ই-পেপার ভিডিও ছবি বিজ্ঞাপন কুমিল্লার ইতিহাস ও ঐতিহ্য যোগাযোগ কুমিল্লার কাগজ পরিবার
৭ বন্ধুর ফ্যামিলি পার্কে দর্শনার্থীদের ভিড়
Published : Thursday, 21 July, 2022 at 12:00 AM

মো.হাবিবুর রহমান, মুরাদনগর ||
কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলার বাঙ্গরা বাজার থানাধীন আকুবপুর ইউনিয়নের মেটংঘর গ্রামে স্থাপিত দৃষ্টিনন্দন নবাব ফ্যামিলি পার্ক দর্শনার্থীদের ভীরে মুখরিত। বিগত এক বছর পূর্বে প্রবাসী পাঁচ বন্ধু মিলে একটি দর্শনীয় পার্ক করার উদ্যোগ নেয়। তাই তারা গ্রাম থেকে আরো দু’জন বন্ধু নিয়ে মোট সাত জন মিলে ৩ একর জমির উপরে নিউ নবাব ফ্যামিলি পার্কের কাজ শুরু করে। মাত্র এক বছরে অক্লান্ত পরিশ্রম, মেধা এবং কষ্টার্জিত টাকা ব্যয় করে গড়ে তুলেছে দর্শনীয় ‘নিউ নবাব ফ্যামিলি পার্ক’।
 সরেজমিন গিয়ে ঘুরে দেখা গেছে, নবাব ফ্যামিলি পার্কটি আজ দর্শনার্থীদের পদচারনায় মুখরিত। খাবার-দাবারের কথা চিন্তা করে পার্কের ভিতরে করা হয়েছে নিউ নবাব নামে একটি রেষ্টুরেন্ট। মফস্বল এলাকায় এমন একটি বিনোদন পার্ক অন্য যে কোনো পার্কের চেয়ে একটু ভিন্ন। পুকুরে চার পাশে পাকা রাস্তা, রাস্তার দু’পাশে সারি সারি বিভিন্ন প্রজাতির ফুলের গাছ দেখলে মনে হয় শিল্পির তুলিতে আঁকা কোন ছবি। আসলে ছবি নয়, একে বারেই বাস্তব যা দেখে যে কোন ভ্রমন প্রিয়াসুদের নজর কাড়ে খুব সহজে। পার্কের প্রধান ফটকের পাশে রাখা হয়েছে নাগর দোলা, যা থেকে শিশুরা সবচেয়ে বেশি বিনোদন পায়। দেখা গেছে শিশুদের আনন্দ দিতে নাগর দোলায় মায়েরাও তাদের সন্তানদের নিয়ে উঠে পড়ছে। নাগর দোলায় দোলে মা ও শিশুর মন, যা দেখে হাসে দর্শনার্থীরা। পুকুর পাড় ঘেষে ড্রামের উপরে বাঁশ, কাঠ ও রঙ্গিন টিনের সমন্বয়ে তৈরী করা হয়েছে ছোট ছোট ভাসমান ঘর এবং সে গুলোতে রাখা হয়েছে বসার ব্যবস্থা। পুকুরের মাঝখানে স্থাপন করা হয়েছে কৃত্রিম ঝর্ণা। ভাসমান ঘর গুলিতে বসে চা বা কফির চুমুকে ঝর্ণার দৃশ্য দেখে মন কাড়ে দর্শনার্থীদের।
পান্ডুঘর গ্রামের দর্শনার্থী কামরুল ইসলাম বলেন, আমি চট্রগ্রামে ব্যবসা করি। পরিবার নিয়ে ঈদের আনন্দ উপভোগ করতে বাড়িতে আসি। ছোট ভাই এর কাছে শুনতে পেলাম মেটংঘরে নিউ নবাব নামে একাট ফ্যামিলি পার্ক হয়েছে। আজ স্ত্রী কন্যা ও ছোট ভাই বোনদের নিয়ে ঘুরতে এলাম। পরিবেশটি খুব মনোরম এখানে বেড়াতে এসে খুব ভাল লাগলো।
নিউ নবাব ফ্যামিলি পার্কের পরিচালক খোরশেদ আলম দৈনিক কুমিল্লার কাগজকে বলেন, গ্রামের মানুষকে আনন্দ দিতে এক বছর পূর্বে আমরা ৭ বন্ধু মিলে একটি বিনোদন পার্ক করার পরিকল্পনা নেই। আজ তার বাস্তব রূপ দেখতে পাচ্ছেন। এক বছরে আমরা ৬০ শতাংশ কাজ সম্পন্ন করেছি। অল্প কিছু দিনের মধ্যে বাকি কাজ সম্পন্ন হবে ইনশাল্লাহ। দর্শনার্থীদের কেমন আগমন জানতে চাইলে তিনি বলেন, প্রতিদিন তিন হাজারের অধিক দর্শনার্থী আসছে, আশা করছি সকল কাজ সম্পন্ন হলে দর্শনার্থীর সংখ্যা আরো বৃদ্ধি পাবে।