আগামী ২৪ ঘণ্টায় সারা দেশে দিন এবং রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকবে। সেই সঙ্গে আগামী ৩ দিন দেশে বৃষ্টিপাত বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এছাড়া দেশের ১৫ জেলা স্বাভাবিকের চেয়ে কয়েক ফুট উচ্চতার জলোচ্ছ্বাসে প্লাবিত হতে পারে।
শনিবার (১৩ আগস্ট) বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ ড. মুহাম্মদ আবুল কালাম মল্লিক এ তথ্য জানিয়েছেন।
আবহাওয়া পূর্বাভাস তুলে ধরে আবুল কালাম মল্লিক বলেন, আগামী ২৪ ঘণ্টায় দেশের খুলনা, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের অনেক জায়গায় বৃষ্টিপাত হতে পারে। এছাড়া রংপুর, রাজশাহী, ময়মনসিংহ, ঢাকা ও সিলেট বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় অস্থায়ী দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে দেশের দক্ষিণাঞ্চলের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারি বর্ষণ হতে পারে।
তিনি বলেন, গতকাল দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে কুতুবদিয়া ২৪.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে রাজশাহীতে ৩৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এছাড়া গত ২৪ ঘণ্টায় সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে শ্রীমঙ্গলে ২৫ মিলিমিটার।
আবহাওয়া পূর্বাভাসে আরও বলা হয়েছে, মৌসুমী বায়ুর অক্ষ রাজস্থান, মধ্য প্রদেশ, উত্তর প্রদেশ, বিহার, পশ্চিমবঙ্গ ও উত্তরপূর্ব দিকে অগ্রসর হয়ে বাংলাদেশের মধ্যাঞ্চল হয়ে আসাম পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে। এর একটি বর্ধিতাংশ উত্তরপশ্চিম বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত বিস্তৃত। মৌসুমী বায়ু বাংলাদেশের ওপর মোটামুটি সক্রিয় এবং উত্তর বঙ্গোপসাগরের অন্যত্র প্রবলভাবে সক্রিয় রয়েছে। এছাড়া উত্তর বঙ্গোপসাগরে একটি লঘুচাপের সৃষ্টি হতে পারে।
জলোচ্ছ্বাসে প্লাবিত হতে পারে দেশের ১৫ জেলাদেশের উপকূলীয় ১৫ জেলার নিম্নাঞ্চল বাতাসের প্রভাবে সৃষ্ট জলোচ্ছ্বসে প্লাবিত হতে পারে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর।
আবহাওয়াবিদ ড. মুহাম্মদ আবুল কালাম মল্লিক এক সতর্কবার্তায় বলেন, পূর্ণিমা ও বাতাসের প্রভাবে উপকূলীয় জেলা সাতক্ষীরা, খুলনা, বাগেরহাট, ঝালকাঠি, পিরোজপুর, বরগুনা, পটুয়াখালী, ভোলা, বরিশাল, লক্ষ্মীপুর, চাঁদপুর, নোয়াখালী, ফেনী, চট্টগ্রাম ও কক্সবাজারের নিম্নাঞ্চল জলোচ্ছ্বাসের পানিতে প্লাবিত হওয়ার সম্ভবনা রয়েছে। এসব জেলাগুলোর অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরসমূহের নিম্নাঞ্চল স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে ২ থেকে ৪ ফুট বেশি উচ্চতার জলোচ্ছ্বাসে প্লাবিত হতে পারে।
তিনি বলেন, উত্তর বঙ্গোপসাগর ও বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকায় বাতাস বেশ ঘুর্ণায়মান থাকবে। সমুদ্র বন্দরসমূহ, উত্তর বঙ্গোপসাগর ও বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকায় ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। একই সঙ্গে চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্র বন্দরসমূহকে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। এছাড়া, উত্তর বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারগুলোকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত উপকূলের কাছাকাছি থেকে সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছ।