জিম্বাবুয়ের
বিপক্ষে টানা ১৯টি ওয়ানডে জয়ের রেকর্ড ছিল বাংলাদেশের। বলা চলে রীতিমতো
উড়ন্ত পারফরম্যান্স। সেই জিম্বাবুয়েই সফরকারী বাংলাদেশকে মাটিতে নামিয়ে
আনলো ৯ বছর পর। দলটির বিপক্ষে সিরিজ হারের পর প্রধান কোচ রাসেল ডমিঙ্গো মনে
করেন, এই সিরিজকে শিক্ষনীয় অভিজ্ঞতা হিসেবে নিতে হবে।
প্রথম ওয়ানডেতে
৩০০ রান করার পরও সেটি জয়ের জন্য যথেষ্ট ছিল না। সিকান্দার রাজা ও ইনোসেন্ট
কাইয়ার জোড়া সেঞ্চুরিতে ম্যাচ হারে বাংলাদেশ। ভাগ্য বদলায়নি দ্বিতীয়
ম্যাচেও। বাংলাদেশের দেওয়া ২৯১ রান তাড়া করতে নেমে সিকান্দার রাজার ১১৭,
রেজিস চাকাভার ১০২ রানে সহজেই জিতেছে স্বাগতিকরা।
অথচ যে দলটি
বাংলাদেশের কাছে পাত্তাই পেতো না, সেই জিম্বাবুয়ে দেখালো একাধিপত্য! তাহলে
কি তামিম-মুশফিকরা আত্মতুষ্টিতে ভুগছিলেন? জবাবে ডমিঙ্গো বলেছেন,
‘আত্মতুষ্টির কোনও ব্যাপার ছিল না। কারণ, আমরা জানতাম নিজেদের কন্ডিশনে ওরা
কতটা বিপজ্জনক। গত বছর আমরা ৩-০ তে জিতলেও দুটি ম্যাচে জোর লড়াই হয়েছিল।
আমাদের আত্মতুষ্টি কখনোই আসেনি।’
তামিমের মতো ডমিঙ্গোও জিম্বাবুয়ের
বিপক্ষে নিজেদের পার্থক্য দেখালেন। মূলত স্বাগতিক ব্যাটারদের চার সেঞ্চুরির
বিপরীতে বাংলাদেশের কোন সেঞ্চুরি ছিল না, এটাই ভুগিয়েছে বাংলাদেশকে,
‘জিম্বাবুয়ের চারটি শতরান আছে, আমাদের একটিও নেই। আমাদের ৩০, ৪০ রানের
ইনিংস আছে, ৫০ আছে। কিন্তু শতরান করতে হবে, ম্যাচ জেতানো ইনিংস লাগবে।’
অথচ
ওয়ানডে ক্রিকেটে কি দারুণ ছন্দেই না ছিল বাংলাদেশ। চলতি বছর ঘরের মাঠে
আফগানিস্তানকে হারানোর পর দক্ষিণ আফ্রিকা ও ওয়েস্ট ইন্ডিজের মাটিতে সিরিজ
জিতেছে। কিন্তু জিম্বাবুয়েতে এসে দেখলো স্রেফ ভরাডুবি। ডমিঙ্গো মনে করেন,
এই সিরিজ থেকে শিক্ষনীয় অনেক কিছু আছে, ‘কোচিং স্টাফ হিসেবে আমাদের জন্য ও
ক্রিকেটারদের জন্য দারুণ কিছু শিক্ষা হয়েছে। বিশ্বকাপের এখনও প্রায় বছর
দেড়েক সময় বাকি আছে। সৌভাগ্যবশত এই খেলাগুলোর কোনও পয়েন্ট নেই। আমাদের জন্য
তাই এটাকে দারুণ শিক্ষণীয় অভিজ্ঞতা হিসেবে নিতে হবে।’
ডমিঙ্গো আরও যোগ
করে বলেছেন, ‘দেখুন, গত বছর দেড়েকের পারফরম্যান্সে ওয়ানডে দলের সমালোচনা
করা কঠিন। অসাধারণ কিছু ফল, দারুণ কিছু জয় ওরা পেয়েছে। তবে অনেক কাজ করার
বাকি আছে ব্যাটিং ও বোলিংয়ে।’