৭ দিনে অনলাইনে পৌনে ৭ কোটি টাকার কোরবানির পশু বিক্রি
Published : Saturday, 9 July, 2022 at 12:00 AM
ভোলায় পবিত্র ঈদুল আযহা উপলক্ষে সাধারণ পশুর হাটের সাথে সাথে জনপ্রিয়তা পেয়েছে অনলাইন কোরবানির পশুর হাট। এবছর শুক্রবার (৮জুলাই) পর্যন্ত গত সাত দিনে জেলা ও উপজেলা প্রাণিসম্পদ কার্যালয়ের তত্বাবধানে পরিচালিত এ হাটগুলোতে এক হাজার ৬৪টি কুরবানির পশু বিক্রি হয়েছে। এর মধ্যে গরু ও মহিষ ৭৭৩টি এবং ছাগল ও ভেড়া ২৯১টি। এগুলোর বাজার মূল্য ছয় কোটি ৭২লাখ ২৩হাজার টাকা।
জেলা প্রাণীসম্পদ কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, গত বছর করোনাকালিন কোরবানির ঈদ উপলক্ষে জেলায় একটি ও সাত উপজেলায় সাতটি অনলাইন কুরবানির পশুরহাট চালু করা হয়। এ ৮টি অনলাইন পশুর হাটে গত বছর এক হাজার ৫৫টি পশু বিক্রি হয়েছে। এর দাম হয়েছে সাড়ে আট কোটি টাকা। এ বছর এর দ্বিগুন পশু বিক্রির আশা ছিল তাদের। তবে এবছর করোনার প্রকোপ কম থাকায় মানুষ হাটে গিয়েই কুরবানির জন্য পশু ক্রয় করেছেন। তাই অনলাইনে চাহিদা ছিল কম। এর পরও গত সাত দিনে এক হাজার ৬৮টি পশু ছয় কোটি ৭২ লাখ ২৩ হাজার টাকায় বিক্রি হয়েছে।
জেলা প্রাণি সম্পদ কার্যালয় সূত্রে আরো জানা গেছে, এবছর কুরবানী ঈদ উপলক্ষে ৯৩টি স্থায়ী ও ৩৯টি অস্থায়ী পশুরহাট বসেছে। এর মধ্যে সদরে ১৫টি, দৌলতখানে ৬টি, বোরাহনউদ্দিনে ১২টি, তজুমদ্দিনে ৫টি, লালমোহনে ২৬টি, চরফ্যাশনে ২২টি ও মনপুরায় ৭টি। এ হাটগুলোতে পশুর স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য মোট ২১টি ভেটেনারী মেডিকেল টিম কাজ করছে।
এবছর ভোলায় কোরবানির জন্য বিভিন্ন খামারের পাশাপাশি ব্যক্তি পর্যায়ে মোট এক লক্ষ তিন হাজার পশু প্রস্তুত রয়েছে। এর মধ্যে গরু ৫৫হাজার ৮৭০টি, মহিষ ৮৫০টি, ছাগল ৪৪ হাজার ৯৩০টি ও ভেড়া এক হাজার ৩৫০টি। তবে ভোলায় এ বছর পশুর চাহিদা রয়েছে ৯৭হাজার ৫০০টি। চাহিদার চেয়ে পাঁচ হাজার ৫০০টি পশু বেশি রয়েছে।
ভোলা জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ইন্দ্রজিৎ কুমার মন্ডল জানান, এ বছর কুরবানি উপরক্ষে এবছর অনলাইনে গত বছরের তুলনায় দ্বিগুন পশু বিক্রির লক্ষ মাত্রা ছিল। কিন্তু করোনার প্রকোপ কম থাকায় সাধারণ মানুষ হাটে গিয়েই কুরবানির পশু কিনেছেন। তার পরও গ্রাম হিসেবে অনলাইনে ভালো সারা পাওয়া গেছে। সামনের দিকে মানুষ সরাসরি পশু ক্রয়ের চেয়ে অনলাইনের প্রতি আগ্রহী হবে।