শাহীন আলম, দেবিদ্বার ||
সেতুটির দুই পাশে কোনো রেলিং নেই। বেশির ভাগ পিলারে বড় বড় ফাটলও ধরেছে, খসে পড়ছে পলেস্তরা, বেরিয়ে গেছে রড, মেয়াদ শেষ বহু আগে। এরপরও এমন ঝুঁকিপূর্ণ সেতুর ওপর দিয়েই প্রতিদিন শত শত যানবাহন চলাচল করছে। কুমিল্লার দেবিদ্বার উপজেলার ধামতী ইউনিয়নের দক্ষিণ খাঁ এলাকার কোড়ের পাড় খালের ওপর নির্মিত সেতুটির বর্তমান এমন দশা। যে কোনো সময় সেতুটি ভেঙে পড়ে বড় ধরণের দুর্ঘটনা ঘটার আশঙ্কা করছেন স্থানীয় এলাকাবাসী।
জানা গেছে, এ সেতুটির পাশে দক্ষিণ খাঁ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়সহ অসংখ্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান  ও মসজিদ রয়েছে। আশেপাশের বাজারে বিভিন্ন কাঁচামাল ও কৃষিপণ্য পরিবহন কাজে সেতুটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
শুক্রবার দুুপরে সরেজমিনে গেলে স্থানীয় বাসিন্দা কামরুল হাসান আনিস জানান, ভারী যানবাহন উঠলে সেতুটি কাঁপতে থাকে। সেতুর দুই পাশে রেলিং না থাকায় কয়েকদিন পরপর বিভিন্ন যানবাহন নিচে পড়ে যায়। যে কোনো সময় সেতুটি ধসে পড়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে। জীর্ণ ও নড়বড়ে সেতুটি ভেঙে সেখানে নতুন সেতু নির্মাণের দাবি জানান তিনি।
ইউপি সদস্য মো. ইব্রাহিম খলিল বলেন, ১৯৮৬ সালে এ সেতুটি একবার ধসে পড়েছে। পরে দীর্ঘ চার বছর মানুষ সাকো দিয়ে চলাচল করে। ১৯৯৯ সালে সেতুটি পুনরায় নির্মাণ করা হয়। এরপর আরও কোন সংস্কার করা হয়নি। বর্তমানে এটি একটি জনগুরুত্বপূর্ণ সেতু। মানুষ বাড়ি নির্মাণের ইট,বালু, সিমেন্টসহ ভাড়ী যানবাহন দিয়ে বিভিন্ন মালামাল এ সেতুর ওপর পারপার করে। তখন সেতুটি বিকট কম্পন সৃষ্টি হয়। এছাড়াও চট্টগ্রাম-ঢাকা মহাসড়কের নুড়িতলা হয়ে দেবিদ্বারে প্রবেশ করতে হয় এ ঝুঁকিপূর্ণ সেতুর ওপর দিয়ে। দীর্ঘদিন সেতুটি এ অবস্থায় পড়ে আছে। স্থানীয় উপজেলা প্রকোশলী অফিস কয়েক বছর আগে সয়েল টেস্ট করেছেন, কিন্তু এখনও কোন উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। এটি দ্রুত নতুন করে নির্মাণের দাবি জানাচ্ছি। এ ব্যাপারে দেবিদ্বার উপজেলা প্রকৌশলী মো. শাহ আলম জানান, খুব শিগ্রই সেতুটি নতুন করে নির্মাণ করা হবে। দেবিদ্বার উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মো. আবুল কালাম আজাদ জানান, শুনেছি সেতুটি খুবই ঝুঁকিপূর্ণ। এটি ভেঙে নির্মাণের উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে।