যশোরে বাবার বিরুদ্ধে ছেলেকে ইলেক্ট্রিক শক ও নির্যাতন চালিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। রোববার (১৫ মে) গভীর রাতে যশোর সদরের ফতেপুর ইউনিয়নের পূর্ব চাঁদপাড়া গ্রামে এই ঘটনা ঘটে।
নিহত রুহুল আমিন (১৬) ওই এলাকার নুরুল ইসলামের ছেলে। পুলিশ অভিযুক্ত বাবা নুরুল ইসলামকে আটক করেছে।
আটকের পর পুলিশের কাছে হত্যার কথা স্বীকার করেছেন অভিযুক্ত নুরুল। পরে কান্নাজড়িত কণ্ঠে পুলিশের কাছে নিজের ফাঁসির দাবিও জানান তিনি।
যশোর কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তাজুল ইসলাম জানান, পারিবারিক কলহের জের ধরে নুরুল ইসলাম তার ছেলে রুহুল আমিনকে হত্যা করেছেন বলে জানতে পেরেছে পুলিশ। ঘটনার দিন রুহুল নিজ ঘরে ঘুমিয়ে ছিলো। এ সময় বাবা নুরুল ইসলাম প্রথমে ছেলের বাম পায়ে বৈদ্যুতিক তার পেঁচিয়ে ইলেকট্রিক শক দেন। এতে মৃত্যু না হওয়ায় পরে গলায় গামছা পেঁচিয়ে আধা ঘণ্টা ধরে নির্যাতন করে তাকে হত্যা করেন।
খবর পয়ে পুলিশ নুরুল ইসলামকে আটক করেছে। নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে যশোর জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে বলেও জানান ওসি।
অভিযুক্ত নুরুল ইসলাম পুলিশের কাছে বলেছেন, ‘জমি বিক্রি করে ৪১ লাখ টাকা সংসারের পেছনে খরচ করেছি। এখন পরিশ্রম করতে পারি না। স্ত্রী ও ছেলে মিলে আমাকে অমানবিক নির্যাতন করতো। ছেলেকে হত্যা না করে কোনো উপায় ছিলো না। এখন আমি আমার ফাঁসি চাই।’