ই-পেপার ভিডিও ছবি বিজ্ঞাপন কুমিল্লার ইতিহাস ও ঐতিহ্য যোগাযোগ কুমিল্লার কাগজ পরিবার
বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিবের জন্মদিবস উদযাপন উপলক্ষে বুড়িচংয়ে আলোচনা সভা সেলাই মেশিন বিতরণ
সৌরভ মাহমুদ হারুন
Published : Tuesday, 9 August, 2022 at 12:00 AM, Update: 12.08.2022 11:07:02 PM
"মহিয়সী বঙ্গমাতার চেতনা, অদম্য বাংলাদেশের প্রেরণা" এই স্লোগানকে ধারণ করে সারাদেশের ন্যায় কুমিল্লার বুড়িচং  উপজেলায় বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিবের ৯২তম জন্মবার্ষিকী উদযাপন ও বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব পদক অনুষ্ঠিত হয়েছে। এ উপলক্ষে আলোচনা সভা ও সেলাই মেশিন বিতরণ, আর্থিক অনুদান প্রদান করা হয় এবং মিলাদ মাহফিল ও দোয়া অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার সকালে উপজেলা প্রশাসন ও মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তার আয়োজনে উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে এ অনুষ্ঠান হয়। উপজেলা নির্বাহী অফিসার  হালিমা খাতুনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা  ফাতেমা তোজ জোহরা।বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন উপজেলা চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ আখলাক হায়দার।অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি)  মোঃ ছামিউল ইসলাম, উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা মোঃ মীর হোসেন মিঠু, মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোঃ আব্দুল মান্নান, উপজেলা প্রকৌশলী আলিফ আহাম্মদ অক্ষর, কৃষি কর্মকর্তা আফরিনা আক্তার, পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা রোকসানা খানম মুন্নী, প্রাণি সম্পদ কর্মকর্তা ডা ইসরাত জেরিন, পল্লী উন্নয়ন কর্মকর্তা মোঃ রাসেল সারওয়ার, পল্লী বিদুৎ সমিতির -২ এর ডিজিএম হাফিজ উদ্দিন, জ্যাইকার সম্বয়ন কারী মোঃ সফি উল্লাহ, যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা মোঃ গোলাম আজম, সমাজ সেবা অফিসার মোঃ আব্দুল আউয়াল, উপজেলা নির্বাচন অফিসার মোঃ দেলোয়ার হোসেন, উপজেলা সাবরেজিস্ট্রার রাজেশ চক্রবর্তী প্রমুখ।অনুষ্ঠান শেষে বিশেষ অতিথি উপজেলা চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ আখলাক হায়দার ও অনুষ্ঠানের সভাপতি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হালিমা খাতুন সুবিধা ভোগীদের মাঝে সেলাই মেশিন, আর্থিক অনুদান প্রদান করেন।স্বাধীনতা সংগ্রামে বঙ্গমাতার নেপথ্য ভূমিকা তুলে ধরলেন প্রধানমন্ত্রীপ্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামে বঙ্গমাতার নেপথ্য ভূমিকা তুলে ধরে বলেছেন, প্রধান রাজনৈতিক ইস্যুতে বঙ্গমাতার সিদ্ধান্ত দেশের স্বাধীনতা অর্জনে সহায়তা করেছে।তিনি ঐতিহাসিক ৬ দফা, আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলাকালীন প্যারোলে বঙ্গবন্ধুর মুক্তি প্রত্যাখ্যান এবং ৭ মার্চের ভাষণ প্রদানের প্রাক্কালে বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন নেছা মুজিবের সময়োচিত সিদ্ধান্ত ও পরামর্শের উল্লেখ করে এ কথা বলেন।প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘রাজনৈতিক গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত গুলোর ক্ষেত্রেও আমার মা যখন যে সিদ্ধান্ত গুলো দিয়েছেন সেটাই কিন্তু আমাদের স্বাধীনতা অর্জনে সবচেয়ে সহায়ক হয়েছে। যেহেতু আমার আব্বা মনে প্রাণে দেশের কাজ করতে পেরেছিলেন।’শেখ হাসিনা আজ সকালে বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন নেছা মুজিব এর ৯২তম জন্মবার্ষিকী উদযাপন এবং ‘বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন নেছা মুজিব পদক-২০২২’ প্রদান উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি’র ভাষণে একথা বলেন।সরকার প্রধান বলেন, আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলার সময় বঙ্গবন্ধু যখন পাকিস্তানি সামরিক বাহিনীর হাতে বন্দি ছিলেন তখন বঙ্গমাতা ৬ দফা দাবির সঙ্গে আরো দ’ুটি দফার প্রস্তাবিত অন্তর্ভুক্তির বিরুদ্ধে সাহসী পদক্ষেপ না নিলে বাংলাদেশের অভ্যুদয় অসম্ভব ছিল।প্রধানমন্ত্রী বলেন, আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলার বিচার চলাকালীন আওয়ামী লীগের বেশ কয়েকজন নেতা বঙ্গবন্ধুর প্যারোলে মুক্তি মেনে নিতে ইচ্ছুক ছিলেন-এমন একটি ধারণার তীব্র বিরোধিতা করেছিলেন বঙ্গমাতা যিনি তাঁর নিঃশর্ত মুক্তি চেয়েছিলেন।তিনি বলেন, ‘আব্বা যদি প্যারোলে চলে যান তখন আর আন্দোলন-সংগ্রামের কিছুই থাকতো না। আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলাও প্রত্যাহার হতোনা।’শেখ হাসিনা বলেন, সার্জেন্ট জহুরুল হককে হত্যা করা হয়েছিল, বাকী যে আসামি সকলকেও তারা মৃত্যুদণ্ডই দিত। কেউ আর বেঁচে থাকতে পারতোনা এবং বাংলাদেশও আর স্বাধীনতার মুখ দেখ তো না।প্রধানমন্ত্রী এ সময় জাতির পিতার ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণ প্রদানের বিষয়ে তাঁর মা’র পরামর্শ প্রদানের উল্লেখ করে বলেন, সেখানে আমাদের বহু নেতাদের নানা মতামত উপেক্ষা করে আমার মা’র মতামতটাই গুরুত্ব পেয়েছে।তিনি বলেন, ৭ মার্চের যে বক্তব্য সেখানে আব্বার হাতে কাগজ বা কোন কিছু ছিলনা। ওনার মনের যে কথাগুলো এসেছে সেখান থেকেই সেটাই তিনি নির্দ্বিধায় বলে গেছেন। ‘কিন্তু ভাষণ দিতে যাওয়ার আগে অনেক বড় বড় নেতা আব্বার হাতে চিরকুট লিখে দিতেন-এটা বলতে হবে, সেটা বলতে হবে। তখন আমার মা বলে দিতেন তুমি কারো কথা শুনবে না। নিজের মনে যা আসে তা-ই বলবে’।  সরকার প্রধান আজ রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয় আয়োজিত পাচঁ বিশিষ্ট নারীকে বিভিন্ন ক্ষেত্রে অসাধারণ নৈপূণ্যের জন্য নির্বাচিত ‘বঙ্গমাতা পদক-২০২২’ বিতরণী অনুষ্ঠানে এ সব কথা বলেন। শেখ হাসিনা তাঁর সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি যোগ দেন। গোপালঞ্জের জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ও ভার্চুয়ালি এ অনুষ্ঠানের সাথে যুক্ত ছিল।বঙ্গমাতার অবদানকে চিরস্মরণীয় করার লক্ষে ২০২১ সাল থেকে বছর আটটি ক্ষেত্রে নারীদের অবদানের স্বীকৃতি স্বরূপ ‘ক’ শ্রেণীভুক্ত সর্বোচ্চ জাতীয় পদক ‘বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন নেছা মুজিব’ প্রদান করা হয়ে থাকে।এ বছর রাজনীতি, অর্থনীতি, শিক্ষা, সমাজসেবা এবং স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধ ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ যে পাঁচ বিশিষ্ট নারী ‘বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন নেছা মুজিব পদক-২০২২’ পেয়েছেন তাঁরা হলেন, ‘রাজনীতি’র ক্ষেত্রে সিলেট জেলার সৈয়দা জেবুন্নেছা হক, অর্থনীতিতে কুমিল্লা জেলার সেলিমা আহমাদ এমপি, শিক্ষা ক্ষেত্রে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপ-উপচার্য অধ্যাপক নাসরীন আহমাদ, সমাজসেবা ক্ষেত্রে কিশোরগঞ্জ জেলার মোছা. আছিয়া আলম এবং স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধ ক্ষেত্রে গোপালগঞ্জ জেলার বীর মুক্তিযোদ্ধা আশালতা বৈদ্য (মুক্তিযুদ্ধকালীন কমান্ডার)।পুরস্কার হিসেবে ১৮ ক্যারেট স্বর্ণের ৪০ গ্রাম ওজনের পদক, সম¥াননা পত্র এবং ৪ লাখ টাকার চেক প্রদান করা হয়।মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী ফজিলাতুন নেসা ইন্দিরা অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে পদক বিজয়ীদের হাতে পদক তুলে দেন এবং সভাপতিত্ব করেন। প্রখ্যাত কথা সাহিত্যিক আনোয়ারা সৈয়দ হক বঙ্গমাতার জীবনীর ওপর মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ।আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন জাতীয় মহিলা সংস্থার চেয়ারম্যান চেমন আরা তৈয়ব। মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. হাসানুজ্জামান কল্লোল স্বাগত বক্তৃতা করেন। পদক বিজয়ীদের পক্ষে নিজস্ব অনুভূতি ব্যক্ত করে বক্তৃতা করেন সৈয়দা জেবুন্নেছা হক।অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাঁর লেখা ‘শেখ ফজিলাতুন নেছা আমার মা' শীর্ষক একটি গ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন করেন।তিনি ঢাকায় কর্মজীবী নারীদের জন্য ‘বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন নেছা মুজিব’ অত্যাধুনিক ১০ তলা হোষ্টেলও উদ্বোধন করেন।সরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের অর্গানোগ্রাম পরিবর্তন হচ্ছেসরকারি কলেজ, মাদ্রাসা ও সরকারি শিক্ষক প্রশিক্ষণ কলেজগুলোর অর্গানোগ্রাম পরিবর্তনের উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলোর কাছ থেকে বর্তমান ও ভবিষ্যৎ জনবল কাঠামো জন্য প্রস্তাবিত অর্গানোগ্রাম চাওয়া হয়েছে।সোমবার (৮ জুলাই) মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদফতর এ সংক্রান্ত অফিস আদেশ জারি করেছে। আদেশে সংশ্লিষ্ট সব প্রতিষ্ঠান প্রধানদের কাছ থেকে অর্গানোগ্রাম চাওয়া হয়েছে। প্রতিষ্ঠান থেকে পাঠানো অর্গানোগ্রাম তৈরি ও তা পাঠানোর ব্যবস্থা নিতে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদফতরের আঞ্চলিক উপপরিচালকদের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।অফিস আদেশে বলা হয়, সব সরকারি কলেজ, সরকারি আলিয়া মাদ্রাসা ও সরকারি শিক্ষক প্রশিক্ষণ কলেজগুলোর অনুমোদিত বিদ্যমান জনবল কাঠামো অনুযায়ী অর্গানোগ্রাম এবং ভবিষ্যৎ জনবল কাঠামো'র জন্য প্রস্তাবিত অর্গানোগ্রাম তৈরি করে আগামী ২২ আগস্ট আঞ্চলিক পরিচালকের কার্যালয়ে পাঠাতে হবে।  প্রতিষ্ঠান প্রধানদের প্রস্তাবের দুই কপি এবং নির্ধারিত এক্সেল ফরমেটে প্রতিষ্ঠান প্রধানরা আঞ্চলিক উপপরিচালকদের পাঠাবেন।  আঞ্চলিক পরিচালকদের আগামী ২৫ আগস্টের মধ্যে প্রস্তাবিত অর্গানোগ্রাম এবং তথ্যাদি জরুরিভিত্তিতে পাঠাতে অনুরোধ করা হলো।স্বর্ণালংকার এক্সচেঞ্জ ও পারচেজের হার কমলোদেশে দীর্ঘদিন ধরে স্বর্ণালংকার এক্সচেঞ্জ বা পরিবর্তনের ক্ষেত্রে ১০ শতাংশ ও পারচেজ বা ক্রেতার নিকট থেকে ক্রয়ের ক্ষেত্রে ২০ শতাংশ বাদের নিয়ম বিদ্যমান ছিল। সম্প্রতি বাংলাদেশ জুয়েলারি সমিতি  বাজুসের এক সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ক্রেতাদের সুবিধার্থে স্বর্ণালংকার এক্সচেঞ্জ ও পারচেজের হার কমানো হয়েছে। সোমবার (৮ আগস্ট) বাজুসের পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়েছে।নতুন নিয়মানুযায়ী স্বর্ণালংকার এক্সচেঞ্জের ক্ষেত্রে ৮ শতাংশ এবং পারচেজের ক্ষেত্রে ১৫ শতাংশ বাদ এবং স্বর্ণালংকার বিক্রয়ের সময় ন্যূনতম মজুরি প্রতি গ্রামে ৩০০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।বাজুস স্ট্যান্ডিং কমিটি অন প্রাইসিং অ্যান্ড প্রাইস মনিটরিংয়ের চেয়ারম্যান এম. এ. হান্নান আজাদ সই করা এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের সকল জুয়েলারি ব্যবসায়ীদের স্বর্ণালংকার এক্সচেঞ্জ এর ক্ষেত্রে ৮ শতাংশ এবং পারচেজের ক্ষেত্রে ১৫ শতাংশ বাদ এবং স্বর্ণালংকার বিক্রয়ের সময় ক্রেতার নিকট থেকে প্রতি গ্রামে কমপক্ষে ৩০০ টাকা মজুরি গ্রহণ করার অনুরোধ জানানো হলো।ফেনীতে ৩ ভাইয়ের মৃত্যুর ১৩ দিন পর মামলাফেনীতে সেপটিক ট্যাংক বিস্ফোরণে তিন ভাইয়ের মৃত্যুর ঘটনার তেরো দিন পর আদালতে মামলা করেছে বাংলাদেশ মানবাধিকার সম্মিলন-বামাস। রবিবার দুপুরে ফেনী সদর আমলি আদালতে এ মামলা দায়ের করেন বামাসের চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর আলম নান্টু। আদালত দীর্ঘ শুনানি শেষে আদেশের জন্য মামলাটি অপেক্ষমাণ রেখেছেন।অভিযোগকারী বামাসের চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ‘সেফটিক ট্যাংক বিস্ফোরণে তিন ভাইয়ের মৃত্যুর ঘটনায় ভবন মালিক রফাদফা করে পার পেয়ে যাচ্ছেন। গত ২৯ জুলাই দুটি জাতীয় দৈনিকে প্রকাশিত সংবাদ দৃষ্টিগোচর হলে আমরা সংগঠনের পক্ষ থেকে মামলা করার সিদ্ধান্ত নিই। বিল্ডিং কোড ও পৌরসভার শর্ত অমান্য করায় দণ্ডবিধি অনুযায়ী এটি একটি হত্যাকাণ্ড। তাই এর বিচার চেয়ে এবং ভবনমালিক রুহুল আমিন এবং তার ছেলে নাজমুস শাহাদাত সোহাগকে আইনের আওতায় আনতে সংগঠনের পক্ষ থেকে মামলা করা হয়েছে। আশা করি, আদালতে ন্যায়বিচার পাবেন নিহতদের পরিবার।’উল্লেখ্য, ফেনী শহরের নাজির রোডের বাসিন্দা রুহুল আমিনের নির্মাণাধীন একটি ভবনের নিচতলায় ভাড়া থাকতেন বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জের ফুলহাতা গ্রামের সৈয়দ আলী মুন্সির ছেলে নুরুল ইসলাম মুন্সী (৫২), আবদুর রহমান মুন্সী (৪৯) ও মুনীরুজ্জামান মুন্সী(৪২)। তারা ফেনীতে দিনমজুর হিসেবে কাজ করতেন। গত ২৬ জুলাই সকাল সাড়ে ১১টার দিকে ভবনের নিচতলায় একটি সেফটিক ট্যাংকে বিস্ফোরণ হয়। এতে তিন ভাইয়ের শরীর ক্ষত-বিক্ষত হয়ে মর্মান্তিক মৃত্যু হয়। ২৮ জুলাই সকাল ১১টায় বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জ উপজেলার পঞ্চকরণ ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডে পারিবারিক কবরস্থানে মৃত তিন ভাইকে দাফন করা হয়।প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশ জানায়, বাড়ির সেপটিক ট্যাংকের ওপরে একটি কক্ষে থাকতেন ওই শ্রমিকরা। ওই ট্যাংকের গ্যাস সঞ্চালনের কোনও সুযোগ না রাখায় দীর্ঘদিন ধরে গ্যাস জমাট হয়। ওই দিন হঠাৎ বিকট শব্দে ট্যাংকটি বিস্ফোরিত হয়। এতে ভবনের নিচতলাসহ ওপরের ছাদ ক্ষতিগ্রস্ত হয়। ঘটনাস্থলে তিন ভাইয়ের মৃত্যু হয়।ফেনী ফায়ার সার্ভিসের কর্মকর্তা পূর্ণচন্দ্র মুৎসুদ্দি বলেন, ‘নির্মাণাধীন ভবনটিতে সেপটিক ট্যাংকের গ্যাস অপসারিত হওয়ার কোনও ব্যবস্থা ছিল না, ফলে এই দুর্ঘটনা ঘটে।’