সম্প্রতি টাঙ্গাইলে মহাসড়কে চলন্ত বাসে ডাকাতি ও ধর্ষণের ঘটনার মূল পরিকল্পনাকারীসহ ১০ ডাকাতকে গ্রেফতার করে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)। এরপর গতকাল শুক্রবার মধ্যরাতে নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ ও বন্দর এলাকা থেকে মহাসড়কে ২৫ হাজার ডিমবাহী একটি পিকআপ ভ্যানে ডাকাতির ঘটনায় ডাকাত চক্রের ৬ সদস্যকে গ্রেফতার করেছে র্যাব। কিছুদিন ধরে মহাসড়কে এমন ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। এসব ঘটনায় র্যাব সারাদেশের মহাসড়কে তাদের গোয়েন্দা নজরদারি ও ব্যাটালিয়নের টহল জোরদার করেছে।
র্যাব বলছে, ডাকাতি রোধে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পাশাপাশি সমাজের সব স্তরের মানুষের সহযোগিতা প্রয়োজন। ডাকাতদের যদি পুনর্বাসন করা যায় তাহলে ডাকাতি কমে যাবে। কক্সবাজার ও সুন্দরবনসহ সারাদেশে ৪০৫ জন ডাকাত র্যাবের কাছে আত্মসমর্পণ করে স্বাভাবিক জীবনে ফিরে এসেছেন।
শনিবার (১৩ আগস্ট) দুপুরে কারওয়ান বাজার র্যাব মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন র্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন।
তিনি বলেন, সম্প্রতি প্রিন্ট, ইলেকট্রনিক ও অনলাইন মিডিয়ায় গুরুত্বের সঙ্গে তথ্যবহুল বেশকিছু সংবাদ প্রকাশিত হয়। মহাসড়কে ডাকাতি বন্ধ হওয়া জনগণের গণদাবিতে পরিণত হয়েছে। র্যাবের জনবল সীমিত। এরপরেও র্যাব সারাদেশে মহাসড়কে টহল জোরদার করেছে। পাশাপশি র্যাব সদর দপ্তরের গোয়েন্দা শাখাও কাজ করে চলেছে।
আগে যারা ডাকাতি করে গ্রেফতার হয়েছে, যাদের বিরুদ্ধে ডাকাতির মামলা রয়েছে, তারা এখন কোন অবস্থানে রয়েছে, কোন পেশায় রয়েছে তাদের বিষয়েও একাধিক আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পাশাপাশি র্যাবও বিভিন্ন তথ্য-উপাত্ত নিয়ে কাজ করছে। এছাড়া ব্যাটালিয়ন পর্যায়ে ডাকাতি রোধে বিভিন্ন কার্যক্রম চলমান। আমরা ভুক্তভোগীদেরও অনুরোধ করবো ডাকাতির খবর পেলে তারাও যেন আমাদের তথ্য দেন।
ডাকাতির সমাধানের কথা উল্লেখ করে র্যাবের এই কর্মকর্তা বলেন, ডাকাতি রোধে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পাশাপাশি সমাজের সব স্তরের মানুষের সহযোগিতা প্রয়োজন। ডাকাতদের যদি পুনর্বাসন করা যায় তাহলে ডাকাতি কমে যাবে। এরই মধ্যে কক্সবাজার ও সুন্দরবনসহ সারাদেশে ৪০৫ জন ডাকাত র্যাবের কাছে আত্মসমর্পণ করে স্বাভাবিক জীবনে ফিরে এসেছেন।
এদিকে, নারায়ণগঞ্জে ২৫ হাজার ডিমবোঝাই পিকআপ ভ্যানে ডাকাতির ঘটনায় ছয়জনকে গ্রেফতার করেছে র্যাব। একই সঙ্গে ডাকাতির কাজে ব্যবহৃত একটি বাস ও দেশীয় অস্ত্র জব্দ করা হয়েছে। উদ্ধার করা হয়েছে ডিমবাহী সেই পিকআপটি।
গ্রেফতাররা হলেন ডাকাত দলের সরদার মুসা আলী (৪০), নাঈম মিয়া (২৪), শামিম (৩৫), রনি (২৬), আবু সুফিয়ান (২০) ও মামুন (২৪)। তাদের কাছ থেকে তিনটি চাপাতি, দুটি চাইনিজ কুড়াল, একটি ছোরা ও একটি বাস জব্দ করা হয়।
র্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন বলেন, শুক্রবার (১২ আগস্ট) রাতে রূপগঞ্জের ভুলতা গোলাকান্দাইল এশিয়ান হাইওয়েতে র্যাব-১১ এর একটি দল টহল দিচ্ছিল। এসময় একটি ডিমবোঝাই পিকআপের সন্দেহজনক গতিবিধি দেখে তাকে থামায় র্যাব। র্যাবের উপস্থিতি টের পেয়ে পিকআপ থেকে দুই ব্যক্তি পালানোর চেষ্টা করলে তাদের আটক করা হয়।