ই-পেপার ভিডিও ছবি বিজ্ঞাপন কুমিল্লার ইতিহাস ও ঐতিহ্য যোগাযোগ কুমিল্লার কাগজ পরিবার
মেঘনা থানার ওসি-এসআইয়ের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা
Published : Monday, 5 September, 2022 at 12:00 AM, Update: 05.09.2022 1:04:30 AM
মেঘনা থানার ওসি-এসআইয়ের বিরুদ্ধে আদালতে মামলানিজস্ব প্রতিবেদক: কুমিল্লার মেঘনা থানার ওসি ছমির উদ্দিন ও এসআই মো. মোশাররফ হোসেনের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা দায়ের করেছেন এক নারী। রবিবার (৪ সেপ্টেম্বর) কুমিল্লার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৩-এ নির্যাতনের অভিযোগে মামলাটি দায়ের করেন ভুক্তভোগী নারী। আদালতের বিজ্ঞ বিচারক মোয়াজ্জেম হোসেন সহকারী পুলিশ সুপার পদ মর্যাদার একজন কর্মকর্তাকে ঘটনার তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন। তবে পুলিশ সুপার আবদুল মান্নান বলেন, আমি বিষয়টি বিভিন্ন মাধ্যমে জনেছি। আদালত থেকে এই বিষয়ে আমি কোন আদেশ পাই নি। কিন্তু ঘটনা শুনে আমি খোঁজ নেয়ার চেষ্টা করছি।
আর মামলার ব্যাপারে জানতে চাইলে মেঘনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ছমির উদ্দিন বলেন, ওই নারী আসামী ধরতে গেলে বাঁধা দেয়ার চেষ্টা করে এবং পুলিশের উপরও হামলা করে। যে কারণে সরকারি কাজে বাঁধা এবং পুলিশ এ্যাসল্টের মামলা দেয়া হয় তার রিরুদ্ধে। সে ১৫ দিন জেল খেটেছে। এখন প্রতিহিংসা পরায়ণ হয়ে এমন অভিযোগ করছে।
অভিযোগে বলা হয়, গত ২৬ আগস্ট ওই নারীর বোনের জামাইকে গ্রেফতার করতে যান ওসি ছমির ও এসআই মোশাররফ। সেদিন তিনি মামলার ওয়ারেন্ট দেখতে চাওয়ায় এসআই মোশাররফ তাকে থানায় নিয়ে আসেন। পরে রাত সাড়ে ৯টার দিকে তাকে ওসির রুমে নেওয়া হয়। এ সময় রুমের দরজা বন্ধ করে দেওয়া হয়। ওসি তার সঙ্গে অশোভন আচরণ করেন এবং চিৎকার করলে মেরে ফেলার ও ধর্ষণের হুমকি দেন। তখন ওসিকে বাধা দেওয়ার চেষ্টা করলে তাকে চড়, থাপ্পড় এবং লাথি মারা হয়। ওই নারী চিৎকার শুরু করলে এসআই মোশাররফ তার গলা চেপে ধরে। পরে তাকে আবারও অনৈতিক প্রস্তাব দেন দুই পুলিশ কর্মকর্তা। তবে তিনি রাজি হননি বলে দাবি করেন।
ভুক্তভোগী নারী আরও অভিযোগ করেন, তার ফোন রিসেট করা হয়। যাতে পুলিশ কর্মকর্তাদের প্রমাণ তাতে না থাকে। পাশাপাশি সরকারি কাজে বাধা দেওয়ার অভিযোগ তুলে তার বিরুদ্ধে মামলা দিয়ে কোর্টে চালান করে দেওয়া হয়। আটদিন জেলে থাকার পর তিনি জামিনে এসে মামলার প্রস্তুতি নেন এবং মামলা দায়ের করেন।
এ বিষয়ে ওসি ছমির উদ্দিন বলেন, ওই নারী যে অভিযোগ করেছে এমন কিছুই হয় নি। বরং সে যে পুলিশের সাথে বাজে ব্যবহার এবং হাত তুলেছে সেই ভিডিও আমাদের কাছে আছে। আমরা আসামি গ্রেফতার করতে গেলে সে ওয়ারেন্ট চায়। ওয়ারেন্ট দেখালেও তিনি আমাদের আসামিকে আনতে দেননি। পরে তার বিরুদ্ধে সরকারি কাজে বাধার দেওয়ার মামলা করা হয়। কিন্তু পুলিশের বিরুদ্ধে তার করা মামলা বানোয়াট।