মিশিগানের বাংলা টাউন ডেট্রয়েট সিটির জেইন পার্ক মাঠে নেচে-গেয়ে মঞ্চ কাপালেন ব্ল্যাক ডায়মন্ড খ্যাত সংগীত শিল্পী বেবী নাজনীন।
মিশিগানের অন্যতম দেশীয় বড় মেলাটি হচ্ছে নর্থ আমেরিকান-বাংলাদেশি ফ্যাস্টিভাল। এই মেলাটি শুরু হয়েছে ২৬ আগস্ট, শেষ হয় ২৮ আগস্ট। তিন দিনব্যাপী মেলায় ছিল মানুষের উপচেপড়া ভিড়। প্রতিদিন দুপুর ১২টা থেকে শুরু হয়ে চলে রাত ১২টা পর্যন্ত। এছাড়াও মঞ্চে গান করেছেন এনটিভি রিয়েলিটি শো ২০০৮ এর তারকা নীলিমা শশি ও উত্তর আমেরিকার শিল্পী শাহ মাহবুব।
প্রথমদিন কর্মব্যস্ত মানুষের আনাগোনা ছিল কিছুটা কম। মেলায় দেখা যায় হরেক রকম দোকানের পসরা সাজিয়ে মেলাকে আকর্ষণীয় করে তুলেছেন ব্যবসায়ীরা। খাবারের দোকানের পাশাপাশি বুটিকশিল্প, মৃৎ শিল্প ও হস্তশিল্পের স্টল ছিল চোখে পড়ার মতো। কিছু দর্শনার্থী দেশীয় হুক্কা ও হাত পাখা পেয়ে আনন্দ উল্লাস করেন।
এবারের মেলায় বড় আকর্ষণ ছিল সংগীত শিল্পীর গান পরিবেশনা। সাপ্তাহিক ছুটি শনি ও রোববার থাকায় মেলার ২য় দিন শনিবারের পড়ন্ত বিকেলে মেলার জন্য নির্ধারিত পুরো মাঠ ছিল নারী, পুরুষ শিশুসহ কিশোর-কিশোরীদের ভিড়। আলো-ছায়া সময়ে মঞ্চে আসেন শাহ মাহবুব। সিলেটের প্রয়াত বাউল শিল্পী শাহ আব্দুল করিমের গানসহ বিভিন্ন জনপ্রিয় গান পরিবেশন করে নেচে গেয়ে মঞ্চ মাতিয়ে রাখেন শাহ মাহবুব।
যত সময় শেষ হচ্ছে দর্শকদের উন্মাদনা ততই বাড়ছে। এ সময় মঞ্চে আসেন আরেক জনপ্রিয় শিল্পী নিলীমা শশি। এক করে পরিবেশন করতে থাকেন আধুনিক গানসহ সময়ের অনেকগুলো ফোক গান। সুরের তালে তালে নেচে গেয়ে দর্শকদের মাতিয়ে রাখেন পুরোটা সময়।
মেলার ৩য় দিন রোববারে দেখা যায়, গত ২ দিনের তুলনায় এদিনে দর্শকদের উপস্থিতি অনেক বেশি। মেলায় আগত দর্শকরা এ বিষয়ে বলেন, ব্ল্যাক ডায়মন্ড সংগীত শিল্পী বেবী নাজনীনের গান শুনেছেন কিন্তু বাস্তবে অনেকেই দেখেননি। আজকে আসলাম, তাকে দেখতে। আয়োজক কমিটির পূর্বঘোষিত মেলার এদিনে সবচেয়ে বড় আকর্ষণ ছিলেন ব্ল্যাক ডায়মন্ড খ্যাত সংগীত শিল্পী বেবী নাজনীন।
বেলা শেষে সন্ধ্যার পরে মঞ্চে আসেন লাল সবুজে কাতান শাড়ী পরিহিত বেবী নাজনীন। এত বাংলাদেশির আগমন দেখে নিজের উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেন। আমেরিকার নিউইয়র্কের পরে মিশিগানে এত বাংলাদেশির উপস্থিতি দেখে তিনি বলেন, আমার মনে হচ্ছে আমি এখন বাংলাদেশেই আছি। তারপর ‘বাংলাদেশ’ শিরোনামে প্রথম গান পরিবেশন করে পুরোটা সময় নিজে নেচে গেয়ে এবং উপস্থিত দর্শকদের নাচিয়ে রাত ১২টার দিকে তিন তারকার সমন্নয়ে শেষ গান পরিবেশন করেন।
মেলায় সর্বশেষে ছিল আকর্ষণীয় র্যাফেল ড্র। প্রথম পুরস্কার ছিল জিপ কোম্পানির একটি গাড়ি, ডেট্রয়েট-ঢাকা বিমান টিকিট, স্কুটার, ল্যাপটপ ও টেলিভিশনসহ একাধিক পুরস্কার। প্রথম পুরস্কারটি জিতে নেন দিলারা নামের ভাগ্যবতী।