করোনার কারণে দুবছর বন্ধ থাকার পর বাংলাদেশ থেকে হজে যাওয়া শুরু হয়েছে। এবার বাংলাদেশ থেকে ৫৭ হাজার ৫৮৫ জনকে পবিত্র হজ পালনের অনুমতি দিয়েছে সৌদি আরব। যদিও আগে প্রায় ১ লাখ ৩০ হাজার মানুষ বাংলাদেশ থেকে হজে অংশ নেওয়ার সুযোগ পেতেন। এবার অনেকে নিবন্ধন করলেও হজে যেতে পারবে না বয়সের ঊর্ধ্বসীমা নির্ধারণের কারণে। এ অবস্থায় কিছু অসাধু ব্যক্তি প্রতারণার আশ্রয় নিয়ে ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের হজে পাঠানোর মিথ্যা আশ্বাস দিয়ে অর্থ হাতিয়ে নিচ্ছে। এ বিষয়ে ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয় হজযাত্রীদের সর্তক থাকার আহবান জানিয়েছে।
জানা গেছে, এবার ৬৫ বছরের বেশি বয়সীদের হজে অংশগ্রহণের সুযোগ দিচ্ছে না সৌদি সরকার। আগামীতেও যদি এ নিয়ম বহাল থাকে তবে অনেকের পক্ষে হজ করা সম্ভব হবে না। এ কারণে অনেকেই যে কোনভাবে হজে যেতে এজেন্সিগুলোর কাছে ছুটছেন। কেউ কেউ পড়ছেন প্রতারকচক্রের খপ্পরে।
অন্যদিকে অনেক হজযাত্রীর মোবাইলে ফোন করে বলা হচ্ছে, সরকারিভাবে হজে যাওয়ার জন্য তার নাম তালিকায় যুক্ত করা হয়েছে। তবে এজন্য দিতে হবে বাড়তি ১০ হাজার টাকা।
ধর্ম মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, এ বছরের জন্য আর কোনও কোটা খালি নেই। ফলে অন্য কোনভাবেই নতুন করে হজযাত্রীর জন্য ভিসা করার সুযোগ নেই। ফলে কোনও অসাধু ব্যক্তির হজে পাঠানোর মিথ্যা আশ্বাসে বিশ্বাস করলে প্রতারিত হতে হবে। এ জন্য সকলকে সর্তক থাকার পরামর্শ দিয়েছে মন্ত্রণালয়।
চাঁদ দেখা সাপেক্ষে আগামী ৮ জুলাই (৯ জিলহজ) সৌদি আরবে পবিত্র হজ অনুষ্ঠিত হবে। ৫ থেকে ১৫ জুন পর্যন্ত সৌদি আরবে পৌঁছেছেন ১৩ হাজার ২২৯ জন বাংলাদেশি হজযাত্রী। এরমধ্যে সরকারি ব্যবস্থাপনার হজযাত্রী ৩ হাজার ৩৮৫ জন, বেসরকারি ব্যবস্থাপনার হজযাত্রী ৯ হাজার ৮৪৪ জন। ৩৪টি ফ্লাইটে এই হজযাত্রীরা সৌদি গিয়েছেন। এর মধ্যে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স পরিচালিত ১৯টি, সৌদি এয়ারলাইন্স পরিচালিত ১০টি এবং ফ্লাইনাস এয়ারলাইন্স পরিচালিত ৫টি ফ্লাইটে গিয়েছেন হজযাত্রীরা। এখন পর্যন্ত সৌদি আরবে ইন্তেকাল করেছেন ১ জন হজযাত্রী।
এদিকে, ১৫ জুন চট্টগ্রামের শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে জেদ্দা ও মদিনা রুটে ডেডিকেটেড ফ্লাইট পরিচালনা করছে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স। চট্টগ্রাম-জেদ্দা রুটে ৯টি ও চট্টগ্রাম-মদিনা রুটে ২টি ফ্লাইটসহ এবছর প্রি-হজে মোট ৬৫টি ডেডিকেটেড ফ্লাইট পরিচালনা করবে বিমান।