গবেষকরা যে টুল দিয়ে ফেসবুকের কোনও ভাইরাল স্টোরি পর্যবেক্ষণ করে সেটা হলো ক্রাউডট্যাংগল। এই টুল ব্যবহার করে কোনও ভুয়া তথ্যও শনাক্ত করা হয়। তবে সম্প্রতি ব্লুমবার্গের একটি রিপোর্ট থেকে দেখা যায়, ফেসবুক টুলটির আপগ্রেডেশন বন্ধ করে দিয়েছে এবং এটিকে বন্ধ করে দেওয়ার পরিকল্পনা করছে।
ক্রাউডট্যাংগল ট্র্যাকিং কী?
ক্রাউডট্যাংগল হলো ফেসবুকের একটি পাবলিক ইনসাইট টুল; যা পাবলিশার, সাংবাদিক, গবেষক, ফ্যাক্ট-চেকার এমন বিভিন্ন ধরনের মানুষদের জন্য বিশ্লেষণ এবং রিপোর্ট তৈরির একটি টুল যার মাধ্যমে তারা দেখে থাকেন সোশ্যাল মিডিয়ায় কী ঘটছে। এটি সাধারণত পাবলিক কনটেন্ট থেকে যেমন পেজ, গ্রুপ, ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্ট অথবা জনপ্রিয় সাবরেডিট থেকে ডাটা বা কনটেন্ট নিয়ে থাকে। অর্থাৎ সেটি কেমন শেয়ার, কমেন্ট, ভিউ বা রি-অ্যাকশান পাচ্ছে। তবে এই টুলটি কারও প্রোফাইল থেকে কোনও তথ্য নেয় না।
ফেসবুকের নিউজ ফিড বিভাগের প্রধান জন হেগমান বলেন, ডেইলি টপ টেন লিস্ট থেকে এনগেজমেন্ট ডাটা পাওয়া গেলেও ফেসবুকে কোন জিনিসটি মানুষ বেশিরভাগ দেখে তা বোঝা যায় না।
ভার্জ জানায়, ২০১৬ সালে ক্রাউডট্যাংগল ফিচারটি কিনে নেয় ফেসবুক। এটি মূলত প্রকাশকদের জন্য একটি সহায়ক টুল ছিল যার মাধ্যমে তারা সোশ্যাল পারফরমেন্স এবং কারা এই সমাজে প্রভাবক সেটা দেখতো। এটি ফেসবুক ছাড়াও ইনস্টগ্রাম এবং টুইটারের স্টোরিও পর্যবেক্ষণ করতো। এর মাধ্যমে সহজেই ভুয়া তথ্য বের করা যেতো।
তবে ইউরোপীয় ডিজিটাল সার্ভিস অ্যাক্টের চাপের কারণে ফিচারটিকে বন্ধ করে দিচ্ছে মেটা। ফেসবুকের একজন মুখপাত্র জানায়, বড়জোর এ বছর এই ফিচারটি চালু থাকতে পারে।