ই-পেপার ভিডিও ছবি বিজ্ঞাপন কুমিল্লার ইতিহাস ও ঐতিহ্য যোগাযোগ কুমিল্লার কাগজ পরিবার
ঢাকার বাইরে খেয়ালখুশির লোডশেডিং
Published : Wednesday, 20 July, 2022 at 12:00 AM, Update: 20.07.2022 1:10:39 AM
ঢাকার বাইরে খেয়ালখুশির লোডশেডিংলোডশেডিংয়ের শিডিউল ঢাকায় মানা হলেও অন্য কোথাও মানা হচ্ছে না। বেশি অভিযোগ গ্রামাঞ্চলে বিদ্যুৎ বিতরণকারী পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির বিরুদ্ধে। সরকারের তরফ থেকে একঘণ্টা করে লোডশেডিংয়ের কথা বলা হলেও কমপক্ষে তিন-চার ঘণ্টা করে বিদ্যুৎ থাকছে না। এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে চলছে বিস্তর সমালোচনা। খবর বাংলা ট্রিবিউনের।
নেত্রকোনার বাসিন্দা ফৌজিয়া সুলতানা জানান, ‘সোমবার রাত ১২টা থেকে দুপুর ৩টা; এই ১৫ ঘণ্টার মধ্যে পাঁচবার আধঘণ্টা থেকে একঘণ্টা মেয়াদে বিদ্যুৎ ছিল না। গতকাল শুনলাম সব জায়গায় এক ঘণ্টা করে লোডশেডিং করা হবে। মফস্বলের জন্য যেমন খুশি তেমন লোডশেডিংয়ের রুটিন করা হয়েছে নাকি!’
জানতে চাইলে মাগুরা জেলার কুমরুল গ্রামের বাসিন্দা রথীন্দ্রনাথ গুহ বলেন, দিনে সাধারণত বেশ কয়েকবার করেই লোডশেডিং পাই আমরা। এখনও একই আছে। সন্ধ্যার পরও কয়েকবার বিদ্যুৎ যায়।
আরইবি সূত্র জানিয়েছে, দিনের বেলায় আগে থেকেই তারা চাহিদার ৩০ শতাংশ বিদ্যুৎ পাচ্ছিলেন। এখন সন্ধ্যার পরও বিদ্যুৎ কম দেওয়া হচ্ছে। রাতে অন্তত তাদের দুই ঘণ্টা লোডশেডিং করতে হচ্ছে।
সূত্র আরও বলছে, তাদের সারা দেশে প্রায় ৮ হাজারেরও বেশি ফিডার রয়েছে। এগুলোকে ভাগ করে কোথায় কখন কতটুকু লোডশেডিং করা হবে তা নির্দিষ্ট করে বলা কঠিন। সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ী পল্লী বিদ্যুৎ সমিতিগুলোকেও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তারা লোডশেডিংয়ের তালিকা করে সেই অনুযায়ী লোড ম্যানেজমেন্ট করবে।
মাগুরা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির মহাব্যবস্থাপক (জিএম) সন্তোষ কুমার ঘোষ জানান, আমরা যতটা পারছি লোড ম্যানেজমেন্ট করছি। দিনে ৩০ শতাংশ বিদ্যুৎ কম পাচ্ছি। রাতে যা পাচ্ছি তা দিয়ে দুইবার দেড় ঘণ্টা করে লোডশেডিং করতে হচ্ছে।
ময়মনসিংহ পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির মহাব্যবস্থাপক (জিএম) বলেন, আমাদের ১৫১ মেগাওয়াটের মধ্যে এক-তৃতীয়াংশ পেলেও কোনও মতে চালাতে পারি। আজকে (১৯ জুলাই) মুক্তাগাছায় ৪৬ মেগাওয়াট চাহিদার বিপরীতে ৫ মেগাওয়াট দেওয়া হয়েছিল। পরে দুই মেগাওয়াট বাড়ানো হয়েছিল।
পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন কর্মকর্তাও বলেছেন একই কথা।
বিশ্ব জ্বালানি পরিস্থিতির কারণে দেশে সাশ্রয়ী নীতি গ্রহণ করা হয়েছে। এজন্য লোডশেডিংয়ের একটি শিডিউল করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বিতরণ কোম্পানিগুলোকে। বিষয়টি আগেভাগে গ্রাহকদের জানানোর নির্দেশও দেওয়া হয়েছে। তবে এখনও সব বিতরণ সংস্থা এই নির্দেশ অনুযায়ী কাজ শুরু করতে পারেনি।
ঢাকার দুই বিতরণ কোম্পানি ডিপিডিসি ও ডেসকো তাদের ওয়েবসাইটে দেওয়া শিডিউল অনুযায়ী লোডশেডিং করছে। একইসঙ্গে রাত ৮টার পর দোকানপাট বন্ধে মাইকিংও করছে।
গত সোমবার (১৮ জুলাই) রাত ৮টার পর বিপণি বিতান খোলা রাখায় সংযোগও বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে ঢাকার বেশ কিছু এলাকায়