নাঈম হাসানের ক্যারিয়ারটা শুরু হয়েছিল ৫ উইকেট দিয়ে। ২০১৮ সালের নভেম্বরে চট্টগ্রামে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে নিজের অভিষেক টেস্টের প্রথম ইনিংসে ফাইফার ছুঁয়েছিলেন নাঈম।
তিন বছর পর সেই স্মৃতি ফিরিয়ে আনলেন এই অফস্পিনার। চট্টগ্রাম টেস্টে ৬ উইকেট শিকার করেছেন তিনি। এটি তার ক্যারিয়ারে তৃতীয়বার ফাইফার ছোঁয়ার কীর্তি।
মাঝে একবার ৫ উইকেট পেয়েছেন অবশ্য। ২০২০ সালের ফেব্রুয়ারিতে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে। সেটি পেয়েছিলেন হোম গ্রাউনড খ্যাত মিরপুরে।
সবমিলিয়ে ৭ টেস্টের ক্যারিয়ারে মোট ২৫ উইকেট ঝুলিতে জমা করেছেন নাঈম।
শ্রীলংকার বিপক্ষে চট্টগ্রাম টেস্টে খেলার কথা ছিল না নাঈমের। স্পিন-অলরাউন্ডার মিরাজের ইনজুরিতে কপাল খুলেছে তার।
তার সুযোগ পেয়েই তার সদ্ব্যবহার করলেন নাঈম। গত ১৫ মাস ধরে দেশের হয়ে সাদা জার্সির দলে ভিড়তে পারেননি তিনি। এই টেস্টের আগে তাকে শেষ দেখা গিয়েছিল গত বছরের ফেব্রুয়ারিতে।
চট্টগ্রাম টেস্টে প্রথম দিন ২ উইকেট নেওয়ার পর আজ নিয়েছেন আরও ৪টি। সবমিলিয়ে ১০৫ রানে মোট ৬ উইকেট। লঙ্কান দলের সর্বোচ্চ স্কোরার অ্যাঞ্জেলো ম্যাথিউসকেও (১৯৯ রান) শিকার করেছেন তিনি।
১৫৩তম ওভারে নাঈমের ঘূর্ণিজাদুতে পরাস্ত হয়ে সাকিবের হাতে ক্যাচ তুলে দিলেন ম্যাথিউস। তার সাজঘরে ফেরার মধ্য দিয়ে ৩৯৭ রানে প্রথম ইনিংস শেষ হয়েছে শ্রীলংকার।
এর আগের উইকেটটিও নাঈমের শিকার। ফার্নান্দো কেবল ম্যাথিউসকে সঙ্গ দিয়ে যাচ্ছিলেন। ২৩ বলে করেন মাত্র ১ রান। তাকে সরাসরি বোল্ড করে দেন নাঈম।
মধ্যাহ্নভোজ বিরতির আগে জোড়া শিকার করেন নাঈম। তার জোড়া ধাক্কাতেই শ্রীলংকার ব্যাটিং লাইনআপ দুর্বল হয় অনেকটা।
এলবিডব্লিউয়ের ফাঁদে ফেলে শিকার করলেন ৬৬ রানে ব্যাট করতে থাকা চান্দিমালকে।
১৩৬ রানের এই জুটিটা ভাঙলেন নাঈম। ইনিংসের ১১৪তম ওভারের প্রথম বলে চান্দিমালকে আউট করার পর পঞ্চম বলে দারুণ এক ডেলিভারিতে নিরোশান ডিকভেলাকে (৩) বোল্ড করেছেন তিনি।