ই-পেপার ভিডিও ছবি বিজ্ঞাপন কুমিল্লার ইতিহাস ও ঐতিহ্য যোগাযোগ কুমিল্লার কাগজ পরিবার
কুমিল্লার প্রতিটি স্টেশন এলাকায় যাত্রীদের ভীড়
কর্মস্থলে ফিরতে যাত্রীদের হুড়োহুড়ি
Published : Sunday, 8 May, 2022 at 12:00 AM, Update: 08.05.2022 1:30:00 AM

কর্মস্থলে ফিরতে যাত্রীদের হুড়োহুড়ি রণবীর ঘোষ কিংকর।
নাড়ির টানে বাড়ি ফেরা মানুষগুলো কর্মের তাগিদে ফিরে যাচ্ছেন যার যার কর্মস্থলে। ঈদের লম্বা ছুটে কাটিয়ে শুক্রবার সকাল থেকে কর্মস্থলে ফিরতে শুরু করেছেন ঈদে বাড়ি আসা মানুষ। এক সাথে ফিরে যাওয়ার পালায় যাত্রীদের ভীড় পড়েছে প্রতিটি স্টেশন এলাকায়। গন্তব্যে পৌঁছতে গাড়ি অপেক্ষায় দাঁড়িয়ে থাকছে ঘন্টার পর ঘন্টা।
সরেজমিনে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের চান্দিনা, মাধাইয়া, ময়নামতি ও পদুয়ারবাজার এলাকার স্টেশনগুলো ঘুরে দেখা গেছে, মহাসড়কে ঢাকাগামী যাত্রীদের উপচে পড়া ভীড়। ঢাকাগামী কোন একটি বাস আসলেই ঘিরে ফেলছেন যাত্রীরা। দরদাম করার কোন সুযোগ নেই। কার আগে কে উঠবেন ওই প্রতিযোগিতা বেশি দেখা গেছে। সিটের অতিরিক্ত যাত্রী নিয়ে দ্বিগুন ভাড়া আদায় করছেন চালকরা। ইলিয়টগঞ্জ, মাধাইয়া ও চান্দিনা স্টেশন এলাকা থেকে কুমিল্লাগামী যাত্রীদের ভীড়ও কম নয়। পরিবার পরিজন নিয়ে বাড়িতে ঈদ শেষে শহরে ফিরতে শুরু করেছেন তারা। দাউদকান্দি থেকে ছেড়ে আসা পাপিয়া পরিবহনের বাসগুলোতে তীল ধারণের ঠাঁই নেই। সিটিং সার্ভিসগুলোতে সিটের অতিরিক্ত যাত্রী নিয়ে চলতে দেখা গেছে।
কেউ কেউ আবার মারুতি ও মাইক্রোবাস ভাড়া করে এক স্টেশন থেকে অন্য স্টেশনে গিয়ে গাড়ি বদল করে গন্তব্যে পৌঁছার দূরত্ব কমানোর চেষ্টা করছে।
যাত্রী জাকির হোসেন জানান, আমি পরিবার নিয়ে ঢাকায় যাওয়ার জন্য সকাল ১০টায় চান্দিনা-বাগুর বাস স্টেশনে আসি। প্রায় দুই ঘন্টা একই স্থানে দাঁড়িয়ে আছি একটি বাসেও সিট পাচ্ছি না। যাত্রীরা ভীড় জমাতে জমাতে ধানসিঁড়ি রাস্তার মাথা পর্যন্ত পৌঁছেছে। যেসব গাড়িগুলো আসছে প্রায় সবগুলোরই সিট খালি নেই। মাঝে মধ্যে কয়েকটি গাড়ির ২/১টি সিট খালি পাওয়া গেলেও গাড়িতে উঠার উপায় নেই।
নিলিমা আক্তার নামে এক যাত্রী ক্ষুব্ধ হয়ে বলেন, চান্দিনা বাস স্টেশনে বিআরটিসি বাস ছাড়া আর কোন বাসের নির্ধারিত কাউন্টার নেই। যেসব বাস গুলো আসছে সেগুলোতে পুরুষরা ধাক্কাধাক্কি করে উঠে যাচ্ছে। আমরা নারী, আমরা তো আর ধাক্কাধাক্কি করে উঠতে পারি না। যে কারণে বাধ্য হয়ে প্রায় ৩ ঘন্টা স্টেশনে দাঁড়িয়ে আছি। আগামীকাল স্কুল খোলা তাই আজই যেতে হবে।
বেশি ভাড়া সম্পর্কে বাস চালক দ্বীন ইসলাম জানান, ঢাকায় যাওয়ার যাত্রীর অভাব নেই, কিন্তু ঢাকা থেকে খালি গাড়ি নিয়ে ফিরতে হচ্ছে। তাই ২০/৫০ টাকা বেশি নিচ্ছি। তা না হলে তেল খরচ দিয়ে পোষাবে না। বিশেষ করে ২/৩ দিনই যাত্রীদের চাপ থাকে। পরে আর থাকে না।