ই-পেপার ভিডিও ছবি বিজ্ঞাপন কুমিল্লার ইতিহাস ও ঐতিহ্য যোগাযোগ কুমিল্লার কাগজ পরিবার
কুমিল্লার মনোহরগঞ্জে গৃহবধূকে আত্মহত্যার প্ররোচনার ঘটনায় গ্রেপ্তারকৃত স্বামী রিমান্ডে
মোঃ হুমায়ুন কবির মানিক
Published : Tuesday, 19 July, 2022 at 9:43 PM, Update: 19.07.2022 9:50:41 PM
কুমিল্লার মনোহরগঞ্জে গৃহবধূকে আত্মহত্যার প্ররোচনার ঘটনায় গ্রেপ্তারকৃত স্বামী রিমান্ডেকুমিল্লার মনোহরগঞ্জে গৃহবধূকে আত্মহত্যার প্ররোচনার ঘটনায় দায়েরকৃত মামলায় গ্রেপ্তারকৃত স্বামী দিদারুল আলমকে একদিনের রিমান্ডে নিয়েছে পুলিশ। অধিকতর জিজ্ঞাসাবাদের জন্য মঙ্গলবার তাকে মনোহরগঞ্জ থানায় নেয়া হয়। এর আগে ওই গৃহবধূকে আত্মহত্যায় প্ররোচনার ঘটনায় দায়েরকৃত মামলার এক নম্বর আসামি দিদারুল আলমকে রোববার মনোহরগঞ্জ উপজেলার বেরনাইয়া বাজার এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করেন মনোহরগঞ্জ থানার এসআই মিজানুর রহমান। পরে তাকে আদালতে হাজির করে ৩ দিনের রিমান্ড চায় পুলিশ। শুনানি শেষে আদালত একদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
মামলা ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, যৌতুকের বলি গৃহবধূ মারজাহান আক্তার কুসুমকে (২০) বিয়ের মাত্র একবছরের মধ্যেই প্রাণ দিতে হয়। বিয়ের কিছুদিন পর হতেই স্বামী দিদারুল আলম (২৪), ভাসুর আক্তার হোসেন সুমন (৩৫) ও শাশুড়ি আয়েশা খাতুন (৬০) বিভিন্ন সময়ে সাংসারিক প্রয়োজনে টাকা দাবি করত ও পারিবারিক কলহ করত। তারা যৌতুকের টাকার জন্য গৃহবধূ কুসুমকে শারিরীক এবং মানসিক নির্যাতনও করতে থাকে। নিহত গৃহবধূ মারজাহান আক্তার কুসুম লাকসাম উপজেলার ফুলহরা গ্রামের মোঃ আবদুর রশিদের মেয়ে।
বাদী এবং বাদীর  পরিবারের লোকজন গৃহবধূর ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে তার শান্তির লক্ষ্যে প্রায় ২ লাখ টাকার আসবাবপত্র প্রদান করে। এরপরেও  যৌতুকের টাকার জন্য তার ওপর অত্যাচার চলতে থাকে। এমনকি গৃহবধূ কুসুমকে আত্মহত্যা করার জন্যও প্ররোচিত করতে থাকে। গত ৮ জুন স্বামী  দিদারুল আলম, তার মা আয়েশা খাতুন এবং তার বড় ভাই আক্তার হোসেন সুমনের সহায়তায় কুসুমকে শ্বাসরোধে হত্যা করে শাশুড়ির ব্যবহৃত শাড়ির মাধ্যমে গলায় ফাঁস লাগিয়ে ফ্যানের সাথে ঝুলিয়ে রেখে আত্মহত্যা বলে চালিয়ে দেয়। পরবর্তীতে আসামিরা অটো লকের দরজার লক ভিতর থেকে বন্ধ করে পালিয়ে যায়। 
এ ঘটনায় গৃহবধূর বড় ভাই সোলায়মান বাদী হয়ে ৯ জুন মনোহরগঞ্জ থানায় মামলা দায়ের করেন। ওইদিনই গৃহবধূর ভাসুর আক্তার হোসেন সুমনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। গত ১৭ জুলাই গোপন তথ্যের ভিত্তিতে মামলার ১নং আসামি দিদারুল আলমকে আটক করে ৩ দিনের রিমান্ড চেয়ে আদালতে হাজির করে পুলিশ। পরে শুনানি শেষে আদালতে একদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। ন্যায় বিচারের স্বার্থে, সত্য উদঘাটনের নিমিত্তে আসামিকে মঙ্গলবার স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি ও অধিকতর জিজ্ঞাসাবাদের জন্য মনোহরগঞ্জ থানায় আনা হয়।
এ বিষয়ে মনোহরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ শফিউল আলম জানান, এ মামলার ২ জন আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এরমধ্যে একজনকে রিমান্ডে নেয়া হয়েছে। বাকী একজনকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।