দেশে সার উৎপাদনকারী একমাত্র
বহুজাতিক কোম্পানি কাফকো এবং সৌদি আরবের সাবিক এগ্রি নিউট্রিয়েন্ট থেকে ৩০
হাজার টন করে মোট ৬০ হাজার টন ইউরিয়া সার কেনার প্রস্তাবে সায় দিয়েছে
সরকার।
বুধবার সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠকে এ বিষয়ে
বাংলাদেশ কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজ কর্পোরেশন, বিসিআইসির দুটি প্রস্তাবে
চূড়ান্ত অনুমোদন দেওয়া হয়।
দুই ক্ষেত্রেই ইউরিয়ার দাম পড়েছে কেজিতে ৫৬
সেন্ট। ডলারের বিপরীতে টাকার বিনিময় হার ১০০ টাকা বিবেচনায় প্রতি কেজি
সারের দাম হবে ৫৬ টাকা।
আন্তর্জাতিক বাজারে প্রতিকেজি সারের দাম ৮১ টাকা
বিবেচনায় চলতি মাসের শুরুতেই ইউরিয়া সারের দাম কেজিতে ৬ টাকা করে বাড়িয়ে
২২ টাকা করেছে সরকার। এর পরেও প্রতি কেজিতে ৫৯ টাকা করে ভর্তুকি দিতে হবে
বলে জানিয়েছে কৃষি মন্ত্রণালয়।
ইউরিয়া সারের দাম কেজিতে বাড়ল ৬ টাকা
তবে
চলতি অর্থবছরে ইউরিয়া সারের ক্রয় মূল্য প্রতিকেজি ৫৪ টাকা থেকে ৬১ টাকার
মধ্যে থাকায় ভর্তুকির পরিমাণ আরও কমে আসবে বলে কর্মকর্তারা আশা করছেন।
মহামারীর
কারণে গত অর্থবছরে আন্তর্জাতিক বাজারে সারের দাম বেড়ে যাওয়ায় সারের পেছনে
সরকারের ভর্তুকিও চারগুণ বেড়ে ২৮ হাজার কোটি টাকা ছাড়িয়ে গিয়েছিল।
মন্ত্রিপরিষদ
বিভাগের অতিরিক্ত সচিব আব্দুল বারিক জানান, কাফকোর কাছ থেকে দ্বিতীয় লটে
৩০ হাজার টন ব্যাগড গ্র্যানুলার ইউরিয়া সার ১৫৭ কোটি ৩২ লাখ ৭ হাজার ৫০০
টাকায় কেনার অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। অর্থাৎ প্রতিকেজির দাম দাঁড়াচ্ছে ৫২ টাকা
৪৪ পয়সা।
আর সৌদি আরবের সাবিক এগ্রি নিউট্রিয়েন্ট কোম্পানির কাছ থেকে
তৃতীয় লটে ৩০ হাজার টন বাল্ক গ্র্যানুলার ইউরিয়া সার ১৫৮ কোটি ১৫ লাখ ৪০
হাজার ৬০০ টাকায় কেনার অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। প্রতি কেজির দাম দাঁড়াচ্ছে ৫২
টাকা ৭১ পয়সা।
গত ২১ জুলাই মাসেও সরকারের ক্রয় কমিটির বৈঠকে সৌদি আরব
থেকে প্রতি কেজি ৫৫ টাকা ৭৯ পয়সায় বাল্ক গ্র্যানুলা ইউরিয়া সার কেনার
প্রস্তাব অনুমোদন দেওয়া হয়েছিল।
বুধবার অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত
মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠকে বিসিআইসির প্রস্তাবে রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে চুক্তির
আওতায় কাতার থেকে ফার্টিগ্লোব ডিস্ট্রিবিউশনের মাধ্যমে তিন লাখ ৬০ হাজার টন
ইউরিয়া সার আমদানির চুক্তি স্বাক্ষরের নীতিগত অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
বিএডিসির
প্রস্তাবে সরাসরি চুক্তির আওতায় দুবাই ভিত্তিক প্রতিষ্ঠান ফেলকো জেনারেল
ট্রেডিং থেকে ১ লাখ টন এমওপি সার আমদানির প্রস্তাবেও নীতিগত অনুমোদন দিয়েছে
অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি।
এদিন সরকারি ক্রয়
সংক্রান্ত বৈঠকে সরাসরি ক্রয় পদ্ধতিতে দুটি আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠান থেকে
তিন কোটি ৩০ লাখ লিটার সয়াবিন তেল কেনার অনুমোতি দেওয়া হয়েছে।
মন্ত্রিপরিষদের
অতিরিক্ত সচিব আব্দুল বারিক বলেন, সংযুক্ত আরব আমিরাতের ফেরানি পোলাসকা
স্পিজো ফুড স্টাফ ট্রেডিংয়ের কাছ থেকে ২ কোটি ২০ লাখ লিটার ও কানাডার
কানাডা ইনকরপোরেশনের কাছ থেকে এক কোটি ১০ লাখ লিটার সয়াবিন তেল কেনা হবে।
এতে সব মিলিয়ে খরচ হবে ৪৪৮ কোটি ৮২ লাখ ৬৪ হাজার টাকা। প্রতি লিটার তেলের দাম পড়ছে ১৩৬ টাকা।