ফরিদপুরের নগরকান্দার বধূ হিসেবে বাংলাদেশে বেড়াতে এলেন মরিশাসের তরুণী বিবি সোহেলা (২৬)। তার স্বামী মুস্তাকিন ফকির (২৮) নগরকান্দা উপজেলার রামনগর ইউনিয়নের রাধানগর গ্রামের কৃষক খবির ফকিরের ছেলে।
শনিবার (৪ জুন) স্বামীর সঙ্গে ফরিদপুরে বেড়াতে আসেন সোহেলা। বিদেশি বধূ আসার খবরে আশপাশের বিভিন্ন এলাকার মানুষ মুস্তাকিনের বাড়িতে ভিড় করছেন।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, চার পাঁচ বছর আগে মরিশাসে পাড়ি জমান মুস্তাকিন ফকির। সেখানে কাজের সুবাদে সোহেলার সঙ্গে তার পরিচয়। পরিচয়ের সূত্র ধরে তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। পরে তারা বিয়ে করেন।
এলাকাবাসী ও পরিবার সূত্রে জানা যায়, মরিশাসের রাজধানী পোর্ট লুইস শহরের এক মুসলিম পরিবারে জন্ম সোহেলার। সেখানকার একটি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করেন। বর্তমানে তিনি একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে কর্মরত। সেখান থেকেই বাংলাদেশি তরুণ মুস্তাকিনের সঙ্গে তার পরিচয়।
মুস্তাকিন ফকির বলেন, ‘তিন বছর আগে আমাদের পরিচয়। পরিচয়ের একপর্যায়ে আমাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। আমার স্ত্রী ওই দেশের একটি কনস্ট্রাকশন কোম্পানিতে রাজমিস্ত্রির কাজ করতেন। দীর্ঘদিন প্রেমের সম্পর্কের একপর্যায়ে পারিবারিকভাবে আমরা বিয়ে করি। আমরা এক মাসের জন্য বাংলাদেশে বেড়াতে এসেছি।’
রামনগর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) ৯ নম্বর ওয়ার্ডের মেম্বার ও রাধানগর গ্রামের বাসিন্দা বিল্লাল শেখ জাগো নিউজকে বলেন, ‘খবির ফকিরের তিন ছেলে ও এক মেয়ে। মুস্তাকিন ফকির দীর্ঘদিন ধরে বিদেশে থাকতো। বিদেশি মেয়ে বিয়ে করে বউ নিয়ে দেশে এসেছে।’
মুস্তাকিনের বাবা খবির উদ্দিন ফকির বলেন, ‘তাদের দুজনের প্রেমের সম্পর্ক ও বিয়ের খবর আমরা পারিবারিকভাবে আগেই জানতাম। ৪ জুন তারা দেশে এসেছে। বিমানবন্দর থেকে ছেলে ও পুত্রবধূকে গ্রহণ করে বাড়িতে নিয়ে এসেছি।’
স্থানীয় রামনগর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান কাইমুদ্দিন মন্ডল বলেন, বিদেশি বউকে দেখতে দূর-দূরান্ত থেকে মানুষ মুস্তাকিনের বাড়িতে ছুটে আসছে।