প্রাথমিকের মৌখিক পরীক্ষায় অংশ নিতে কাগজ জমার সময় বাড়লো
Published : Thursday, 9 June, 2022 at 12:00 AM
সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষক নিয়োগে প্রথম ধাপের মৌখিক পরীক্ষা আগামী ১২ জুন শুরু হবে। এ ধাপে মৌখিক পরীক্ষার জন্য গত ২৩ মে’র মধ্যে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র জমা দেওয়ার কথা থাকলেও তা বাড়ানো হয়েছে। আগামী ১১ জুন পর্যন্ত এ সময় বাড়ানো হয়েছে।
মঙ্গলবার (৭ জুন) রাতে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর থেকে প্রকাশিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। এতে বলা হয়, সহকারি শিক্ষক নিয়োগের প্রথম ধাপের ফলাফল গত ১২ মে প্রকাশ করা হয়েছে। মৌখিত পরীক্ষার জন্য নির্বাচিত প্রার্থীদের অনলাইনে আবেদনের আপলোড করা ছবি, আবেদনের কপি, লিখিত পরীক্ষার প্রবেশপত্র, নাগরিকত্ব সনদ, স্থায়ী ঠিকানার স্বপক্ষে স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান/ওয়ার্ড কাউন্সিলরের সনদপত্র, জাতীয় পরিচয়পত্র এবং শিক্ষাগত যোগ্যতার সনদসহ পোষ্য সনদ (প্রযোজ্য ক্ষেত্রে) ও অন্যান্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র কমপক্ষে ৯ম গ্রেডের গেজেটেড কর্মকর্তার মাধ্যমে সত্যায়িত করে গত ২৩ মে’র মধ্যে সংশ্লিষ্ট জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসে জমা দেওয়ার জন্য নির্দেশনা দেওয়া হয়েছিল। এ সময়সীমা আগামী ১১ জুন পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়েছে, আগামী ১২ জুন থেকে প্রথম ধাপের লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ প্রার্থীদের মৌখিক পরীক্ষা শুরু হবে। মৌখিক পরীক্ষার বিস্তারিত সময়সূচি সংশ্লিষ্ট জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসের নোর্টিশ বোর্ড এবং প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর, জেলা প্রশাসক ও জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসের ওয়েবসাইটে পাওয়া যাবে।
প্রথম দফায় ৪০ হাজার ৮৬২ জন প্রার্থীকে মৌখিক পরীক্ষার জন্য নির্বাচন করা হয়েছে। গত ২২ এপ্রিল প্রথম ধাপে ঢাকাসহ ২২ জেলার বিভিন্ন উপজেলায় পরীক্ষা হয়। এর মধ্যে ১৪ জেলার সব উপজেলার প্রার্থীদের পরীক্ষা নেওয়া হয়। এসব জেলার মধ্যে ছিল- চাঁপাইনবাবগঞ্জ, মাগুরা, শেরপুর, গাজীপুর, নরসিংদী, মানিকগঞ্জ, ঢাকা, মাদারীপুর, মুন্সিগঞ্জ, লক্ষ্মীপুর, ফেনী, চট্টগ্রাম, মৌলভীবাজার ও লালমনিরহাট।
বাকি আট জেলার কিছু উপজেলার প্রার্থীদের পরীক্ষা নেওয়া হয়। এসব জেলা হলো- সিরাজগঞ্জ, যশোর, ময়মনসিংহ, নেত্রকোনা, কিশোরগঞ্জ, টাঙ্গাইল, কুমিল্লা ও নোয়াখালী।
ফলাফলের নির্দেশনায় বলা হয়েছে, এই ফলের ভিত্তিতে নির্বাচিত প্রার্থীরা কেবল মৌখিক পরীক্ষায় অংশ নিতে পারবেন। এ ফল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের রাজস্ব খাতভুক্ত ‘সহকারী শিক্ষক নিয়োগ ২০২০’ এর কোনো শূন্যপদে নিয়োগের নিশ্চয়তা দেয় না।
প্রকাশিত ফলের যে কোনো পর্যায়ে কোনো প্রকার ভুলভ্রান্তি/ত্রুটি-বিচ্যুতি/মুদ্রণজনিত ত্রুটি পরিলক্ষিত হলে তা সংশোধন বা প্রয়োজনবোধে বাতিল করার এখতিয়ার কর্তৃপক্ষ সংরক্ষণ করে বলেও উল্লেখ করা হয়।