Published : Tuesday, 30 August, 2022 at 12:00 AM, Update: 30.08.2022 12:36:29 AM
তানভীর
দিপু:
লাইসেন্স না থাকার অভিযোগে কুমিল্লা নগরীর সদর হাসপাতাল রোডে ফেয়ার
কনসাল্টেশন ও ডায়গনস্টিক সেন্টার এবং চৌদ্দগ্রামে তিনটি ডায়াগনস্টিক
সেন্টারসহ চারটি বেসরকারি স্বাস্থ্য সেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে
ব্যবস্থা নিয়েছে জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ।
কুমিল্লা জেলা ডেপুটি সিভিল
সার্জন নিসর্গ মিরাজ চৌধুরী জানান, স্বাস্থ্য অধিপ্তরের নির্দেশে সোমবার
কুমিল্লার নগরীতে অনিবন্ধিত ফেয়ার কনসাল্টেশন ও ডায়গনস্টিক সেন্টার অভিযান
চালিয়ে সিলগালা করা হয়। একইদিন সোমবার বিকেলে কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে
অনিবন্ধিত হাসপাতাল ও ক্লিনিকের বিরুদ্ধে অভিযান চালিয়ে উপজেলার গুণবতী
বাজারে লাইসেন্স না থাকায় হেলথ মেডিকেল সেন্টার, নিউ পপুলার ডায়াগনষ্টিক
সেন্টার ও অলি আহমেদ ডায়াগনস্টিক সেন্টার নামে তিনটি ক্লিনিক লাইসেন্স না
পাওয়া পর্যন্ত নির্দেশ দেয়া হয়েছে। চৌদ্দগ্রাম উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার
পরিকল্পনা কর্মকর্তা মোঃ গোলাম কিবরিয়া জানান, গুণবতী এলাকার ডায়াগনস্টিক
সেন্টার ও ক্লিনিকগুলো পরিদর্শন করে তিনটি প্রতিষ্ঠানকে বন্ধের নির্দেশ
দেয়া হয়েছে। লাইসেন্স না থাকায় তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। যদি এ
নির্দেশ অমান্য করে তারা পুনরায় ক্লিনিক চালু করে তাহলে তাদের বিরুদ্ধে
আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এছাড়াও এ অভিযান অব্যাহত থাকবে।
এদিকে
কুমিল্লা জেলায় অননুমোদিত বা অবৈধ পাঁচ শতাধিক বেসরকারি স্বাস্থ্যসেবা
প্রতিষ্ঠান বা হাসপাতাল-ক্লিনিক- ডায়াগনস্টিক সেন্টার রয়েছে বলে ধারনা
করছেন জেলা বেসরকারি হাসপাতাল ও ক্লিনিক মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক রইস
আবদুর রব। তিনি জানান, স্বাস্থ্য অধিদপ্তর আবারো অভিযানের ঘোষণা দিয়েছেন।
আশা করি অবৈধভাবে গড়ে ওঠা প্রতিষ্ঠানগুলো বন্ধ হবে। তিনি আরো বলেন, আমার
পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে দেখেছি আগে অনুমোদন নিয়ে তার পর হাসপাতাল ক্লিনিক
স্থাপন করে, আমাদের এখানে উল্টো- আগেই হাসপাতাল ক্লিনিক করে পরে লাইসেন্সের
জন্য আবেদন করে। কুমিল্লা জেলায় যে পরিমানে বৈধ বা অনুমোদিত স্বাস্থ্যসেবা
প্রতিষ্ঠান আছে তার চেয়ে বেশি আছে অবৈধ।
কুমিল্লায় অনুমোদিত বা বৈধ
বেসরকারি হাসপাতাল ক্লিনিকের সংখ্যা ৪০৪টি । এর মধ্যে ১৮৪টি হাসপাতাল ও
ডায়গনস্টিক সেন্টার। বাকিগুলো ক্লিনিক, ডায়গনস্টিক বা ডেন্টাল ক্লিনিকসহ
অন্যান্য প্রতিষ্ঠান। এছাড়া আরো ৩০ টি প্রতিষ্ঠানের লাইসেন্স কার্যক্রম
প্রক্রিয়াধীন আছে। কুমিল্লা জেলা সিভিল সার্জন মীর মোবারক হোসাইন বলেন, এর
আগের মেয়াদে আমরা যখন অভিযান পরিচালনা করেছিলাম সেসময় ৫৮ টি প্রতিষ্ঠানকে
বন্ধ করে দেয়া হয়। অনুনোমদিত হাসপাতাল ক্লিনিকের বিরুদ্ধে অভিযান নিয়মিত
পরিচালিত হচ্ছে। এটা যে শুধু স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নির্দেশনায় হয় তা নয়,
আমরা সব সময়ই সচেষ্ট আছি অবৈধ স্বাস্থ্য সেবা প্রতিষ্ঠানগুলোর বিরুদ্ধে
অভিযান পরিচালনা করতে।
সিভিল সার্জন আরো জানান, বিধি মোতাবেক কোন বৈধ
চিকিৎসক যদি অননুমোদিত ক্লিনিক বা হাসপাতালে কাজ করেন তাদের বিরুদ্ধেও
ব্যবস্থা নেয়ার এখতিয়ার রয়েছে। যে কারণে চিকিৎসকদেরও সচেতন হতে হবে তিনি
কোন প্রতিষ্ঠানে কাজ করছেন - তা জেনে যেন করা হয়।