বিএনপি সকালে এক কথা, বিকালে আরেক কথা বলে মিথ্যাচার করতে করতে বাংলাদেশের মানুষের কাছে প্রতারক দল হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ। তিনি বলেন,  তারা বলে নির্বাচনে অংশ নিবে না। কিন্তু বিভিন্ন জায়গায় তারা বিভিন্ন জায়গায় নির্বাচনে অংশ নিচ্ছে। দলীয় প্রতীক বাদ দিয়েই তারা নিচ্ছে। আবার বলে আমরা নির্বাচনে যাবো না। এটা জনগণের সাথে প্রতারণার শামিল। এটার বিএনপির চারিত্রিক বৈশিষ্ট্যের প্রতিফলন বলেই মনে হয়।
বৃহস্পতিবার (৯ জুন) কুমিল্লার কাবিলা এলাকায় অবস্থিত হোটেল নূর মহলে কুমিল্লা মহানগর আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দের সাথে সাংগঠনিক মতবিনিময় সভা শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি।
হানিফ বলেন, এই দলটার জনগণের ভোট চাওয়া বা যাওয়ার মতো কোনো আপিল নেই, বলার মতো কিছু নেই। কারণ তারা রাষ্ট্রক্ষমতায় থাকতে যতরকম অন্যায় অত্যাচার করেছে, হাওয়া ভবন বানিয়ে এদেশের সম্পদ লুট করেছিলো এবং আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের হত্যা করেছিলো। দেশের জন্য কোনো উন্নয়ন কর্মকাণ্ড করেছে- এরকম নজির তারা দেখাতে পারে না। সারাদেশে তারা যুদ্ধাপরাধীদের বিচার বন্ধের জন্য তাণ্ডব চালিয়েছিলো। স্বাভাবিকভাবেই তারা জনগণ থেকে বিচ্ছিন্ন। জনগণের কাছে যাওয়ার মতো কিছু নেই বলেই তারা সকাল-বিকাল মিথ্যাচার করে, সরকারের বিরুদ্ধে বিষদ্গার করে এটাই হলো তাদের মূল কাজ।
কুমিল্লা সিটি নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থীর জয়ের ব্যাপারে কতোটা আশাবাদী এমন প্রশ্নে মাহবুব উল আলম হানিফ বলেন, আমি আসলে কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশন নিয়ে কথা বলতে এখানে আসি নাই। আমি এসেছি দলের নেতাকর্মীদের সাথে সাংগঠনিক বিষয় নিয়ে। তবে আমরা সকল নির্বাচনেই আওয়ামী লীগ জয়ের ব্যাপারে শতভাগ আশাবাদী। কারণ জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ গত ১৩ বছরে দেশে যে উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ড করেছে এবং জনগণ তারা সুফল ভোগ করছে তাতে জনগণ স্বাভাবিকভাবেই জননেত্রী শেখ হাসিার প্রতি আস্থাশীল এবং শেখ হাসিনার প্রতীকের প্রতি আস্থাশীল। সুতরাং যে কোনো নির্বাচনেই আমরা জয়ের ব্যাপারে শতভাগ আশাবাদী।
তিনি বলেন, আমরা এখানে (কুমিল্লায়) এসেছি সাংগঠনিক বিষয় নিয়ে কথা বলতে। আমরা সিটির বাইরে আছি। আগামী ডিসেম্বরে আমাদের জাতীয় কাউন্সিল হবে। সেই কাউন্সিলকে কেন্দ্র করে সারা দেশে  বিভিন্ন জেলা, উপজেলা, ইউনিয়ন এবং ওয়ার্ড কাউন্সিল অনুষ্ঠিত হচ্ছে। কুমিল্লা সিটি নির্বাচনের কারণে আমরা এখানে সাংগঠনিক তৎপরতা শুরু করতে পারছি না। আমাদের সাংগঠনিক কর্মকাণ্ড পরিচালনার জন্য সিটির বাইরে আমাদের কর্মীদের নিয়ে বসেছি।
এসময় কুমিল্লা মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সদর আসনের এমপি আ ক ম বাহাউদ্দিন বাহার, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিবিষয়ক সম্পাদক প্রকৌশলী মো. আবদুস সবুর, ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক সুজিত রায় নন্দীসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।