দীর্ঘ সময় জিকিরের চেয়ে বেশি সওয়াব যে দোয়ায়
Published : Friday, 5 August, 2022 at 12:00 AM
ফজরের পর অনেকেই দীর্ঘ সময় বসে জিকির করেন। অথচ এভাবে জিকির করার চেয়ে পাঁচ বাক্যের একটি দোয়া পড়লে দীর্ঘ সময় জিকির করার চেয়ে সওয়াব বেশি হয় বলে ঘোষণা করেছেন নবিজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম। কী সেই দোয়া?
হাদিসের বর্ণনা থেকে এরকম একটি ঘটনা সুস্পষ্টভাবে ফুটে উঠেছে। ফজরের নামাজের পর দীর্ঘ সময় নামাজের স্থানে বসেছিলেন উম্মুল মুমিনিন হজরত জুওয়ায়বিয়া। নবিজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তাঁর সঙ্গে কথা বললেন এবং সকালবেলার সর্বোত্তম জিকির সম্পর্কে তাকে জানালেন। হাদিসটি তিনি এভাবে বর্ণনা করেন-
উম্মুল মুমিনিন হজরত জুওয়ায়রিয়া রাদিয়াল্লাহু আনহা বর্ণনা করেছেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সকালে (ফজরের নামাজ শেষ করে) তাঁর কাছ থেকে বের হলেন। যখন তিনি ফজরের নামাজ আদায় করলেন তখন তিনি নামাজের জায়গায় ছিলেন।
এরপর তিনি দোহার পরে (সূর্য ওঠার বেশকিছু সময় পর) ফিরে এলেন। তখনও তিনি (হজরত জুওয়ায়বিয়া নামাজের স্থানে) বসেছিলেন। নবিজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বললেন, ‘আমি তোমাকে যে অবস্থায় রেখে গিয়েছিলাম তুমি কি সেই অবস্থায়ই আছো?
তিনি বললেন, ‘হ্যাঁ’। তখন রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বললেন, ‘আমি তোমার কাছ থেকে যাওয়ার পর ৫টি কালেমা তিনবার পড়েছি। আজকে তুমি এ পর্যন্ত যা বলেছ; তার সঙ্গে ওজন করলে এই কালেমা পাঁচটির ওজনই বেশি হবে। কালেমাগুলো এই-
উচ্চারণ : সুবহানাল্লাহি ওয়া বিহামদিহি আদাদা খালকিহি; ওয়া রিদাআ নাফসিহি; ওয়া যিনাতা আরশিহি; ওয়া মিদাদা কালিমাতিহি।’
অর্থ : ‘আল্লাহ পবিত্র আর প্রশংসাও তার; এ পবিত্রতা ও প্রশংসা তার সৃষ্ট বস্তুর সমান। তার নিজের সন্তুষ্টু সমান। (পবিত্রতা ও প্রশংসায় তিনি) তার আরশের ওজনের সমান। (পবিত্রতা ও প্রশংসায় তিনি) তার বাণীসমূহ লেখার কালির পরিমানের সমান।’ (মুসলিম)
নবিজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের এ হাদিস থেকে প্রমাণিত যে, ফজরের পর সংক্ষিপ্ত সময়ে উল্লেখিত ছোট ছোট পাঁচ বাক্যের এ দোয়াটি পড়লে দীর্ঘ সময় জিকির করার চেয়ে বেশি সওয়াব পাওয়া যাবে। তাই যারা জিকির করার সময় না পাবে তাদের জন্য এ দোয়াটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহর সবাইকে ছোট ছোট বাক্যের এ দোয়াটি ফজরের নামাজের পর তিনবার পড়ার তাওফিক দান করুন। আমিন।