
বিদ্যুৎ ও জ্বালানি সাশ্রয়ে মন্ত্রিসভায় সিদ্ধান্ত আসার পর দেশের সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শুক্র ও শনিবার সাপ্তাহিক ছুটি থাকবে।
প্রাথমিক, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে এ দুদিন বন্ধ রাখার পৃথক নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে; যা আগামী সপ্তাহ থেকেই কার্যকর হবে।
সোমবার
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগ মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা
অধিদপ্তরের আওতাধীন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর সাপ্তাহিক ছুটি শুক্র ও শনিবার
করার নির্দেশনা দিয়েছে।
এতে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে স্ব স্ব কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতেও অনুরোধ জানানো হয়েছে।
আর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোও এ দুদিন বন্ধ থাকবে বলে পৃথক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়।
এতে বলা হয়েছে, বর্তমানে বৃহস্পতিবার অর্ধদিবস ক্লাসের পরিবর্তে প‚র্ণদিবস ক্লাস অনুষ্ঠিত হবে।
বর্তমানে দেশের অধিকাংশ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে সপ্তাহে ছয় দিনই ক্লাস হচ্ছে। তবে কিছু শিক্ষা প্রতিষ্ঠান শনিবারও ছুটি দিচ্ছে।
ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে আন্তর্জাতিক জ্বালানির বাজারে অস্থিরতা থাকায় ডলার সাশ্রয়ে বিদ্যুৎ উৎপাদন কমিয়ে বাংলাদেশ লোডশেডিং বাড়িয়েছে।
জ্বালানি বাঁচাতে বিদ্যুৎ সাশ্রয়ের চেষ্টায় কর্মঘণ্টা কমিয়ে অফিস ও ব্যাংকের নতুন সময়স‚চি দিয়েছে সরকার।
বুধবার
থেকে সব সরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত অফিস খোলা থাকবে সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৩টা
পর্যন্ত। এতদিন সরকারি কর্মীরা অফিস করতেন সকাল ৯টা থেকে বিকাল ৫টা। আর এখন
থেকে ব্যাংকের কাজ চলবে সকাল ৯টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত।
শিল্প এলাকার সাপ্তাহিক ছুটি রাখার পাশাপাশি বিভিন্ন পদক্ষেপ নিচ্ছে সরকার।
চলমান
সংকটের মধ্যে মন্ত্রিসভা বৈঠকে সোমবার এসব সিদ্ধান্ত আসে। সেখানে
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানেও সপ্তাহে দুই দিন বন্ধ রাখার সিদ্ধান্তও এসেছে।
এরপর
বিকালে এ সিদ্ধান্ত দ্রæত কার্যকর করার নির্দেশনা দিয়েছে মাধ্যমিক ও উচ্চ
শিক্ষা বিভাগ, যা কার্যকর হতে যাচ্ছে আগামী সপ্তাহ থেকেই।
নতুন শিক্ষাক্রম অনুযায়ী ২০২৩ সাল থেকে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে সাপ্তাহিক ছুটি দুদিন করার সিদ্ধান্ত আগেই জানানো হয়েছে।
জ্বালানি সংকটের মধ্যে আগেভাগেই এ সিদ্ধান্ত কার্যকরের ইঙ্গিত দিয়েছিলেন শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনিও।