Published : Sunday, 3 July, 2022 at 12:00 AM, Update: 03.07.2022 1:30:55 AM
নিজস্ব
প্রতিবেদক: দেশে দিনে শনাক্ত কোভিড রোগীর সংখ্যা অর্ধেকে নেমে এলেও
মৃত্যুর সংখ্যা বেড়েছে। শনিবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তর ছয়জন কোভিড রোগীর
মৃত্যুর খবর দিয়েছে। এই সময়ে শনাক্ত হয়েছে ১ হাজার ১০৫ জন রোগী। শুক্রবার
মারা গিয়েছিল পাঁচজন, আর শনাক্ত হয়েছিল প্রায় ১৯০০ রোগী। তার আগে টানা চার
দিন ২ হাজারের বেশি রোগী শনাক্ত হয়েছিল। নতুন শনাক্ত রোগীদের নিয়ে দেশে
শনাক্ত মোট কোভিড রোগীর সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ১৯ লাখ ৭৬ হাজার ৭৮৭। আর ৬ জনের
মৃত্যুতে মৃতের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ২৯ হাজার ১৬০।
গত ২৪ ঘণ্টায় ২৩৩ জন
কোভিড রোগীর সেরে ওঠার তথ্য দিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। তাদের নিয়ে এই
পর্যন্ত সুস্থ হলেন ১৯ লাখ ৭ হাজার ৯৯০ জন। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের বুলেটিনে
বলা হয়, শনিবার সকাল পর্যন্ত আগের ২৪ ঘণ্টায় ৮ হাজার ৩৫৭টি নমুনা পরীক্ষা
করে ১ হাজার ১০৫ জনের মধ্যে করোনাভাইরাস সংক্রমণ ধরা পড়ে। এতে নমুনা
পরীক্ষার বিপরীতে শনাক্তের হার দাঁড়িয়েছে ১৩ দশমিক ২২ শতাংশ।
এই হার
দেশে মোট শনাক্তের হারের (১৩ দশমিক ৭৬ শতাংশ) চেয়ে কম। গত কয়েকদিনে এই হার
সার্বিক শনাক্তের হারের বেশি ছিল। নতুন শনাক্ত ১ হাজার ১০৫ জনের মধ্যে ৮৮৬
জনই ঢাকা জেলার বাসিন্দা। ঢাকা ছাড়াও আরও ৩১টি জেলায় করোনাভাইরাসের রোগী
ধরা পড়েছে।
গত এক দিনে যে ছয়জনের মৃত্যু হয়েছে, তাদের তিনজন নারী এবং
তিনজন পুরুষ। তাদের তিনজন সরকারি এবং তিনজন বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন
অবস্থায় মারা গেছেন। মৃতদের তিনজন ঢাকা বিভাগ, দুজন চট্টগ্রাম বিভাগ এবং
একজন ময়মনসিংহ বিভাগের বাসিন্দা ছিলেন।
করোনাভাইরাসের নতুন ধরন
ওমিক্রনের দাপট কমলে ফেব্রুয়ারির শেষ দিকে দৈনিক শনাক্ত রোগীর সংখ্যা
হাজারের নিচে নেমে আসে। ধারাবাহিকভাবে কমতে কমতে এক পর্যায়ে ২৬ মার্চ তা
একশর নিচে নেমে যায়। কিন্তু গত ২২ মের পর থেকে শনাক্ত রোগীর সংখ্যা আবারও
বাড়ছে।
বাংলাদেশে করোনাভাইরাসের প্রথম সংক্রমণ ধরা পড়েছিল ২০২০ সালের ৮
মার্চ। ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের ব্যাপক বিস্তারের মধ্যে গত বছরের ২৮ জুলাই
দেশে রেকর্ড ১৬ হাজার ২৩০ জন নতুন রোগী শনাক্ত হয়।
প্রথম রোগী শনাক্তের
১০ দিন পর ২০২০ সালের ১৮ মার্চ দেশে প্রথম মৃত্যুর তথ্য নিশ্চিত করে
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। ২০২১ সালের ৫ অগাস্ট ও ১০ অগাস্ট ২৬৪ জন করে মৃত্যুর
খবর আসে, যা মহামারীর মধ্যে এক দিনের সর্বোচ্চ সংখ্যা।
বিশ্বে করোনাভাইরাস আক্রান্ত হয়ে এ পর্যন্ত মারা গেছে ৬৩ লাখ ৩৭ হাজারের বেশি মানুষ। বিশ্বজুড়ে আক্রান্ত ছাড়িয়েছে ৫৪ কোটি ৮৪ লাখ।