নগরবাসীর চলাচলে নিরাপত্তার বিষয়গুলো ঠিক না হওয়া পর্যন্ত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) প্রকল্পের সব কাজ বন্ধ থাকবে বলে জানিয়েছেন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র আতিকুল ইসলাম।
তিনি বলেন, আগামী বৃহস্পতিবার আমি বিআরটি প্রকল্প সহ সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে বসবো আলোচনা করবো।
এর আগ পর্যন্ত কাজ বন্ধ থাকবে।
মঙ্গলবার (১৬ আগস্ট) বেলা সাড়ে ১০ টার দিকে রাজধানীর উত্তরা জসিমউদদীন মোড়ে গার্ডার দুর্ঘটনায় ৫ জন নিহতের ঘটনাস্থল পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন ডিএনসিসি মেয়র।
তিনি বলেন, বিআরটি তাদের কাজের জন্য রোড সেফটির সব ধরনের সাইনবোর্ড লাগাবে। কোন রোড কবে কাজ হবে সেগুলোর লে-আউট দিবেন তার পর এ বিষয়গুলো দেখেই কাজের অনুমতি দেওয়া হবে।
মেয়র বলেন, বৃহস্পতিবারের বৈঠকে সিটি করপোরেশন, ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের প্রতিনিধি, বিআরটি প্রকল্পের প্রতিনিধিদের সঙ্গে বসে আলোচনা করবো। তারা যদি সেখানে নিরাপত্তার বিষয়গুলো ঠিক করতে না পারেন তবে কাজ বন্ধ থাকবে।
মেয়র আতিকুল ইসলাম বলেন, এ ঘটনায় একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তদন্তে এখানে কি কি গাফিলতি রয়েছে তা সব উঠে আসবে।
তিনি বলেন, ওয়ার্ক প্লেস সেফটি বলে এখানে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। এখানে কোনো সাইনবোর্ডও নেই। কাজ চলার সময় এখানে রাস্তা বেরিকেট দেওয়ার কথা তাও দেওয়া হয়নি। এছাড়া গতকাল বিআরটি প্রকল্প কাজ হবে সে বিষয়ে পুলিশের ক্রাইম বিভাগ ও ট্রাফিক বিভাগের কাওকে কোনো কিছু বলা বা জানানোও হয়নি। এখানে কাজের ক্ষেত্রে বিআরটি কোনো ধরেনর নিরাপত্তা নিশ্চিত করেনি।
তিনি বলেন, উপরে ওয়েলডিং করছেন আর নিচে আগুনের ফুলকি পড়ছে। তারা যে সড়ক নির্মাণ করছেন এখানে একটি রোড থেকে অন্য রোডের উচ্চতা ১২ ইঞ্চির মত। এতেও কিন্তু দুর্ঘটনা ঘটছে।
মেয়র বলেন, গতকাল জাতীয় শোক দিবস ছিল, একটা শোকের মধ্যে আরেকটা শোক হয়ে গেল। যে ঘটনা ঘটেছে, তা অত্যন্ত দুঃখজনক ও মর্মান্তিক। নতুন দম্পতি ও তাদের বাচ্চার কি অবস্থা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, বিআরটি প্রকল্পের কাজের জন্য সরকার তো তাদের টাকা দিয়েছে। কিন্তু তারা কোনো ধরণের নিরাপত্তা নিশ্চিত না করেই কাজ করছেন। এটা ঠিক না।
প্রসঙ্গত, সোমবার (১৫ আগস্ট) বিকেলে রাজধানীর উত্তরায় বিআরটি প্রকল্পের ফ্লাইওভারের গার্ডার চাপায় প্রাইভেট কারে থাকা শিশুসহ পাঁচ জন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন দুই জন।