ই-পেপার ভিডিও ছবি বিজ্ঞাপন কুমিল্লার ইতিহাস ও ঐতিহ্য যোগাযোগ কুমিল্লার কাগজ পরিবার
রোমাঞ্চকর ম্যাচে মোহামেডানকে হারালো আবাহনী
Published : Thursday, 23 June, 2022 at 12:00 AM, Update: 22.06.2022 11:46:13 PM
রোমাঞ্চকর ম্যাচে মোহামেডানকে হারালো আবাহনীদানিয়েল কলিনদ্রেস সরাসরি কর্নার থেকে গোল করে সবাইকে চমকে দিলেন। অলিম্পিক গোলের পর আবাহনী লিমিটেড আরও তিনটি লক্ষ্যভেদ করলো। মোহামেডানও কম যায়নি। দুই গোল শোধ দিয়েছে। ৬টি গোলই হয়েছে প্রথমার্ধে। বিরতির পর খেলাতে সেই ধার ছিল না। তাই স্কোরলাইনে পরিবর্তন আসেনি। ১০ জনের দল নিয়েও আবাহনী রোমাঞ্চকর ম্যাচ জিতে নিয়েছে ৪-২ গোলের ব্যবধানে।
বুধবার কুমিল্লার শহীদ ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত স্টেডিয়ামে ম্যাচের শুরু থেকে আবাহনী ঝাঁপিয়ে পড়ে। রাফায়েল অগাস্তো-দানিয়েল কলিনদ্রেস-দোরিয়েল্তনদের নিয়ে গড়া আক্রমণভাগের গোল পেতে সময় লাগেনি। সাদা-কালো দলের মেসিডোনিয়ান ডিফেন্ডার ইয়াসমিন না থাকায় রক্ষণ জমাট ছিল না, সেই সুবিধাটা ভালোই কাজে লাগিয়েছে আবাহনী।
ম্যাচ-ঘড়ির পঞ্চম মিনিটে কলিনদ্রেসের শট ঝাঁপিয়ে আটকান মোহামেডান গোলকিপার সুজন চৌধুরী। কিন্তু তিন মিনিট পরই কোস্টারিকার এই ফরোয়ার্ডের কর্নার সরাসরি দূরের পোস্ট দিয়ে জালে জড়ালে এগিয়ে যায় আবাহনী।
দুই মিনিট পরই ব্যবধান দ্বিগুণ করে নেয় আকাশি-নীলরা। নুরুল নাইম ফয়সালের পাস ধরে বক্সে ঢুকে দুই ডিফেন্ডারের ফাঁক দিয়ে নিখুঁত শটে জাল খুঁজে নেন দোরিয়েল্তন। ১৩ মিনিটে এই ব্রাজিলিয়ান স্ট্রাইকারের শট কোনোমতে আটকান সুজন।
দুই গোলে পিছিয়ে পড়ে তারুণ্যনির্ভর দল মোহামেডান ঘুরে দাঁড়ানোর সুযোগ খুঁজতে থাকে। সেটি তারা পেয়েও যায় ১৯ মিনিটে। মোহাম্মদ আলমগীরের আড়াআড়ি ক্রসে সোলেমান দিয়াবাতের দারুণ সাইড ভলিতে পরাস্ত হন গোলকিপার শহীদুল আলম সোহেল। ডিফেন্ডার নুরুল নাইম ফয়সাল গায়ের সঙ্গে সেঁটে থাকলেও পারেননি তাকে আটকাতে।
ম্যাচে তখনও উত্তেজনা কমেনি। বিরতির আগের ৫ মিনিটে আরও ৩ গোল হয়েছে। ৪০ মিনিটে চোট পেয়ে কিছুটা খোঁড়াতে খোঁড়াতে মাঠ ছাড়েন আবাহনীর ব্রাজিলিয়ান মিডফিল্ডার রাফায়েল অগাস্তো। বদলি নামেন ইমন মাহমুদ। নামার ৩ মিনিট পরই গোল পান এই মিডফিল্ডার। কলিনদ্রেসের শট সুজন ফিস্ট করার পর বক্সেই পেয়ে যান ইমন, ফাঁকায় থেকে ফিরতি শটে জাল কাঁপান তিনি।
প্রথমার্ধের যোগ করা সময়ে আরও ২ গোল দেখেছে মাঠে আসা দর্শকরা। ইনজুরি টাইমের দ্বিতীয় মিনিটে অনিক হোসেনের লম্বা পাস ধরে নাইমকে কাটিয়ে জায়গা করে নিয়ে বাঁ পায়ের শটে স্কোরলাইন ৩-২ করেন মোহামেডানের শাহরিয়ার ইমন। যোগ করা সময়ের পঞ্চম মিনিটে কলিনদ্রেসের কর্নারে দোরিয়েল্তনের ব্যাক হেডে ব্যবধান ফের বাড়িয়ে নেয় আবাহনী।
বিরতির পর সুজনের জায়গায় আহসান হাবিব বিপু মাঠে নামেন। নেমে অবশ্য এই অর্ধে আর কোনও গোল হজম করতে দেননি দলকে। আবাহনী লিমিটেড চেষ্টা করেও পারেনি ব্যবধান আর বাড়াতে। ৬০ মিনিটের সময় সোহেল রানার শট বিপু রুখে দেন। ৭ মিনিট পর রাকিবের জোরালো শট ক্রসবারের ওপর দিয়ে গেলে গোল পাওয়া হয়নি।
৮০ মিনিটে আবাহনী ১০ জনের দলে পরিণত হয়। আলমগীরকে বাধা দেন রেজাউল করিম। রেফারি বিটুরাজ বড়ুয়া সিদ্ধান্ত নিতে সময় নেননি। ডাবল হলুদ কার্ড দেখে মার্চিং অর্ডার পান এই বর্ষীয়ান ডিফেন্ডার। তবে ১০ জনের দল পেয়েও মোহামেডান আর গোল শোধ দিতে পারেনি। তাদের একটি প্রচেষ্টা জালে জড়ালেও তা অফসাইডের কারণে বাতিল হয়।
ফলে ১১ বছর পর শফিকুল ইসলাম মানিকের মোহামেডানের ডাগ আউটে ফেরাটা সুখকর হয়নি। প্রথম ম্যাচেই এই অভিজ্ঞ কোচ পেলেন হারের তিক্ত স্বাদ!
আবাহনী ১৬ ম্যাচে ১০ জয়ে ৩৫ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের দ্বিতীয় স্থানে আছে। সমান ম্যাচে মোহামেডান চতুর্থ হারে আগের ২২ পয়েন্ট নিয়ে ষষ্ঠ স্থানে। অন্যদিকে পুলিশ ১৬ ম্যাচে ২২ পয়েন্ট ও বারিধারার সংগ্রহ ১২ পয়েন্ট।