Published : Monday, 25 April, 2022 at 12:00 AM, Update: 25.04.2022 12:31:47 AM
পবিত্র
মাহে রমজানের একটি গুরুত্বপূর্ণ রাত হলো ক্বদরের রাত। কোরআনের ভাষায় যাকে
হাজার মাসের চাইতে উত্তম বলা হয়েছে। এই ফজিলতপূর্ণ রাতটি লাভ করার অন্যতম
মাধ্যম হলো ইতিকাফ। ইতিকাফ শব্দের শাব্দিক অর্থ হলো অবস্থান করা। আর
শরীয়তের পরিভাষায় পুরুষের জন্য নিয়তসহ ঐ মসজিদে অবস্থান করা যেখানে পাঁচ
ওয়াক্ত নামাজের জামাত হয়। আর মহিলারা ঘরের ভিতরে নামাজের জন্য নির্দিষ্ট
এমন কোন স্থানে অবস্থান করা। ইতিকাফের মূল উদ্দেশ্য হলো লাইলাতুল ক্বদরকে
পাওয়া।
হযরত আবু সাঈদ খুদরী (রা.) হতে বর্ণিত- রাসুল (স.) প্রথম রমজান
থেকে বিশ রমজান পর্যন্ত ইতিকাফ করার পর বললেন, হে লোকসকল আমি লাইলাতুল
ক্বদরের তালাশে প্রথম দশক ইতিকাফ করেছি। এরপর দ্বিতীয় দশকেও ইতিকাফ করেছি।
অতঃপর আমাকে বলা হলো যে লাইলাতুল ক্বদর শেষ দশকে রয়েছে। তাই তোমাদের মধ্যে
যারা আমার সাথে ইতিকাফ করতে চাও ইতিকাফ করো। এরপর থেকে নবীজী (স.) সব সময়
রমজানের শেষ দশকে ইতিকাফ করতেন। নবী (স.) এরশাদ ফরমান- যে ব্যক্তি আল্লাহ
তা’আলাকে সন্তুষ্ট করার জন্য একদিন ইতিকাফ করবে আল্লাহতালা তারও
জাহান্নামের মধ্যে তিন খন্দকের দূরত্ব সৃষ্টি করেবেন। আর এক খন্দকের দূরত্ব
আসমান ও যমিনের মধ্যবর্তী স্থানের দূরত্বের চেয়েও বেশি। প্রিয় নবীজী (স.)
অন্য এক হাদিসে এরশাদ করেন, যে ব্যক্তি রমজানের শেষ দশদিন ইতিকাফ করবে তা
দুটি হজ ও দুটি ওমরা করার সমতুল্য হবে। রাসুল (স.) এরশাদ করেন- ইতিকাফকারী
ব্যক্তি সর্বপ্রকার গোনাহ থেকে মুক্ত থাকে এবং তার জন্য (মসজিদের বাহির
থাকা) নেক আমলকারীর সমুদয় নেক আমলের ছাওয়াবও লেখা হয়।