Published : Friday, 12 August, 2022 at 12:00 AM, Update: 12.08.2022 12:34:05 AM
সাঈদ হাসান, কুবি ||
প্রশাসনের
অবহেলা ও অব্যবস্থাপনায় বিগত ৬ বছরেরও বেশি সময় ধরে বন্ধ রয়েছে কুমিল্লা
বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) সমাজবিজ্ঞান অনুষদের একমাত্র কম্পিউটার ল্যাবটি।
ফলে এ অনুষদের শিক্ষার্থীরা বাধ্যতামূলক কম্পিউটার কোর্স শেষ করলেও
ব্যবহারিক জ্ঞান থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন দিনের পর দিন।
জানা যায়, সামাজিক
বিজ্ঞান অনুষদের একমাত্র ল্যাবটিতে ২৭টি কম্পিউটার থাকলেও সবগুলোই ব্যবহার
অনুপযোগী। এই নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের অভিযোগ থাকলেও কোনো
সমাধান করেনি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
সমাজবিজ্ঞান অনুষদের
শিক্ষার্থীদেরকে যুগোপযোগী প্রযুক্তিবিদ্যায় পারদর্শী করে তুলতে ২০০৯ সালে
যাত্রা শুরু করে ল্যাবটি। প্রথমদিকে ল্যাব তদারক কমিটির আওতায় এটি পরিচালিত
হতো। পরে অনুষদের বিভিন্ন বিভাগের জন্য ল্যাবটি বরাদ্দ দেওয়া হয়। কলা ও
সমাজবিজ্ঞান অনুষদ ভবনের নিচতলায় ডিন অফিসের পাশেই ল্যাবটি বর্তমানে
তালাবদ্ধ অবস্থায় রয়েছে। কম্পিউটার গুলো অযত্ন আর অবহেলায় সেখানেই ছড়ানো
ছিটানো অবস্থায় পড়ে আছে।
সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের প্রতিটি বিভাগেই রয়েছে
বাধ্যতামূলক কম্পিউটার সংশ্লিষ্ট কোর্স। তবে অনেক ক্ষেত্রেই ব্যবহারিক
জ্ঞান ছাড়াই তাদের এই কোর্সগুলো শেষ করা হয়। দুই থেকে একটি ব্যাবহারিক
ক্লাস হলেও সেগুলো প্রকৌশল অনুষদভুক্ত বিভাগগুলোর ল্যাবে নেওয়া হয়। এই
অনুষদে একটি কম্পিউটার ল্যাব থাকলেও তা বেশিরভাগ শিক্ষার্থীদের কাছেই
অজানা।
লোক-প্রশাসন বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী মো. মাসুম বিল্লাহ্
বলেন, আমাদের এই অনুষদে যে একটি কম্পিউটার ল্যাব আছে সেটাই এতোদিন জানা
ছিলোনা। আমরা কম্পিউটার সংশ্লিষ্ট কোর্স শেষ করেই আসলাম শুধু, অথচ কোর্স
সংশ্লিষ্ট অনেক কিছুই শেখার সুযোগ হয়নি আমাদের। পূর্ববর্তী ডিন কিংবা
প্রশাসনের অবহেলার কারণেই হয়তো এমনটি হয়েছে। এখন বর্তমান প্রশাসন
শিক্ষার্থীদের কথা চিন্তা করে এই ব্যাপারে ভালো উদ্যোগ নিলেই কেবল এই
ল্যাবটি নতুন করে সচল করা সম্ভব।
আইসিটি সেলের প্রোগ্রামার এ. এম. এম.
সাইদুর রশীদ জানান, কিছুদিন আগে তাদের তত্বাবধানে কম্পিউটারগুলো চেক করা
হয়। তখন তারা প্রায় সবগুলো কম্পিউটারই ব্যবহার অনুপযোগী দেখতে পান। মোট ২৭
টি কম্পিউটারের বেশিরভাগ কম্পিউটারই পুরোপুরি নষ্ট। ৮-৯ টি কম্পিউটার সচল
করা সম্ভব হবে। তবে এ কম্পিউটারগুলো এতো পুরনো মডেলের যে এগুলোতে ভারি কোনো
সফটওয়্যার ইন্সটল দিলে হয়তো এগুলোও তখন নষ্ট হয়ে যাবে।
সামাজিক বিজ্ঞান
অনুষদের ডিন এন. এম. রবিউল আউয়াল চৌধুরী বলেন, ইতোমধ্যে আমি বিশ্ববিদ্যালয়
প্রশাসনের কাছে ল্যাব সংস্কারের জন্য বাজেট চেয়েছি। প্রশাসন যদি ইতিবাচক
সিদ্ধান্ত জানায় তাহলে ল্যাবটি পুনরায় শিক্ষার্থীদের ব্যবহার উপযোগী করে
তোলা হবে।
এবিষয়ে উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ. এফ. এম. আবদুল মঈন বলেন, এতো
বছর ল্যাবটি সংস্কার করা হয়নি কেন সেটাতো আর আমি বলতে পারবোনা। তবে এখন যদি
সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদ থেকে ল্যাবটি সংস্কারের উদ্যোগ নেয়া হয় তাহলে আমার
পক্ষ থেকে চেষ্টা থাকবে এটিকে নতুন ভাবে ঢেলে সাজানোর।