এক সপ্তাহের মধ্যে ভোজ্যতেলের দাম সমন্বয় করা হবে বলে জানিয়েছেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি।
তিনি বলেন, শিগগিরই ট্যারিফ কমিশন বসবে।
তারা (তেল ব্যবসায়ী) একটা দাবি জানিয়েছে, সেটা জাস্টিফাইড কিনা সেটা এক সপ্তাহের মধ্যে ট্যারিফ কমিশন বসে ঠিক করবে।
বৃহস্পতিবার (১১ আগস্ট) সচিবালয়ে মন্ত্রিসভার বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
ভোজ্যতেলের দাম সমন্বয় করা হবে কিনা সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, বিশ্ববাজারে ভোজ্যতেলের দাম কমেছে। কিন্তু আমাদের দেশে ডলারের দামটা বেড়েছে। তাই যে সুফলটা পাওয়ার কথা, সেটা পাওয়া যাচ্ছে না। তারপরও ট্যারিফ কমিশন পুরো বিষয়টি চেক করবে।
পরিবহন খরচ বাড়ার অজুহাতে রাজধানীতে পণ্যের দাম বাড়ানোর বিষয়ে কোনো তদারকি আছে কিনা জানতে চাইলে বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেন, এটা বাণিজ্য মন্ত্রণালয় তো করবে না।
আশপাশের দেশের সঙ্গে সমন্বয় করে জ্বালানি তেলের দাম ঠিক করা হয়েছে উল্লেখ করে মন্ত্রী টিপু মুনশি বলেন, এখনও যদি ধরা হয় ডিজেলে দাম আজকের বাজারে, প্রতি লিটারে আট টাকা করে লোকসান হচ্ছে।
এদিকে সম্প্রতি ডলারের দাম বাড়ায় ভোজ্যতেলের দাম সমন্বয়ের প্রস্তাব দিয়েছে বাংলাদেশ ভেজিটেবল অয়েল রিফাইনার্স অ্যান্ড বনস্পতি ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশন। এতে প্রতি লিটার বোতলজাত ভোজ্যতেলের দাম ২০ টাকা বাড়ানোর প্রস্তাব করা হয়েছে। বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশনের (বিটিটিসি) পাঠানো চিঠিতে বলা হয়েছে, লিটার প্রতি ২০ টাকা বাড়িয়ে সয়াবিন তেলের দাম ১৮৫ টাকা থেকে ২০৫ টাকা করার কথা বলা হয়েছে। এছাড়া খোলা সয়াবিন তেল ১৬৬ টাকা থেকে বাড়িয়ে ১৮০ টাকা এবং পাঁচ লিটারের বোতল ৯১০ টাকা থেকে ৯৬০ টাকা করার প্রস্তাব করা হয়েছে।
বাংলাদেশ ভেজিটেবল অয়েল রিফাইনার্স অ্যান্ড বনস্পতি ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশন বলছে, টাকার বিপরীতে ডলারের দাম ব্যাপকভাবে বেড়েছে। ফলে ভোজ্যতেলের আমদানি মূল্য বেড়ে গেছে। তাই ডলার বাড়তি দাম অনুযায়ী তেলের মূল্য সমন্বয়ের জন্য বলা হয়েছে। এ জন্য গত ৩ আগস্ট আমরা প্রস্তাবনা পাঠিয়েছি। সেটি পর্যালোচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।