চৌদ্দগ্রাম প্রতিনিধি ঃ কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে পল্লী বিদ্যুৎ কর্মকর্তার গাফেলতিতে অরক্ষিত আর্থিং রডে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে রুমা বেগম (৩৫) নামে এক নারীর মর্মান্তিক মৃত্যু ঘটনা ঘটেছে। গতকাল সোমবার বিকেলে উপজেলার গুণবতীর গজারিয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।এতে আরো তিনজন আহত হয়েছেন। নিহত রুমা গজারিয়া কাজী বাড়ীর সৌদিআরব প্রবাসী মো: ইউসুফ মিয়ার স্ত্রী। নিহতের পরিবার দাবী করেছে ৫,শ টাকা না দেয়ায় পল্সংলী বিদ্যুতের কর্মী লাইন মেরামত না করে অরক্ষিত অবস্থায় রেখে যাওয়ায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় জড়িত পল্লী বিদ্যুৎ কর্মীর দৃষ্টান্তম‚লক শাস্তি দাবী করেন তারা। ঘটনায় আহতরা হলো: একই বাড়ীর ইসমাইল হোসেনের স্ত্রী হালিমা বেগম (৪৫), আবুল কালামের স্ত্রী হাসিনা বেগম (৫০) ও জয়নাল আবেদীনের মেয়ে আইরিন আক্তার (১৫)। আহতদের উদ্ধার করে ফেনীর একটি হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে । এদিকে পল্লী বিদ্যুৎ কর্তৃপক্ষের অবহেলায় প্রবাসীর স্ত্রীর মৃত্যুর ঘটনা জানাজানি হলে এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে।
নিহতের পরিবার ও স্থানীয় স‚ত্রে জানা যায়,গতকাল সোমবার দুপুরে পল্লী বিদ্যুৎ গুনবতী জোনাল অফিসের লোকজন গিয়ে গজারিয়া কাজী বাড়ীর প্রবাসী ইউসুফ মিয়ার পুরনো মিটার খুলে নতুন মিটার লাগায়। এ সময় আর্থিং রডে বিদ্যুৎ এর উপস্থিতি বুঝতে পেরে ইউসুফের স্ত্রী রুমা বেগম বিদ্যুৎ এর লোকজনকে লাইনটি পুনরায় চেক করে দেখতে বলেন। তারা লাইন মেরামতের জন্য অতিরিক্তি ৫০০ টাকা দাবি করলে রুমা বেগম তা দিতে অপারগতা প্রকাশ করায় পল্লী বিদ্যুতের লোকজন মিটারের লাইনটি মেরামত না করেই অরক্ষিত অবস্থায় আর্থিং রডটি রেখে চলে যায়।বিকেলে হাঁটাচলার এক পর্যায়ে ওই আর্থিং রডের তারে হাত লাগলে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে রুমা বেগম ঘটনাস্থলেই মারা যান।
নিহতের ভাশুরের ছেলে আব্দুর রহিম ও নেছার উদ্দিন জানান, ‘মাত্র ৫০০ টাকা দিতে না পারায় পল্লী বিদ্যুৎ কর্তৃপক্ষের গাফলতিতে আমার চাচী বিদ্যুৎস্পষ্টে মৃত্যুবরণ করেছে। আমরা এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে দোষীদের উপযুক্ত শাস্তির দাবি জানান তারা।
এ বিষয়ে পল্লী বিদ্যুৎ গুনবতী জোনাল অফিসের ডিজিএম মো: মাহবুবুর রহমান বলেন, ‘বিদ্যুৎস্পৃষ্টে এক নারীর মৃত্যুর সংবাদ শুনেছি। বিষয়টি খুবই মর্মান্তিক ও হৃদয়বিদারক। তদন্ত সাপেক্ষে অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেলে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে বলেও জানান তিনি’।