কুমিল্লা সিটি করপোরেশন নির্বাচনের বেসরকারি ফলাফল বুধবার (১৫ জুন) রাতে ঘোষণা হয়েছে। ঘোষিত ফল অনুযায়ী ৩১৯টি ভোট বাতিল হয়েছে। তবে ইভিএমে ভোট বাতিলের বিষয়টি নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে রিটার্নিং কর্মকর্তা শাহেদুন্নবী চৌধুরী দাবি করেছেন, ব্যালটের মতো ইভিএমেও ভোট বাতিল হতে পারে।
তিনি বলেন, ‘পুরো নির্বাচনে ৩১৯টি ভোট বাতিল হয়েছে। ইভিএম পদ্ধতিতেও ভোট বাতিল হতে পারে। কোনও ভোটার সাদা বোতাম না চেপে পর পর দুইবার লাল বোতাম (ক্যান্সেল) চাপলে ভোট বাতিল হয়। তখন স্ক্রিনে লেখা আসে ভোটার কোনও প্রার্থী নির্বাচন করেননি। অর্থাৎ ভোটটি বাতিল হয়েছে। কাগজের ব্যালটে সিল না মেরে বক্সে ফেললে যেমনটা হয়।’
তবে ভোট বাতিলের বিষয়ে প্রশ্ন তুলেছেন পরাজিত প্রার্থী টেবিল ঘড়ি প্রতীকের মনিরুল হক সাক্কু। তার দাবি, ‘পুরো ফলাফল প্রকাশ্যে ছিনতাই হয়েছে। বিষয়টি দেশবাসীও দেখেছেন, আপনারা দেখেছেন। ইভিএমে ৩১৯ ভোট কীভাবে বাতিল হলো, এটা আমরা জানি না। এগুলো যান্ত্রিক বিষয়, সিস্টেমে কাজ হয়েছে।’
নির্বাচনে মেয়র পদে জয়ী আরফানুল হক রিফাত বলেন, ইভিএমে আবার ভোট ছিনতাই হয় কী করে? নির্বাচনে যা ফলাফল এসেছে রিটার্নিং কর্মকর্তা তাই প্রকাশ করেছেন। এটা নিয়ে আর বলার কিছু নাই।
এর আগে, বুধবার (১৫ জুন) সকাল ৮টা থেকে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) কুমিল্লা নগরীর ২৭টি ওয়ার্ডের ১০৫টি কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ হয়। রাত সাড়ে ৯টার দিকে রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. শাহেদুন্নবী চৌধুরী জেলা শিল্পকলা একাডেমিতে নির্বাচনের ফল ঘোষণা করেন।
বেসরকারি ফল অনুযায়ী নৌকার প্রার্থী আরফানুল হক রিফাত তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী সাক্কুকে ৩৪৩ ভোটে পরাজিত করেন। ইভিএমে নেওয়া ভোটের হিসাবে রিফাত পেয়েছেন ৫০ হাজার ৩১০ ভোট। সাক্কু টেবিল ঘড়ি প্রতীকে পেয়েছেন ৪৯ হাজার ৯৬৭ ভোট। এছাড়া মোহাম্মদ নিজাম উদ্দিন কায়সার ঘোড়া প্রতীকে ২৯ হাজার ৯৯, রাশেদুল ইসলাম হাতপাখায় তিন হাজার ৪০ ও কামরুল আহসান বাবুল হরিণ প্রতীকে দুই হাজার ৩২৯ ভোট পেয়েছেন।
রিটার্নিং কর্মকর্তার দফতর সূত্রে জানা যায়, নির্বাচনে মোট দুই লাখ ২৯ হাজার ৯২০ ভোটার ছিলেন। এরমধ্যে এক লাখ ৩৫ হাজার ৬৪টি ভোট পড়ে। তবে বাতিল হয় ৩১৯ ভোট। ভোট পড়েছে ৫৮.৭৪ শতাংশ। মোট ১০৫টি ভোটকেন্দ্রের ৬৪০টি কক্ষে ভোটগ্রহণ হয়। নির্বাচনে সাধারণ কাউন্সিলর পদে ১০৬ জন ও সংরক্ষিত মহিলা কাউন্সিলর পদে ৩৬ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন।