'পারিব না এ কথাটি বলিও না আর, একবার না পারিলে দেখো শতবার'। বিখ্যাত এই বাণীকে সত্যি প্রমাণিত করলেন আমেরিকান এক যুবক। ৩৯ বার ব্যর্থ হওয়ার পর ৪০তম প্রচেষ্টায় টেক জায়েন্ট সংস্থা গুগলে চাকরি পেলেন তিনি। সম্প্রতি নিজেই তার ব্যর্থতা ও শেষের সাফল্যের কাহিনি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করেন তিনি। ভাইরাল হয়েছে সেই পোস্ট। অনুপ্রেরণা জাগানো কাহিনি জেনে সকলেই প্রশংসায় ভাসাচ্ছেন সেই যুবককে।
সানফ্রান্সিসকোর বাসিন্দা ওই যুবকের নাম টেলর কোহেন। বর্তমানে তিনি ডুরড্যাশ নামের একটি সংস্থায় অ্যাসোসিয়েট ম্যানেজার হিসেবে কর্মরত। তবে সেখানে আর বেশিদিন নয়, কারণ ইতিমধ্যে গুগল তাদের কর্মী হিসেবে কোহেনকে নির্বাচিত করেছে। তবে তার জন্য দীর্ঘ অপেক্ষা করতে হয়েছে। কার্যত ব্যর্থতার সিঁড়ি ধরেই সাফল্যের স্বাদ পেয়েছেন তিনি।
৩৯ বারের চেষ্টায় সাফল্যের স্বাদ পাওয়ার কথা যে পোস্টে জানান টেলর কোহেন, সেখানে নিজের ইমেল বক্সের স্ক্রিনশট শেয়ার করেন। দেখা গেছে একাধিকবারের আবেদনপত্র। ২০১৯ সালের ২৫ আগস্টে প্রথমবার আবেদন করেন কোহেন। একই বছরের সেপ্টেম্বরে ফের আবেদনপত্র পাঠান গুগলে। এভাবেই চলতে থাকে একের পর এক ব্যর্থতার পালা। এর মধ্যেই কোভিড মহামারী আসে পৃথিবীতে, লকডাউন হয়। কিন্তু কোনও কিছুতেই স্বপ্ন থেকে সরে যাননি তিনি। তার ফলই পেলেন।
অবশেষ ২০২২ সালের ১৯ জুলাই সাফল্যের স্বাদ পান কোহেন। টেক জায়েন্ট সংস্থা গুগল নিজেদের কর্মী হিসেবে সানফ্রান্সিসকোর কোহেনকে নির্বাচিত করে। সোশ্যাল মিডিয়ার ইমেল বক্সের স্ক্রিনশট শেয়ার করার পাশাপাশি ক্যাপশানে কোহেন লেখেন, অধ্যবসায় এবং উন্মাদনার মধ্যে একটি সূক্ষ্ম লাইন আছে। আমি এখনও বোঝার চেষ্টা করছি, এই দুইয়ের মধ্যে কোনটা রয়েছে আমার ভেতরে। ৩৯ বার প্রত্যাখ্যান, ১ বার সাফল্য।
ভাইরাল হয় সেই পোস্ট। শোরগোল পড়ে যায় নেটিজেনদের মধ্যে। পোস্টটিতে ৩৫ হাজার লাইক পড়ে। শতাধিক মন্তব্যে ভরে যায় কমেন্ট বক্স। সকলেই কোহেনের কাহিনিতে অনুপ্রাণিত।
সূত্র- হিন্দুস্তান টাইমস।