পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও পাকিস্তান তেহরিক-ই ইনসাফ দলের প্রধান ইমরান খান দেশটির নতুন সরকারের কাছে দ্রুত সাধারণ নির্বাচন দেওয়ার দাবি জানিয়েছেন।
ইসলামাদ সমাবেশে যাওয়ার আগে গত শুক্রবার মর্দান রেলস্টেশনে এক জনসভায় দেওয়া ভাষণে ইমরান খান এ দাবি করেন। খবর দ্যা ডনের।
ইমরান খান বলেন, পাকিস্তানের মানুষ বিদেশ থেকে আমদানি করা নতুন এ সরকার চায় না। এ কারণে আমরা দ্রুত নির্বচন চাই। তাই খুব শিগগির নতুন নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করুন।
গত ৩ এপ্রিল ইমরানের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব নিয়ে ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলিতে ভোটাভুটির কথা থাকলেও ডেপুটি স্পিকার তা খারিজ করে দিয়েছিলেন।
পাকিস্তান ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলিতে অনাস্থা ভোট নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ জানালেন ইমরান খান। গত ৭ এপ্রিল ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলির ডেপুটি স্পিকার কাসিম খান সুরির নির্দেশকে খারিজ করে দিয়েছিল পাক শীর্ষ আদালত। সেই রায়ের বিরুদ্ধে ‘রিভিউ পিটিশন’ দায়ের করেছেন সাবেক পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান।
গত ৩ এপ্রিল তৎকালীন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরানের বিরুদ্ধে বিরোধী জোটের তরফে আনা অনাস্থা প্রস্তাব নিয়ে ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলিতে ভোটাভুটির কথা থাকলেও ডেপুটি স্পিকার সুরি তা খারিজ করে দিয়েছিলেন।
তার যুক্তি ছিল, বিদেশি শক্তির প্ররোচনায় আনা এই অনাস্থা প্রস্তাব আসলে সংবিধান-বিরোধী এবং তা দেশের পক্ষে ক্ষতিকর। তাই সংবিধানের ৫ নম্বর অনুচ্ছেদ মেনে এ নিয়ে কোনও ভোটাভুটি হতে দিতে পারবেন না তিনি।
সুরির ওই ঘোষণার পরেই ইমরানের সুপারিশে ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলি ভেঙে দেন প্রেসিডেন্ট আরিফ আলভি। তার প্রতিবাদে সেদিন রাতেই শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হন বিরোধী নেতৃত্ব।
এর পর ৭ এপ্রিল পাক সুপ্রিম কোর্ট প্রধান বিচারপতি উমর আটা বান্দিয়ালের নেতৃত্বে গঠিত পাকিস্তান সুপ্রিম কোর্টের পাঁচ সদস্যের বেঞ্চ ডেপুটি স্পিকারের নির্দেশে ‘অসাংবিধানিক’ ঘোষণা করে ৯ এপ্রিল অনাস্থা ভোট কারনোর নির্দেশ দেন।