Published : Sunday, 8 May, 2022 at 12:00 AM, Update: 08.05.2022 1:30:05 AM
নিজস্ব
প্রতিবেদক: কুমিল্লার বুড়িচংয়ে বাবার কাছে পাওনা ৪৫০ টাকা আদায়ের জন্য এক
কিশোরকে গাছে বেঁধে নির্যাতনের অভিযোগে তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
শুক্রবার রাতে উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদেরকে গ্রেপ্তার করা
হয়। শনিবার দুপুরে গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কুমিল্লার অতিরিক্ত
পুলিশ সুপার সোহান সরকার।
এর আগে ‘খাট কেনার বকেয়া টাকা আদায়ের জন্য’ গত
মঙ্গলবার ঈদের দিন বিকালে সাহেদ হোসেন ওরফে শান্ত নামের এক কিশোরকে গাছের
সাথে বেঁধে নির্যাতনের অভিযোগ উঠে। মাত্র ৪৫০ টাকা আদায়ের জন্য এমন ঘটনা
ঘটে জেলার বুড়িচং উপজেলার ভারত সীমান্তবর্তী ভৈরবপুর এলাকায় । এঘটনার
ভিডিও-ছবি শুক্রবার রাতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ে। ঘটনার
পর কিশোরের বাবা ইউসুফ মিয়া শুক্রবার (৬ মে) চারজনকে আসামি করে বুড়িচং
থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।
এ মামলায় অভিযুক্ত তিনজনকে শুক্রবার (৬
মে) দিবাগত রাতে গ্রেফতার করে বুড়িচং থানা পুলিশ। গ্রেপ্তারকৃতরা হচ্ছে-
ভৈরবপুর গ্রামের নাহিদুল ইসলাম (২০), মো. নাজমুল হোসেন (২৩) ও জসিম উদ্দিন
(২৭)।
কুমিল্লার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সোহান সরকার জানান, ওই কিশোরের
বাবার দায়ের করা মামলায় উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে তিনজনকে
গ্রেপ্তার করা হয়। শনিবার দুপুরে তাদের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো
হয়েছে। বাকি এক আসামিকে গ্রেপ্তারে অভিযান চালাচ্ছেন তারা।
দায়েরকৃত
মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, ইউসুফ মিয়া কিছুদিন আগে ওই গ্রামের দুলু
মিয়ার ছেলে ফার্নিচার ব্যবসায়ী নাহিদুলের কাছ থেকে ৪৫০ টাকা বাকিতে একটি
খাট কেনেন। ঈদের কয়েকদিন আগে নাহিদুল তাদের বাড়ি গিয়ে বকেয়া টাকার জন্য
গালমন্দ করেন। এ সময় ইউসুফ মিয়া সপ্তাহ খানেক পরে টাকা পরিশোধ করবেন বলে
জানলে দুজনের মধ্যে কথা কাটাকাটি এবং হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। এ ঘটনার পর ঈদের
দিন ইউসুফের ছেলে সাহেদ হোসেন শান্ত বন্ধুদের সঙ্গে ঘুরতে বের হন। এ সময়
নাহিদুল, তার ভাই নাজমুল ও সঙ্গে থাকা আনোয়ার ও জসিম তাকে অস্ত্র ঠেকিয়ে
টানা-হেঁচড়া করে নাজমুলের বাড়ি নিয়ে যান এবং পরে গাছের সঙ্গে বেঁধে তাকে
মারধর করে। খবর পেয়ে স্থানীয় ইউপি সচিব ও গ্রাম পুলিশ সেখান থেকে ওই
কিশোরকে উদ্ধার করে বলে মামলায় উল্লেখ করা হয়।
বুড়িচং থানার ওসি মাকছুদ
আলম বলেন, অভিযুক্তদের গ্রেফতার করতে পুলিশের একটি টিম গঠন করা হয়। মামলার
চার আসামির মধ্যে ৩ জনকে গ্রেফতার করেছি। বাকি একজনকে গ্রেফতারে মাঠে কাজ
করছে আমাদের টিম। শীঘ্রই তাকে গ্রেফতার করা হবে।