সাঈদ হাসান, কুবি ||
দীর্ঘ
পাঁচ বছর প্রতীক্ষার পর গত ৩১ জুলাই কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) নারী
শিক্ষার্থীদের জন্য শেখ হাসিনা হল উদ্বোধন করেছে প্রশাসন। তবে নতুন হলের
জানালায় স্বচ্ছ কাঁচ ব্যবহার করায় নিরাপত্তা শঙ্কায় ভুগছেন ছাত্রীরা। তাঁরা
বলছেন, স্বচ্ছ কাঁচ দিয়ে কক্ষের ভিতরে সবকিছু দেখা যায়। রাস্তার পাশেই
মেয়েদের হল, অথচ প্রশাসন বিষয়টি খেয়ালই করেনি।
লোকপ্রশাসন বিভাগের ১১ তম
ব্যাচের শিক্ষার্থী কাজি ফাইজা মেহজাবিন বলেন, এখানে প্রশাসনের বোঝা উচিত
ছিল এটা মেয়েদের হল। সর্বপ্রথম মেয়েদের নিরাপত্তার বিষয়টা বিবেচনা করে
পরিকল্পনা করা উচিত ছিল। এর আগে নিউজে পড়ছি পর্দার ব্যবস্থা করা হবে।
কিন্তু এইভাবে নিরাপত্তার বিষয়টা বাদ দিয়ে কেন হল উদ্বোধন করা হলো বুঝতে
পারলাম না।
অর্থনীতি বিভাগের ১৪ তম ব্যাচের শিক্ষর্থী সাদিয়া আফরিন
মোহনা বলেন, আমি আজকে হলে এসে দেখলাম বাইর থেকে সবকিছু দেখা যাচ্ছে। যদি
রঙ্গিন কাঁচ দেওয়া হতো তাহলে ভেতরের কিছু দেখা যেত না। নিজেরা যে পর্দা
লাগাবো এটার পর্যন্ত কোন সুযোগ নাই। তাহলে তো রাতের বেলা আমরা কি করছি না
করছি সব কিছু দেখা যাবে। আমাদের নিরাপত্তাটা কোথায় থাকলো?
দক্ষিণ দিক
থেকে নবনির্মিত হলটি রাস্তা লাগোয়া। পূর্ব পাশেও রয়েছে রাস্তা। হলের উত্তর
পাশে রয়েছে শিক্ষক ও কর্মকর্তাদের ডরমিটরি। পশ্চিম পাশেই রয়েছে পুরুষ
শিক্ষার্থীদের কাজী নজরুল ইসলাম ও শহিদ ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত হল। স্বচ্ছ কাঁচ
সংযুক্ত জানালায় পর্দা লাগানোর জন্য নেই কোনো হুক বা পাইপের ব্যবস্থা।
এসব বিষয়ে হলটির ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের তদারক জাহাঙ্গীর আলম বলেন, আমাকে যেভাবে নির্দেশ দেওয়া হয়ছে, আমি সেভাবেই কাজ করেছি।
প্রকৌশল
দপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী এস. এম শহীদুল হাসান বলেন, টেন্ডারে যেভাবে প্লান
ছিল সেভাবে কাজ করা হয়েছে। এই সমস্যা থেকে ওভারকাম করার জন্য প্রস্টেট
পেপার লাগানোর জন্য কত টাকা খরচ হবে ভিসি স্যার বাজেট করতে বলছে। এখন টাকা
পেলে লাগানো হবে, না হয় লাগানো হবে না।
এ বিষয় নিয়ে শেখ হাসিনা হলের
প্রাধ্যক্ষ মো. সাহদেুর রহমান বলনে, টেকওভার কমিটি এটা কিভাবে বুঝে নিয়েছে
আমি জানি না। আমি জয়েন করার পর ভিসি স্যার যখন হল ভিজিটে এসেছিল, তখন
ব্যাপারটা তিনি দেখেছিলেন এবং সাথে সাথেই ইঞ্জিনিয়ারকে জানিয়েছেন। এখন ওনি
মনে হয় এটার একটা এস্টিমেশন নিয়েছেন। এ ব্যাপারে আমি ভিসি স্যারের সাথে
আবার কথা বলবো।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে হস্তান্তর কমিটির আহ্বায়ক কাজী ওমর
সিদ্দিকী বলনে, আমার কাজ হচ্ছে বিল্ডিং এর কাজ সঠিক সময়ে শেষ করেছে কি না
এবং সবকিছু ঠিকঠাক আছে কি না এসব দেখা। এটার গুনগত মান ঠিক আছে কি না এটা
আমার দেখার বিষয় না।
সার্বিক বিষয়ে উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ. এফ. এম আবদুল মঈন বলেন, আমি এটা দ্রুত সমাধান করার জন্য নির্দেশ দিয়েছি।
প্রস্টেট
পেপার লাগাতে কত দিন সময় লাগবে জিজ্ঞেস করলে বলেন, এটা যদি আজকে পারা যায়
তাহলে আজকের ভিতর করে দিবে। আশা করি বেশি দিন লাগবে না।