Published : Sunday, 24 July, 2022 at 12:00 AM, Update: 24.07.2022 1:04:38 AM
নিজস্ব
প্রতিবেদক: শিক্ষা-সাহিত্যের পাদপীঠ প্রাচীন ঐতিহ্যের জেলা কুমিল্লায়
যেগদানের পর থেকেই এ জেলার শিক্ষা ব্যবস্থায় ‘বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি’ শিক্ষা
বিপ্লব সৃষ্টি করেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ কামরুল হাসান। প্রশাসনের
উর্দ্ধতণ কর্মকর্তা ও এক ঝাঁক তরুণ-উদ্যমী সহকর্মীদের নিয়ে শুরু করেন
পরিকল্পনা। বছর ধরে নিরলস পরিশ্রম আর পরিকল্পনায় কুমিল্লায় গড়ে তোলা হয়
দেশের প্রথম স্কুল অব রোবটিক্স। সময়ের সাথে তাল মিলিয়ে নতুন প্রজন্মকে
উদ্বুদ্ধ করতে পাঠক্রমে বাধ্যতামূলক ভাবে যুক্ত করা হয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
শিক্ষা। পুরো জেলায় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে শেখ রাসেল ডিজিটাল ল্যাব
কার্যক্রম ত্বরান্বিত করা হয়, প্রান্তিক পর্যায়ে ছড়িয়ে দেয়া হয় বিজ্ঞান ও
প্রযুক্তি শিক্ষার গুরুত্ব। চতুর্থ শিল্প বিপ্লব মোকাবেলায় দক্ষ জনশক্তি
এবং শিক্ষার্থীদের মানবসম্পদে পরিনত করতে উদ্বুদ্ধ করা হয় রোবটিক্স এবং
প্রোগ্রামিং কার্যক্রমে। বর্তমানে পুরো জেলায় ১০৮ টি রোবটিকস্ ও
প্রোগ্রামিং ক্লাব রয়েছে। রয়েছে জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে স্বতন্ত্র
ফ্যাবল্যাব। শিক্ষায় বৈপ্লবিক পরিবর্তন আনতে এমন প্রচেষ্টার ফল সরূপ
কুমিল্লা জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ কামরুল হাসানের নেতৃত্বে কুমিল্লা জেলা
প্রশাসক কার্যালয়ের পাঁচ কর্মকর্তা ভূষিত হলেন বঙ্গবন্ধু জনপ্রশাসন পদকে।
পদক গ্রহন করেছেন কুমিল্লার জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ কামরুল হাসান, অতিরিক্ত
জেলা প্রশাসক ( সার্বিক) মোহাম্মদ শাহাদাত হোসেন, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (
শিক্ষা ও আইসিটি) নাজমা আশরাফী, সহকারী কমিশনার নাসরিন সুলতানা নিপা ও
ফাহিমা বিনতে আখতার ‘বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি’ খাতে পদক জিতে নিয়েছেন।
প্রথমবারের মতো এই ‘বঙ্গবন্ধু জনপ্রশাসন পদক’ গ্রহন করেন সারা দেশ থেকে
প্রশাসনের ২৭ জন কর্মকর্তা ও ৪টি সরকারি প্রতিষ্ঠান।
রোববার (২৩ জুলাই)
রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে ২৭ জন কর্মকর্তা, তিনটি মন্ত্রণালয় ও
একটি ইউনিটের কাছে পদক তুলে দেওয়া হয়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গণভবন থেকে
ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে প্রধান অতিথি হিসেবে অনুষ্ঠানে যুক্ত ছিলেন।
প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে পদক তুলে দেন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়কমন্ত্রী আ ক ম
মোজাম্মেল হক। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ
হোসেন। জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ কামরুল হাসান বলেন, কৃতজ্ঞতা জানাই মাননীয়
প্রধানমন্ত্রী এবং উর্দ্ধতণকর্মকর্তাবৃন্দকে - যারা আমাদের কাজকে পদকের
জন্য মনোনীত করেছেন। চতুর্থ শিল্প বিপ্লবকে লক্ষ্য রেখে কুমিল্লার স্কুল
কলেজ পড়ুয়া শিক্ষার্থীদের জন্য রোবটিকস ও প্রোগ্রামিংয়ের উদ্যোগ নেই।
বর্তমান প্রজন্ম যেন এখন থেকেই নিজেদের প্রতিযোগিতাময় বিশ্বের জন্য
প্রস্তুত করতে পারে। তাতে অভূতপূর্ব সাড়াও পেয়েছি। কাজের স্বীকৃতি পেলে
উৎসাহ জাগে। আমি এই জন্য কুমিল্লাবাসীর প্রতি কৃতজ্ঞ। ধন্যবাদ জানাই আমার
টিমকে।