Published : Saturday, 9 July, 2022 at 12:00 AM, Update: 09.07.2022 1:54:46 AM
দুই দফা মিলিয়ে সবচেয়ে বেশিদিন জাপানের প্রধানমন্ত্রী হিসাবে দায়িত্ব পালন করা শিনজো আবের হত্যাকাণ্ড গোটা বিশ্বকেই নাড়িয়ে দিয়েছে। শুক্রবার সকালে নারা শহরে নির্বাচনী পথসভায় বক্তৃতার সময় পেছন থেকে গুলি করার হলে কয়েক ঘণ্টা পর হাসপাতালে তার মৃত্যু হয়।
ঘটনাস্থল থেকে ৪১ বছর বয়সী সন্দেহভাজন হামলাকারী তেতসুইয়া ইয়ামাগামিকে আটক করেছে পুলিশ।
বিবিসি জানিয়েছে, আবে যে স্থানে বক্তৃতা করছিলেন, সেটি রাজধানী টোকিও থেকে ৪৮০ কিলোমিটার দূরে। তিনি নারার পুননির্বাচনে জাপান পার্লামেন্টের উচ্চ কক্ষের বর্তমান সদস্য কেই সাতোর পক্ষে বক্তব্য দিচ্ছিলেন।
সে সময় হঠাতই দুটি গুলির আওয়াজে পুরো এলাকা কেঁপে ওঠে। একটি গুলি আবের ঘাড়ে লাগে। সঙ্গে সঙ্গে আবে পড়ে গেলে তাকে কাছেই হাসপাতালে নেওয়া হয়।
ঘটনাস্থলে নিরাপত্তাকর্মীরা বন্দুকধারীকে ধরে ফেলেন, যাকে এখন হেফাজতে রাখা হয়েছে। সেখানে মাটিতে পড়ে থাকা একটি বন্দুকও উদ্ধার করেছে তারা। বন্দুকটি হাতে তৈরি বলে মনে করা হলেও পুলিশ এখনও নিশ্চিত করে কিছু জানায়নি।
জাপানের সংবাদমাধ্যম এনএইচকে জানিয়েছে, বক্তৃতার প্রায় মাঝামাঝি সময়ে আবেকে পেছন থেকে গুলি করা হয়, তিনি পড়ে যান আর রক্তপাত হতে থাকে। সেখানে থেকে দ্রুত তাকে হাসপাতালে নেওয়া হয়েছিল।
আবে যে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন, সেই নারা মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালের একজন চিকিৎসক জানিয়েছেন, সাবেক প্রধানমন্ত্রীর ঘাড়ের ডান দিকে গুলি লেগেছিল আর তার আঘাত হৃদপিণ্ড পর্যন্ত গভীর ছিল। তবে শরীরে আর কোনো বুলেট পাওয়া যায়নি।
গুলি লাগার পর অতিরিক্ত রক্তক্ষরণেই দেশটির প্রভাবশালী এ রাজনীতিকের মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা।
শিনজো আবেকে হত্যার ঘটনায় গ্রেপ্তার তেতসুইয়া ইয়ামাগামি (৪১) নারা শহরেরই বাসিন্দা। তিনি জাপানের নৌ বাহিনীর মেরিটাইম সেলফ ডিফেন্স ফোর্সের সাবেক সদস্য।
তেতসুইয়া জিজ্ঞাসাবাদে পুলিশকে বলেছেন, আবের প্রতি তার অসন্তোষ ছিল, সে কারণেই তাকে ‘হত্যা’ করতে চেয়েছিলেন।