Published : Friday, 19 August, 2022 at 12:00 AM, Update: 19.08.2022 1:14:08 AM
জহির শান্ত:
কুমিল্লায়
পোল্ট্রি ফার্মের মুরগীর ডিম নিয়ে নানান কারসাজি চললেও জেলায় উৎপাদিত
ডিমের সংকট নেই বলে জানিয়েছেন জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মোঃ নজরুল
ইসলাম। কুমিল্লা জেলায় তিন শ’ খামারে প্রতিদিন যে পরিমানে ডিম উৎপাদিত হয়
তা থেকে প্রাপ্ত তথ্য মতে গত বছর ৬১ কোটি পিস ডিম উৎপাদিত হয়েছে বলে জানান
তিনি। এবছর আরো এক কোটি পিস বেশি উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে বলেও জানান
তিনি।
জেলা প্রাণিসম্পদ কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, কুমিল্লায় যে
পরিমানে মুরগীর ডিম উৎপাদিত হয়ে তা জেলার চাহিদা মেটাতে পর্যাপ্ত। তবে
করোনার কারণে কুমিল্লায় প্রায় ১ শ খামার বন্ধ হয়ে যায় - যে কারনে কিছুটা
উৎপাদন কমলেও সংকট তৈরী হয় নি।
প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা জানান, উৎপাদন
খরচ অনুসারে প্রতিপিস ডিমের দাম সর্বনিম্ন ৯ টাকা এবং সর্বোচ্চ ১০ টাকা
হওয়া উচিত। অর্থাৎ প্রতিহালি ডিমের দাম হওয়া উচিত ৪০ টাকা। কিন্তু ডিমের
দাম যেভাবে বাড়তে তাতে এক শ্রেণীর মধ্যসত্ত্বভোগী লাভবান হচ্ছে, কিন্তু মূল
খামারিরা লাভবান হচ্ছে না। এতে করে খামারের পরিমান এবং তুলনামূলক উৎপাদন
বৃদ্ধি করা সম্ভব হচ্ছে না। বাজারে ডিমের কোন নির্ধারিত দাম নেই, যখন তখন
ব্যবসায়িরা দাম বাড়ান কমান। এতে করেই এমন দ্বিধাদ্বন্ধ তৈরী হয়।
এদিকে
বৃহষ্পতিবার দুপুরে কুমিল্লার ডিমের বাজারে ভোক্তা অধিকারের তদারকি টিমের
অভিযান এবং জরিমানার পর রাতেই হালি প্রতি মুরগীর লাল ডিম ৬ টাকা কমে বিক্রি
শুরু হয়। যদিও বৃহষ্পতিবার দুপুরে এই ডিমের হালি ৫০ টাকা দরে বিক্রি
হচ্ছিলো।
ডিম ব্যবসায়ি সমিতির সাধারণ সম্পাদক মোঃ বাবুল মিয়া জানান,
ঢাকা ও চট্টগ্রামের ডিমের দামের উপর নির্ভর করে কুমিল্লার ডিমের দাম। এই
মুহুর্তে কুমিল্লায় উৎপাদিত ডিমের যোগান কিছুটা কম আছে। তবে দুই মাস পরে
থেকে ডিমের উৎপাদন বাড়বে এবং সেসময় কুমিল্লা থেকেও অন্যান্য জেলায় ডিম
সরবরাহ করা সম্ভব হবে।