ট্রেনের টিকিট কালোবাজারি ও ছাদে যাত্রী বহন বন্ধসহ অব্যবস্থাপনার বিষয়ে প্রতিবেদন দিতে এক সপ্তাহ সময় চেয়েছে রেলওয়ে। তাই আদালত সময় দিয়ে আগামী রবিবার পরবর্তী দিন রেখেছেন।
আজ রবিবার রেলওয়ের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি খিজির হায়াতের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ সময় দিয়েছেন।
আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ কে এম আমিন উদ্দিন মানিক।
তিনি জানান, রেলওয়ের পক্ষে কমপ্লায়েন্স (প্রতিবেদন) দাখিলের জন্য এক সপ্তাহের সময় চেয়ে আবেদন করেছি। আদালত সময় দিয়ে আগামী রবিবার পরবর্তী দিন রেখেছেন।
রেলওয়ের অব্যবস্থাপনা বন্ধে ছয় দফা দাবি নিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) শিক্ষার্থী মহিউদ্দিন রনির বিষয়টি নজরে নেওয়ার পর ২১ জলাই হাইকোর্ট প্রতিবেদন চেয়েছিলেন।
ওইদিন হাইকোর্ট ট্রেনের ছাদে যাত্রী বহন বন্ধ করতে বলেছেন। যদি বন্ধ না করা হয় তাহলে সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থার হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছে।
রেলওয়ের সামগ্রিক অব্যবস্থাপনা ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে ৬ দফা দাবিগুলো-সহজ ডটকম কর্তৃক যাত্রী হয়রানি অবিলম্বে বন্ধ করতে হবে অথবা সহজকে বয়কট; টিকিট সিন্ডিকেট বন্ধ করতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ; টিকিট কেনার ক্ষেত্রে সর্ব সাধারণের সমান সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিতকরণ; ট্রেনের জনসাধারণের জানমালের শতভাগ নিরাপত্তা নিশ্চিত করা; ট্রেনে ন্যায্যমূল্যে খাবার বিক্রি, বিনামূল্যে বিশুদ্ধ পানি সরবরাহ ও স্বাস্থ্য সম্মত স্যানিটেশন ব্যবস্থা নিশ্চিতকরণ; ট্রেনের সিট সংখ্যা বা ট্রেনের সংখ্যা বাড়ানো; একইসঙ্গে সঠিক সেবার মান ও তথ্যের জবাবদিহিতা নিশ্চিতে শক্তিশালী মনিটরিং টিম গঠন।