ই-পেপার ভিডিও ছবি বিজ্ঞাপন কুমিল্লার ইতিহাস ও ঐতিহ্য যোগাযোগ কুমিল্লার কাগজ পরিবার
শ্বশুর বাড়ি থেকে নিজ বাড়িতে আনার পথে স্ত্রীকে হত্যা!
ধানক্ষেত্রে মিললো গৃহবধূর লাশ--
Published : Monday, 25 April, 2022 at 12:00 AM, Update: 25.04.2022 12:32:00 AM

শ্বশুর বাড়ি থেকে নিজ বাড়িতে আনার পথে স্ত্রীকে হত্যা!নিজস্ব প্রতিবেদক: শ্বশুর বাড়ি থেকে নিজ বাড়িতে আনার পথে স্ত্রীকে হত্যা করে ধান ক্ষেতে ফেলে রেখে চলে যায় স্বামী। পরে শুশুর বাড়িতে কল নিয়ে নিহত স্ত্রীর মরদেহের সন্ধান জানায়। কুমিল্লা আদর্শ সদর উপজেলার কালিরবাজার ইউনিয়নের মস্তফাপুর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। গতকাল রোববার সকালে লালমাই পাহাড়ের পাদদেশের একটি ধানের জমি থেকে ফারজানা অক্তার নামে (২৮) এর হাত মুখ বাঁধা রক্তাক্ত লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
নিহত ফারজানা কুমিল্লা আদর্শ সদরের কালিরবাজার ইউনিয়নের এর আলেখারচর এলাকার জাহাঙ্গীর আলমের মেয়ে। সে পাশের অলিপুর এলাকার অটোচালক ইকবালের স্ত্রী।
জানা যায়, কুমিল্লা সদরের কালিরবাজার ইউনিয়ন এর মস্তফাপুর (কাছার) এলাকায় পাহাড়ের পাদদেশে বিলের মাঝে গৃহবধূ ফারজানা (২৮)র হাত মুখ বাঁধা রক্তাক্ত লাশ পড়ে আছে। সে অটোচালক কাছার অলিপুর এলাকার ইকবালের স্ত্রী।
ইকবাল তিন দিন আগে গেল ১৯ এপ্রিল একটি চুরি মামলায় জেল থেকে জামিনে বেড়িয়ে আসেন। গতকাল বিকেলে স্ত্রীকে তার বাবার বাড়ি আলেখারচর থেকে নিজের বাড়িতে নিয়ে আসার উদ্যেশ্যে রওনা হন। পরদিন রোববার সকাল ৯টায় স্বামী ইকবাল সকাল ফরজানার বাড়িতে তার মামি শাশুড়ী কে ফোন করে জানায় ফারজানাকে কে বা কারা হত্যা করে ধান ক্ষেতে ফেলে রেখেছে। খবর পেয়ে ফারজানার স্বজনরা ঘটনা স্থলে গিয়ে মরদেহ দেখতে পায় এবং পুলিশকে খবর দেয়।খবর পেয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ( সদর সার্কেল) সোহান সরকার, নাজিরা বাজার পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মহিউল আলমসহ পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থলে যায়।
নিহত ফারজানার চাচা হাফিজুল ইসলাম জানান, ইকবাল নেশা করতো। এ নিয়ে ফারজানার সাথে প্রায় ঝগড়াঝাটি করতো। সম্প্রতি একটি অটো রিক্সা চুরি মামলায় ইকবাল জেল থেকে বেড়িয়ে আসে। গত শনিবার স্ত্রীকে শুশুর বাড়ি থেকে নিজ বাড়িতে নেওয়ার কথা বলে হত্যা করে।
নাজিরা বাজার পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মহিউল আলম বলেন, স্থানীয়দের মাধ্যমে খবর পেয়ে মরদেহ উদ্ধার করা হয়। লাশের মাথায় বড় বড় আঘাতের চিহ্ন। তার হাত ওড়না দিয়ে বাঁধা, আর মুখ গামছা দিয়ে বাঁধা। লাশের সুরতহাল প্রতিবেদন করে ময়নাতদন্তের জন্য কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মোঃ সোহান সরকার বলেন,  ইকবাল নেশা করতো। তাঁর বিরুদ্ধে মাদক চুরিসহ একাধিক মামলা রয়েছে। পারিবারিক কলহের জের ধরে এ হত্যাকান্ড ঘটানো হয় বলে প্রাথমিকভাবে জানা যায়।