। পরে জানে আলমের স্ত্রী ও স্বজনরা তাকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ১২ এপ্রিল জানে আলমের মৃত্যু হয়।
এই ঘটনায় জানে আলমের স্ত্রী জোসনা বেগম বাদী হয়ে দক্ষিণ রাঙ্গুনিয়া থানায় দুই জনকে আসামি করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
র্যাবের এই কর্মকর্তা বলেন, মামলা দায়েরের পর আসামিদের গ্রেপ্তারে গোয়েন্দা নজরদারি ও ছায়াতদন্ত শুরু করে র্যাব। এরই ধারাবাহিকতায় ভূজপুর থানার শান্তিরহাট ছোট বেতুয়া এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে ঘটনার সঙ্গে জড়িত আসামি বড় ভাই খোরশেদ আলম ও তার স্ত্রী খালেদা বেগমকে গ্রেপ্তার করা হয়।